ডি-৮ সম্মেলন
ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় মিশরের রাজধানীতে পৌঁছেছেন।
কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মিশরের পাবলিক বিজনেস সেক্টর মন্ত্রী মোহাম্মদ শিমি।
পরে মন্ত্রীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে সকালে ড. ইউনূস তিন দিনের সফর করতে মিশরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মিসর গেলেন ড. ইউনূস
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানরা ১৯ ডিসেম্বর এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
৪ দিন আগে
ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে রাতে মিসর যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
কায়রোতে ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে মিসর যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টায় ঢাকা ছাড়ছেন তিনি।
এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে করা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধান এতে যোগ দেবেন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তান। মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও নাইজেরিয়ার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও এতে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরোস ইকোনমি’।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব
আজাদ মজুমদার বলেন, ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও এমএসএমই ইস্যুতে সংস্থাটির গুরুত্বকে তুলে ধরে। এ কারণে সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণদের নিয়ে বৈশ্বিক সম্মেলনে কাজ করতে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। এমএসএমই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই বিষয়গুলো এখানে আলোচনা হবে।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবেন বলেও জানান উপ-প্রেস সচিব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও জেষ্ঠ্য সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের কয়েকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এবং সেই প্রস্তুতিও চলছে। এই সপ্তাহে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ কমিশনের ৪৮তম বৈঠকের মাধ্যমে ডি-৮ এর জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ চিহ্নিত হয়েছে।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা।
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
৫ দিন আগে
ডি-৮ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর
আসন্ন ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি জানান, মিশর ২০২৪ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মিশর প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি সংস্থা, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলনে ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডি-৮ এর লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্পর্কের বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় মিশরের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এসময় উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন চলাকালে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে ২০২৪ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য সুযোগগুলো অনুসন্ধান করা হয়।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করতে মিশর সম্মতি জানায়।
সহযোগিতা ক্ষেত্র হিসেবে কৃষি, পেট্রোরসায়ন, বস্ত্রবয়ন ও জাহাজ শিল্পকে গুরুত্ব দেন তারা।
ফিলিস্তিনি জনগণকে বাংলাদেশ যে মানবিক সহায়তা দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় উপদেষ্টা চলমান সংঘাত নিরসনে আরব দেশগুলো এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
২ মাস আগে