যুদ্ধজাহাজ
৪ দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইটিএস মোরোসিনি।
রবিবার (৩০ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন ফয়েজ জাহাজটিকে স্বাগত জানান।
এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে সফরকারী জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘প্রত্যাশা’ অভ্যর্থনা জানায়।
আইএসপিআর আরও জানায়, সফররত জাহাজটিতে ১৩০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক রয়েছেন। ১৪৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ইতালিয়ান এই জাহাজটির অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন কমান্ডার জিওভান্নি মন্নো।
আরও পড়ুন: ‘মাইলেজ’ জটিলতায় চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ
বাংলাদেশে অবস্থানকালীন জাহাজটির অধিনায়ক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা এবং নাবিকরা বানৌজা ঈসা খান, বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, নৌবাহিনীর সমর কৌশল-বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিস’ (এসএমডব্লিউটি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বিএন আশার আলো’ স্কুল, বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।
ইতালিয়ান নৌবাহিনীর এ জাহাজের সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ২ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: ১৮ দিন উৎপাদন বন্ধের পর অবশেষে জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
শুভেচ্ছা সফরে দেশে এলো যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
এক সপ্তাহের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘এইচএমএস তামার’।রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছলে জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে বাদ্য পরিবেশন করে অভিবাদন জানায়।
এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘ওমর ফারুক’ তাদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে বরণ করে।
কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম ফয়জুল হক জাহাজের অধিনায়ককে স্বাগত জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ
জাহাজে অধিনায়ক কমান্ডার এলিয়ট-স্মিথ টেইলোর নেতৃত্বে ১৬ কর্মকর্তাসহ মোট ৫৯ জন সদস্য রয়েছেন।
এ সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম ফয়জুল হক জাহাজের অধিনায়ককে স্বাগত জানান। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম নৌবাহিনী জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজের অধিনায়ক কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া জাহাজটির কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, বানৌজা নির্ভীক, স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (এসএমডব্লিউটি), বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিএন আশার আলো স্কুল এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন। জাহাজটির শুভেচ্ছা সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ চট্টগ্রাম পৌঁছেছে
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ফাঁকা, আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
এক বছর সামুদ্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শুক্রবার ভারতে প্রথম অভ্যন্তরীণভাবে নির্মিত বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্তকে কমিশনিং করবে।
৪৫ হাজার টন ওজনের যুদ্ধজাহাজ, ৩০টি সামরিক বিমান ধারণ করতে সক্ষম রণতরীটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর কোচিতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে দেশটির নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।
বিক্রান্তকে কমিশনিংয়ের মাধ্যমে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন এবং ফ্রান্সের পর একটি অভিজাত গোষ্ঠীতে ঢুকে পড়ল, যারা এর আগে এত বড় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করেছে।
ভারতের হাতে আগেও এই নামে একটি রণতরী ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেটি দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিল। তারই স্মৃতিতে একই নামে এই যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হয়। এটি ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বিদ্যমান সামুদ্রিক বহরে একটি বিমানবাহী রণতরী, ১০টি ধ্বংসকারী, ১২টি ফ্রিগেট এবং ২০টি কর্ভেট রয়েছে।
পড়ুন: সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, সরকার প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আমরা অধিক উন্নতমানের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করার পরিকল্পনা করেছি।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান-২০১৯ আলফা এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২১ ব্রাভো পাসিং আউট ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে ‘বিএনএস নবযাত্রা’ এবং ‘বিএনএস জয়যাত্রা’- দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে নৌবাহিনীকে সত্যিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, নৌবাহিনী এখন প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দেশের বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ এবং জেলেদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পথ নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
এছাড়া সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজগুলোকে পোতাশ্রয়ে নিরাপদ জেটি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের পেকুয়াতে আধুনিক বেসিন সুবিধা সম্বলিত স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা সক্ষমতা জোরদারে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে সরকার 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক ও আঞ্চলিক শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নৌবাহিনীতে যুদ্ধজাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিদ্যমান জাহাজের অপারেশনাল ক্ষমতা জোরদার করার মতো বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ) এবং সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গত নভেম্বর ২০২১ সালে জার্মানি থেকে একজন নতুন এমপিএ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এভিয়েশন উইংয়ে যুক্ত হয়েছে। আরেকজনকে ২০২২ সালের মে মাসে যুক্ত করা হবে।
হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল পেলেন ১১০ নৌসেনা
লেবাননের বৈরুতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ সদস্য শান্তিরক্ষা মেডেলে ভূষিত হয়েছেন। ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) এর মেরিটাইম টাস্কফোর্স (এমটিএফ) কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আন্দ্রেস মুগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এর কর্মকর্তা ও নাবিকদের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মেডেল তুলে দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের বৈরুতে মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে লেবানীজ নৌবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ ক্যাপ্টেন কমডোর হাইসাম ড্যাননোই ও লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তরের প্রতিনিধি কমডোর সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য
মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠানে এমটিএফ কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আন্দ্রেস মুগে শান্তিরক্ষা মিশন লেবাননে নিয়োজিত নৌবাহিনীর সকল সদস্যকে সফলভাবে মিশন কর্মকান্ড সম্পাদনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া, তিনি সকল নৌ সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি কার্যক্রমে স্বার্থক এবং নিবেদিতভাবে অবদান রাখার জন্য সাধুবাদ জানান। তিনি বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে সকলকে বিশেষ স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘের ম্যানডেট অনুযায়ী ইউনিফিলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাফল্যের ধারাবাহিকতার জন্য নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় প্রশংসিত বাংলাদেশের ভূমিকা
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: ৩ দিনের সফরে মংলায় এসেছে ভারতের যুদ্ধজাহাজ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে তিনদিনের সফরে ‘আই এন এস কুলিশ’ ও ‘সুমেদা’ নামে ভারতের দুটি যুদ্ধজাহাজ মংলায় এসে পৌঁছেছে।
নৌবাহিনীতে আধুনিক ৫টি যুদ্ধজাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ কমিশন করেছেন।
কাতারের পথে বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজ ‘স্বাধীনতা’
কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য সপ্তম আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়া ও প্রদর্শনীতে (ডিআইএমডিইএক্স) অংশ নিতে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘স্বাধীনতা’।
শ্রীলঙ্কার দুই যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রামে
চট্টগ্রাম, ২৬ আগস্ট (ইউএনবি)- চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে শ্রীলঙ্কার দুটি যুদ্ধজাহাজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।