জাতীয়-আঞ্চলিক
মিয়ানমারের দীর্ঘস্থায়ী সংকট বাংলাদেশের জাতীয়-আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি করছে: অধ্যাপক ইউনূস
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে রাখাইন রাজ্যে তাদের পৈতৃক বাড়িতে ফেরার পথ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, মিয়ানমারের দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা প্রথাগত ও অপ্রথাগত উভয় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, সাত বছর ধরে বাংলাদেশ মানবিক কারণে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এর কারণে উল্লেখযোগ্য সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমরা বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা এবং তাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আইসিজে ও আইসিসিতে চলমান জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিঙ্গারা যাতে মুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা প্রচেষ্টার স্বীকার করে ও প্রশংসা করে বাংলাদেশ।
শান্তি বজায় রাখা :
বাংলাদেশ মনে করে, শান্তি বজায় রাখা এবং সংঘাত নিরসন করা জনগণের অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দু।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'সাম্প্রতিক বিপ্লবের সময় আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ে জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়ে শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার আবারও দেখিয়েছে।’
শান্তিরক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকারকে স্থান দেওয়ার অঙ্গীকারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কমিশনের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ' উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তারা বাংলাদেশের মূল্যবোধসম্পন্ন অবদান এগিয়ে নিতে ও বাড়াতে আগ্রহী।
তৃতীয় বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশের ৬৩টি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছে।
বসনিয়া থেকে কঙ্গো পর্যন্ত ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আত্মত্যাগ করেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমরা আশা করি, চ্যালেঞ্জ বা পরিস্থিতি যাই থাকুক না কেন, ভবিষ্যতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে।
গাজায় গণহত্যা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বহু সংকটের এই বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাত অধিকার খর্ব ও ব্যাপক অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি শুধু আরব বা মুসলমানদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং সমগ্র মানবতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'ফিলিস্তিনিরা গুরুত্বহীন কোনো জাতি নয়' ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সবাইকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
ফিলিস্তিনি জনগণকে বিরুদ্ধে চালানো বর্বরতা থেকে বিশেষ করে শিশু ও নারীদের রক্ষার জন্য অবিলম্বে ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হিসেবে রয়ে যাওয়া দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ইউক্রেনে আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এই যুদ্ধ সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে, এমনকি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষকে মতপার্থক্য নিরসন এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি ছাড়া শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব।
প্রায় এক দশক আগে বিশ্ব সর্বসম্মতিক্রমে 'এজেন্ডা ২০৩০' গ্রহণ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বজনীন লক্ষ্যমাত্রার ওপর আমাদের সম্মিলিত আশা ও আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারপরও ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৭ শতাংশ অর্জনের পথে রয়েছে। স্পষ্টতই, অনেক উন্নয়নশীল দেশ পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
প্রতিবছর উন্নয়নশীল দেশগুলো এসডিজি অর্থায়নে উল্লেখযোগ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়, যা আনুমানিক আড়াই থেকে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে থাকে।
উচ্চ ঋণের বোঝা, রাজস্ব আয় সংকুচিত হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে।
জটিল ও পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ।
বহুপক্ষীয় অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে চালিত হতে হবে, যেখানে সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা সবাই পেতে পারে। তারা যথাযথভাবে সামাজিক ব্যবসাকে নিজ নিজ কর্মসূচির মধ্যে স্থান দেবে। তারা যথাযথভাবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। উদ্যোক্তা উন্নয়নে উৎসাহিত করবে এবং ব্যক্তির সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করবে এবং তারা যাতে বঞ্চিতদের সমর্থন করে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অবৈধ আর্থিক প্রবাহ এবং সম্পদ পাচার প্রতিরোধে আরও বেশি মনোযোগের দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছ থেকে পাচার করা বা চুরি হয়ে যাওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে হবে। আমরা একটি আন্তর্জাতিক কর কনভেনশনের দ্রুত সমাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছি যা কর ফাঁকি মোকাবিলা করতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
অভিবাসন এবং গতিশীলতা:
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে অভিবাসন ও গতিশীলতা একটি অনিবার্য বাস্তবতা।
অভিবাসীদের উৎপত্তিস্থল দেশ হিসেবে আমাদের ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিশ্বব্যাপী বসবাস করে এবং কাজ করে।
অভিবাসন সবার জন্য লাভজনক করতে হলে আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল অভিবাসন ও মানুষের চলাফেরার পথ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং অভিবাসীদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে হবে, তাদের অভিবাসন অবস্থা নির্বিশেষে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'বাংলাদেশ যেমন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট অন মাইগ্রেশনের পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তেমনি আমাদের সরকার অনিরাপদ অভিবাসনকে বন্ধ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলাদেশ আজ ও আগামীকালের চাহিদা পূরণের উপযোগী করে শিক্ষাকে উপযোগী করে তোলার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
‘তবুও, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কাজের জগৎ পরিবর্তিত হচ্ছে যেখানে একজন তরুণকে ক্রমাগত মানিয়ে নিতে হবে, পুনরায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নতুন মনোভাব গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণের পথে যাত্রা করতে যাচ্ছে, তাই আমরা 'লার্নিং' ও 'টেকনোলজি' ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপদ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করছি।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা:
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ও অ্যাপ্লিকেশনের উত্থানে বিশেষভাবে উৎসাহী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণরা দ্রুত জেনারেটিভ এআই উন্মোচনের সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা বিশ্ব নাগরিক হিসেবে চলতে ও কাজ করতে চায়। বিশ্বকে নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কোনো তরুণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতৃত্বাধীন রূপান্তরের সুফল অর্থবহভাবে পেতে পিছিয়ে থাকবে না।’
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ যাতে মানব শ্রমের সুযোগ বা চাহিদা হ্রাস না করে তা বিশ্বকে নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যেহেতু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এবং প্রযুক্তি বিশ্ব অব্যাহতভাবে 'স্বচালিত বুদ্ধিমত্তা' - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা মানুষের কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেরাই প্রচার করতে পারে- আজ আমাদের সকলকে এবং আমাদের বাইরে, প্রতিটি মানুষ ব্যক্তি বা আমাদের সমাজের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, অনেকের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে স্বচালিত বুদ্ধিমত্তা যদি দায়িত্বশীলভাবে বিকশিত না হয় তবে এটি মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজনে শক্তিশালী সম্পদ ব্যবহারের আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসেরঅধ্যাপক ইউনূস বলেন, সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে, উদ্ভাবন এবং বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে তাদের প্রচেষ্টা, সামর্থ্য এবং সম্পদ একত্রিত করা তাদের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু স্থিতিশীলতা বা সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি তা অভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।’
সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের অনন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতা আমাদের সহায়তা করতে পারে।
গ্লোবাল সাউথের জন্য আমাদের কণ্ঠস্বর শোনানোও ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক এজেন্ডা প্রণয়ন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথ সমান স্থান ও গুরুত্বের দাবি রাখে।
এ বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি পারস্পরিক শিক্ষার একটি যৌথ যাত্রা ছিল। আমাদের পরিমিত উপায়ে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার, সাম্য, মানবাধিকার, সামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে একটি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।’
উদাহরণস্বরূপ, তিনি ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে গঠিত ক্ষুদ্রঋণ প্রস্তাব এবং ক্ষুদ্রঋণের বন্ধুদের কথা স্মরণ করেন।
জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে ক্ষুদ্রঋণ বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করার ফলে বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণের প্রসার ঘটে।
তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক সাধারণ পরিষদের বার্ষিক রেজুলেশন বা নিরাপত্তা পরিষদে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক রেজ্যুলেশন ১৩২৫ স্মরণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'নতুন বাংলাদেশের' সঙ্গে নতুন করে সম্পৃক্ত হোন: জাতিসংঘে অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বান
২ মাস আগে