স্বর্ণের মুকুট
যশোরেশ্বরী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটের সন্ধান মেলেনি এখনও
চুরি হওয়া যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহারের স্বর্ণের মুকুটটির সন্ধান শুক্রবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চুরির ঘটনায় জড়িত যুবককেও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখাসহ ৭ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত এক যুবক মন্দিরে গিয়ে দেবীর কালীর মাথা থেকে স্বর্ণের মুকুট খুলে নিয়ে যায়।
ঐ যুবক স্থানীয় নয়। শ্যামনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমান্ত এলাকায় তার ছবি ছড়িয়ে দিলেও কোনোভাবে তাকে কেউ শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
স্থানীয়দের মতে, সিসি ক্যামেরায় প্যান্ট ও সাদা টিশার্ট পরা এক যুবকের ছবি ধরা পড়লেও চুরির ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা মন্দিরের মূল ফটক খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
সাধারণত শনিবার ও মঙ্গলবার পূজার জন্য মুকুটটি মন্দিরে আনা হয়। মুকুটটি বৃহস্পতিবার চুরি হয়। মঙ্গলবার পূজার পর কেন মুকুট বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের পর মনে হয়েছে, চুরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক বিষ্ণুপদ মণ্ডল বলেন, ‘আমার কাছে স্বর্ণের মুকুট চুরিটাকে সম্পূর্ণ স্যাবোটাজ মনে হয়েছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চুরিটি হতে পারে।’
মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বরতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মন্দিরের পুরোহিত একেক সময় একেক কথা বলছেন।
মন্দির কমিটির নেতারা ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে শ্যামনগর ফিরে তারা চুরির ঘটনায় মামলা করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চে শ্রীশ্রী যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই মুকুট দেবী কালির মাথায় পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: এক উঠানে মসজিদ-মন্দির, ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
২ মাস আগে