তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
তিনি বলেন, এই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সরকারি বেসরকারি সকল গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ইউএনডিপি এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১২৭ জনের অধিক শিশু শহীদ হয়েছে, হাজারো শিশু আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য ইউনেস্কো এবং ইউএনডিপির সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
ইউনেস্কোর কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশনের প্রধান নুরে জান্নাত প্রমা শ্রম অধিকার এবং গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট অধ্যাপক ড. জন বারাটা মীর বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত একটি সুন্দর উদাহরণ।
তিনি গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকার কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। গুজব এবং অপপ্রচার প্রতিরোধ বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনেস্কো এবং ইউএনডিপির সহযোগিতা কামনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি পলিসি অ্যাডভাইজার ফায়েজ আহমদ তৈয়ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ মাস আগে
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। সেই সময় কেটে গেছে। উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের তথ্য প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যম সংস্কারে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের অংশীদারিত্ব প্রকল্প থেকে ৩০ লাখ নগরবাসী বিশুদ্ধ পানি পাবে: রাষ্ট্রদূত
১ মাস আগে
সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলরকে ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
সভার শুরুতেই বিসিসির কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে জানানো হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যে নীতি ও আদর্শ রয়েছে সেটা সামনে রেখেই নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, এরইমধ্যে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন থেকে সব প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চালানো আছে।
এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে জটিলতার কথাও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।
উপদেষ্টা বলেন, অভিযোগ তদন্তের বিভিন্ন কমিটির কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ সভায় আরও ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে