বিএফইউজে সভাপতি
ডিআরইউ ও জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে সভাপতি গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় প্রেসক্লাব, ডিআরইউ, ডিইউজে ও বিএফইউজে নেতা এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা পূর্ব বক্তব্যে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সব সময় দেশের জন্য কথা বলতেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি সব সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করব।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: নিহতদের গায়েবানা জানাজা পড়বে বিএনপি-জোটের শরিকরা
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গাজীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজায় ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা অংশ নেন।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বরেণ্য এই সাংবাদিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গাজী।
তিনি কিডনিজনিত জটিলতা, ডায়াবেটিস ও ইলেক্ট্রোলাইট সংকটে ভুগছিলেন।
তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছে।
চাঁদপুরে পারিবারিক কবরস্থানে বিএফইউজে সভাপতিকে দাফন করা হবে।
১৯৫৩ সালের ২২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করা গাজী ১৯৭৪ সালে অনার্স ডিগ্রি অর্জনের পর দৈনিক ইত্তেফাকে রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরে দৈনিক সংগ্রামে বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যোগ দেন এবং সেখানে দীর্ঘদিন প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ১৮ মাসের বেশি সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা
১ মাস আগে