শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা
এমপিওভুক্ত (বেসরকারি) শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বিদায় এবং সিআর আবরারের যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে: সিআর আবরার
উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু, ১৫/২০ বছরের বঞ্চনা ১/২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই বেসরকারি বেতন সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে- এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম, কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কিভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘তাদের (এমপিওভুক্ত শিক্ষক) উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা—এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারবো, এখানেও আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াবো—আমি জানি সেটুকু বাজেটের মধ্যে এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রভিশন রাখা হচ্ছে।’
শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটা তহবিল তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে বিদায়ী উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও রাখা হবে। তবে পুরো ফান্ডটাকে টেকসই করতে হলে ১/২ বাজেটে হবে না, ভবিষ্যতে ৩/৪ বাজেটে আশা করি এটার সমাধান হয়ে যাবে।’
‘অবসর এবং কল্যাণ ফান্ডে টাকা এমন একটা ব্যাংকে ইচ্ছা করে রাখা হয়েছিল যে, ব্যাংকটাকে আর টাকা পয়সা নাই। কিছু ফান্ড এমনিতেই চলে গেছে অন্য জায়গায়।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কল্যাণ ভাতা এবং অবসর ভাতা- এটা হল তাদের সবচেয়ে ন্যায্য দাবি। কিন্তু তারা তো সংঘবদ্ধ না। তারা রাস্তাতেও কোনোদিন নামেনি। কিন্তু আমি তো মনে করেছিলাম তাদের ওই দাবিটাই সবচেয়ে আগে মেটানো উচিত।’
১৫ দিন আগে
শিক্ষার্থীরা দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে: সিআর আবরার
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, ‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান? আমি বলব—আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার, যেখানে আমাদের ছাত্র- ছাত্রীরা দেশের ভিতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারে।’
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বগ্রহণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন এই শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভাবিনি—আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা যে আমাকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন; সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন—সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে তা নয়।’
তিনি বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগত। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।
সিআর আবরার বলেন, ‘আমি মনে করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মানে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি—আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভিতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি—এটা হয়তো দ্রুত হবে না। কিন্তু এর একটা ভিত্তিপ্রস্তর আমরা তৈরি করতে চাই।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন সিআর আবরার
এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সকল কিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটা কমিশন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনা নেবে।
তিনি বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।
১৫ দিন আগে
ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার: শিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবে এ বছর কারা ও কতজন এই পুরস্কার পাচ্ছেন তা জানাননি উপদেষ্টা।
রবিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: রমজান উপলক্ষে জীবনের সর্বস্তরে সংযমের বার্তা প্রধান উপদেষ্টার
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বছর দশজনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১৮ দিন আগে
প্রয়োজনে এনটিআরসিএর মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ-এমপিওভুক্তি: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আর্থিক লেনেদেনের বড় অভিযোগ আসছে। আগে শিক্ষাভবনে এমপিওভুক্তি দেওয়া হলেও এখন তা মাউশির নয়টি অঞ্চলে দেওয়া হচ্ছে। এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেন এড়াতে প্রয়োজনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ—এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ ও এমপিভুক্তি একসঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের একমাত্র নিবন্ধিত সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও সরবরাহ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
সভায় ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমনসহ সংগঠনটির নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনো সংষ্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা এ মুহুর্তে সরকারের নেই। এই খাত এখন চরম বিশৃংখলা অবস্থায় আছে। আগে শিক্ষাখাতে সব বিশৃংখলা দুর করে দুর্নীতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এরপর শিক্ষাখাতের বরেণ্যদের নিয়ে একটি ‘শিক্ষাখাতের উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
গুচ্ছে থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনবার চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তিতে কত টাকা ব্যয় হতো, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা কত টাকা আয় করছেন—এই দুটি বিষয়ের হিসাব নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে এই হিসাব নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি একদিনে সমাধান করা সম্ভব না। আমি মন্ত্রণালয়ে একবার বলেছি—সেটাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চাই। সেটি মন্ত্রণালয়ের সবাই শুনেছে। কিন্তু শিক্ষার অধিদপ্তরগুলোতে যাইনি। সেখানে গিয়ে প্রথমে সর্তক করা হবে। তারপর দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একটি উদাহরণ তৈরি করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম খারাপ হয় ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ আলী। তার একটা প্রচণ্ড ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা হলো— ভালো যে কলেজগুলো ছিল, নামকরা কলেজ যাকে বলে— বিএম কলেজ, ঢাকা কলেজ, মুরারীচাঁদ কলেজ, রাজশাহী কলেজ—প্রথমে এগুলোকে ইউনিভার্সিটি কলেজ বানিয়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, এরপর পলিটিক্যালি সব কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করা হলো। জাতীয়করণ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে কলেজ গড়ে তোলা হলো, অনুমোদন নেওয়া হলো। এভাবে গড়ে উঠলো আজকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি বেকার।
আরও পড়ুন: নতুন সব বই শিক্ষার্থীরা কবে পাবে, জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দিলেও বাংলাদেশে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়িয়ে বেকার তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে অর্থনীতির এই শিক্ষক বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণ করে। আর আমাদের এখানে উল্টো। সবাই অনার্স-মাস্টার্স পড়ে বেকার হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো তো আছেই, পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি অন্যায্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা প্রাথমিকের সমমান। অথচ প্রাথমিকে জাতীয়করণ করা হয়েছে কিন্তু ইবতেদায়ীকে বাইরে রাখা হয়েছে। তাদের সমস্যাটা জেনুইন, কিন্তু এই মুহূর্তে অনশন করে আমাদের বিব্রত করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। এটি না করে বরং কি করে কী করা যায়, সেই চিন্তা করতে আমাদের সময় দেন। অগ্রাধিকার অনুযায়ী আমরা যাতে কাজ শুরু করে দিতে পারি। আমরা শুরু করে দিতে চাই যাতে পরবর্তী সরকার এসে বুঝে যে এরা আসলেই বঞ্চিত, এদের জন্য কিছু করা প্রয়োজন।
৫৭ দিন আগে
নতুন সব বই শিক্ষার্থীরা কবে পাবে, জানেন না শিক্ষা উপদেষ্টা
চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ সব নতুন পাঠ্যবই পাবে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
বিগত বছরগুলোতে মার্চের আগে বই পুরোপুরি দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে। আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। বিদেশে কোনো বই ছাপানো হচ্ছে না। দেশের সক্ষমতা কত সেটি এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এতে করে তো দেরি হবেই।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছরই বোঝা গেল, সবগুলো গোডাউনে যেসব আর্ট পেপার জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্ধার করার পরও দেখা গেল যে দেশের ভেতর আপাতত কিছু ঘাটতি আছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে।’
কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী বই পাবে— জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘কবে নাগাদ সবাই সব বই পাবে, এটা আমি জানি না।’
৭২ দিন আগে
যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও সরবরাহ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, বিতরণ ও সরবরাহ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক কাজ।
সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, বিতরণ ও সরবরাহ কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপানোর কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যথাসময়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছানো যাবে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ একটু ধীরগতির হওয়ায় এ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রেস মালিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের এ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন এবং জাতীয় স্বার্থে পাঠ্যপুস্তক দ্রুত ছাপানোর আহ্বান জানান।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় খুনিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৯১ দিন আগে
একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষকরা এখনও জানেন না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা একথা বলেন।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একনেক সভায় প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কেরাণীগঞ্জে সম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে এত বড় ক্যাম্পাস আগে কখনও তৈরি করা হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাবি ক্যাম্পাস স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে, শপথ নিচ্ছেন আরও ৫ জন
এত বড় মেগা প্রকল্প আমরা নেব কি না দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একনেকের গত মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে, তবে এই বিষয়ে ছাত্ররা-শিক্ষকরা জানেন না। কারণ এখন পর্যন্ত কার্যবিবরণী জারি হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাস থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, স্কুল থাকবে, চিকিৎসা কেন্দ্র থাকবে- এরকম একটা প্ল্যান করার অনুমতি একনেক থেকে পাস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটাকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটা মেগা প্রকল্প হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এটার শুরুটা হবে এখন।
উপদেষ্টা বলেন, আর তাদের যে চলমান প্রকল্প আছে সেখানে কিছু জমি অধিগ্রহণ করা এবং জমিগুলো ঠিকঠাক করে কিছু প্রাথমিক কাজ করার। সেটা হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফেইজ। প্রথম ফেইজটাও ওরা জানার আগে আমি নিজ উদ্যোগে, পরিকল্পনা কমিশনে পড়েছিল অনেকদিন ধরে। আমি সেটা পাস আগেই করিয়ে দিয়েছিলাম।
চলমান প্রকল্প নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রকল্প নিয়ে আমি তাদের অভিযোগ বুঝতে পারি। এত বছরে প্রকল্পটা কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি, তারা বলছে- প্রকল্প পরিচালকের অনেক দুর্নীতি হয়েছে। আমি বলেছি তদন্ত করে দেখুক অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হোক।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বুয়েটের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রকল্প পরিচালনা করছে। এটা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তারা চাচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি সেটা চায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনতো স্বায়ত্তশাসিত অনেকাংশে, তারা যদি সেটা চায় তাহলে ইউজিসির মাধ্যমে, মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহায়তা করব কি করে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যায়। মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টা তারা নিজেরাও বলেছে ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। তাদের আন্দোলনের আগেই অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রথম ফেইজ পাস করিয়ে দিয়েছি নিজের উদ্যোগে। মহাপরিকল্পনাটাও আমরা একনেক সভায় পাস করিয়ে দিয়েছি। তারা এটা অবগত ছিল না।
উপদেষ্টা বলেন, তাদের কিছু দাবি আছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। তারা চাচ্ছে এতদিন যত দুর্নীতি হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার (শ্বেতপত্র)। আমি বললাম আমি কি তোমাদের জন্য পেপার তৈরি করব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে তারা তৈরি করবেন।
ছাত্ররা কি আন্দোলন থেকে ফিরে যাচ্ছে- এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ওরা আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে শুধুমাত্র ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এসেছি। মনে করেছি যে আমি তাদের সমস্যার সকল সমাধান দিতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
১২৮ দিন আগে
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে কিন্তু সে তুলনায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। এ কারণে দেশে শিক্ষিত বেকার চরম আকার ধারণ করেছে।
শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শুধু শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার জন্য। আমি শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি আগ্রহ করে সেচ্ছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে কেউ চাপিয়ে দেয়নি। আমি সারা জীবন শিক্ষকতা করেছি তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়ুন: যেতে না পারা প্রায় ১৮০০০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজের অনেক বড় বড় দাবি দাওয়া আমার কাছে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিক এগুলোর সমাধান দিতে পারিনি বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। নিজেকে ছোট মনে হয়। এদেশের শিক্ষকরা বিশেষ করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষকরা আমাদের সমতুল্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। স্বল্প আয় দিয়ে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই শিক্ষকদের জন্য দুঃসাধ্য। এপরিস্থিতিতে শিক্ষকতা পেশায় মনোযোগ দেবেন কী করে?’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেসরকারি স্কুল ও কলেজের পরিচালনা বোর্ডের অপরাজনীতির ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা শোনা যেত। সব নিয়োগ ব্যবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কেন্দ্রীয়ভাবে যোগ্যতা নির্ধারণ করে পদায়নের কারণে শিক্ষকরা পরিবার ছেড়ে দূর-দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছে। তারা নিদারুণ দুর্দশা নিয়ে জীবন যাপন করে। মর্মান্তিক এ বিষয়গুলো পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়। আংশিক সমাধানের চিন্তা করা যায়।’
তিনি বলেন, শিক্ষকদের জবাবদিহির ও দায়িত্বজ্ঞানের বিষয় রয়েছে। শিক্ষকের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যা নিজ থেকে করা যায়। ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুলে এল কি না? তাদের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না? বিষয়গুলো শিক্ষকদের দেখা। ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকদের দরদ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলে অনেক কিছুই সহজ ও সুন্দর হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকারি রাজস্ব আয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিন্মতম পর্যায়ে রয়েছে। যে কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা যথাযথভাবে হচ্ছে না। সরকারি ব্যয়ে দুর্নীতি হ্রাস করতে পারলে এসব ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো সম্ভব। এটা একদিনে হবে না কিন্তু আমরা শুরু করেছি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শুরু আজ
শিক্ষা উপদেষ্ট আরও বলেন, ‘আমরা স্কুলের শিক্ষাক্রম নিয়ে দুরবস্থায় পড়েছি। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও নতুন দেশ গড়ার বিষয় স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্তিকরণ অবশ্যই দরকার। কিন্তু স্কুলের ছেলে মেয়েদের হাতে আগামী বছরের শুরুতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে হবে, তাই সংক্ষিপ্ত সময়ে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করার কারণে আমাদের এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আগামীতে করা হবে।’
তিন বলেন, আমাদের একটি সুপরিকল্পিত জাতীয় শিক্ষানীতি থাকা দরকার। আমাদের সময় সংক্ষিপ্ত পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখছি। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও শিক্ষকদের একটি আচরণ বিধি থাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের জ্ঞান ও বিবেচনা দিয়ে নিজস্ব আচরণ বিধি তৈরি করতে পারেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফয়েজ, ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসেন ভাইজ।
আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
১৬৬ দিন আগে