মন্ত্রিসভা
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মন্ত্রিসভা কমিটি, মনিটরিংয়ের নির্দেশ
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ব্যবস্থা নিতে সরকারি সংস্থাকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি; সেটা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের সরকারি যেসব সংস্থা আছে, তারা যাতে মনিটরিং করে সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যারা উৎপাদন করে, প্রান্তিক চাষি তারা কিন্তু এ মূল্য পায় না, পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। যারা এটা তৈরি করে তারা কিন্তু যে দাম পায় বাজারে আমরা যখন কিনি বা ভোক্তারা যখন কেনে সেখানে অনেক তারতম্য থাকে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মজুতদারিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আইনেই বলা আছে। আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করে তাদের যেন আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করে শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২ দিন (১৬ সপ্তাহ) থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ‘এখন একজন নারীকর্মী শিশুর জন্মের আট সপ্তাহ আগে এবং জন্মের আট সপ্তাহ পরে মিলিয়ে মোট ১৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। খসড়া আইনে ছুটি ১২০ দিন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, একজন নার সন্তান প্রসবের আগে বা পরে তার সুবিধাজনক সময়ে ছুটি উপভোগ করতে পারেন।
এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য তিন হাজারের বেশি কর্মী আছে এমন একটি কোম্পানিতে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সই প্রয়োজন এবং তিন হাজারের কম কর্মী আছে এমন কোম্পানিতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সই প্রয়োজন। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী উভয় ক্ষেত্রেই ২০ শতাংশ সই প্রয়োজন।
একটি গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য ২০ শতাংশ শ্রমিকের (৩০ শতাংশের পরিবর্তে) সই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নয় আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। কারণ ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের একজন বিচারপতি রয়েছেন।
মন্ত্রিসভা বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (অধিগ্রহণের অস্থাবর সম্পদ নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, যাতে এই ধরনের সংস্থাগুলো সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থাবর সম্পদ অর্জন করতে পারে না।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রয়, অনুদান বা অন্য কোনো মাধ্যমে স্থাবর সম্পদ অর্জন করতে পারে না।
সেখানে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে পায়রা-কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভা কূটনৈতিক, পরিষেবা এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তার পারস্পরিক ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করেছে।
এদিকে, বিদেশি জমিতে কৃষি বিনিয়োগের বিষয়ে নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অব্যাহতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণের বৈধতা দিতে এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হলে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সরকার ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।’
প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার আর পদে থাকার সুযোগ থাকবে না।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
খাদ্যদ্রব্যে অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন
ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও সার কেনার প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
ভোজ্যতেল, মসুর ডাল ও সার সংগ্রহসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)।
বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয় উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ১২৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে। এতে প্রতি লিটার তেলের দাম পড়বে ১৬০ দশমিক ৩০ টাকা।
টিসিবি দুটি পৃথক লটে দুটি স্থানীয় কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ১০৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৫ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল কিনবে। এতে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৯ টাকা। আর এই তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো- মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং এমআরটি এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ও ফুডকো এগ্রো সিটি লিমিটেডের কাছ থেকে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে টিসিবি সরাসরি ৬ হাজার টন (এমটি) মসুর ডাল কিনবে। এতে প্রতি কিলোগ্রাম (কেজি) দাম পড়বে ১১১ টাকা।
এ ছাড়া টিসিবি দরপত্র ছাড়াই আরও ২১ হাজার টন মসুর ডাল সরাসরি নাবিল নাবা ফুড, বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফুডকো এগ্রো সিটি এবং জেআই ট্রেডার্সের কাছ থেকে ২৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে কিনবে। যার প্রতি কেটির মূল্য পড়বে ৯৯ টাকা।
বৈঠকে সার আমদানির চারটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ১২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। এতে প্রতি টনে খরচ হবে ৩৬৫ মার্কিন ডলার।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১১৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া সার কিনবে বিসিআইসি। প্রতি টনে খরচ হবে ৩৬০ দশমিক ১২৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ১৩০ কোটি ২ লাখ ব্যয়ে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি, ওসিপি, এস.এ আমদানি করবে। এতে প্রতি টনে খরচ হবে ৩৯৪ মার্কিন ডলার।
কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) থেকে ১৮০ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ৫০ হাজার টন মিউরিয়েট-অব-পটাশ (এমওপি) সার কিনবে বিএডিসি। প্রতি টনে খরচ হবে ৩২৭ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
এটি একই সিসিসি থেকে ১৮০ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৫০ হাজার টন মিউরিয়েট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করবে। প্রতি টনে খরচ হবে ৩২৭ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।আরও পড়ুন: এলএনজি, রাইস ব্রান অয়েল ও সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন
বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনাসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অভ্যন্তরীণ অপরাধ বিচারের জন্য দুটি আদালত থাকবে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, একজন অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে ‘সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন কোর্ট’ এবং অন্যটি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ‘স্পেশাল আনসার ব্যাটালিয়ন কোর্ট’।
তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহ করা, বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করা, বিদ্রোহের ক্ষেত্র তৈরি করা, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের বিচার স্পেশাল আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে করা হবে। এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তিমূলক বিধান সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিচার হবে স্পেশাল আদালতে।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে চারটি ধারার অপরাধকে জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
অপরাধগুলো হলো- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে অনুপ্রবেশ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনটি বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ এর স্থলে প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খসড়া আইনে চারটি ধারার অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং বাকি ধারার অপরাধ জামিনযোগ্য রাখা হয়েছে। চারটি ধারা হলো- ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩ ।
এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে মন্ত্রিসভা সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভা শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অধীনে হবে।’
তিনি বলেন, জন্মের পরপরই যে কোনো নাগরিকের জন্ম সনদ বা একটি অনন্য নম্বর পাওয়ার অধিকার থাকবে, যা অপরিবর্তিত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
তবে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরপরই কার্যকর হবে না। বরং সরকার এর কার্যকারিতার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ইসি বর্তমানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২০০৭ সাল থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর আইন-২০২৩, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৩, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০২৩ এবং সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩-এর খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (২য় সংশোধন) আইন-২০২৩ এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব ডিসএবলড পারসনস অ্যাক্ট-২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯- অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি অনুবিভাগ ইসি’র অধীনে রাখাসহ দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিলেন কর্মকর্তারা
স্মার্ট এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করার উপায়
মজুত বিরোধী নতুন আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায়, অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব
প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘খাদ্য পণ্যের উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
খসড়া আইনে প্রধানত ধান, চাল, গম, আটা ও ভুট্টার মতো খাদ্যশস্য উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন ও বিতরণ সংক্রান্ত অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনটি দুটি পুরানো আইনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে- খাদ্য (বিশেষ আদালত) আইন, ১৯৫৬ এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯।’
মানসম্পন্ন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড আইন, ২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান থাকবেন এবং ১৯ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্পন্ন দুধের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গৃহপালিত পশু পালনে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।
ঋণখেলাপি রোধে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিসভা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
খসড়া আইনের অধীনে, একটি পরিবারের সর্বোচ্চ তিন সদস্য (বর্তমান চার সদস্যের পরিবর্তে) একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর অধীনে পরিচালিত হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, আইনটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
তিনি বলেন, ‘যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।’
পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে এবং এর দ্বারা বিদেশ যাওয়া, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান (তাদের বিরুদ্ধে) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নিবন্ধন নিষিদ্ধ করতে পারে।
এছাড়া, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার যোগ্য হতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
কোনও ব্যাংকের কোনও পরিচালক ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে।
সচিব বলেন, কোনও ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যাংককে ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ব্যাংককে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্য যেকোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারলেও, এখন তা তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
খসড়া আইনে সংযোজিত একটি নতুন বিধান অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংক পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই জামানত, বন্ড বা জামানত দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে আইনের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন নিয়মিত পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য এখানে একটি বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদক আইন, ১৯৪০ এবং ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২- হলো দুটি মাদক আইন।
কিন্তু দুটি আইন শুধুমাত্র ওষুধের বিষয়কে কেন্দ্র করে, প্রসাধনী নয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে প্রায় ৩০ ধরনের অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির পাশাপাশি ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ডিভাইসের উন্নয়নসহ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে ওষুধের সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
বৈঠকে পাইরেসি রোধে শাস্তিমূলক বিধান রেখে কপিরাইট আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড