গণমাধ্যম
সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সত্য প্রকাশই হোক গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সত্য প্রকাশ করতে পারেনি। এখন ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, সত্য লিখতে আর বাধা নেই। এখন দরকার আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হেলালি, এসএম আমিনুল হক চৌধুরী, আতাহার ইকবাল, মমতাজ উদ্দিন বাহারি, আবু সিদ্দিক ওসমানি, শামসুল হক শারক ও এম আর মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসএম জাফর।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ জরুরি: কাদের গনি চৌধুরী
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সত্যের আরাধনা। তাই সাংবাদিকতা হতে হয় শতভাগ সত্য। সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণে সাংবাদিকতা হয় না।একশ'তে একশ না পেলে যেমন দেশ প্রেমিক হওয়া যায় না, তেমনি শতভাগ সত্য না হলে নিউজ হয় না।
‘আমাদের মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে সত্য উদ্ঘাটন ও সত্যের বিকাশ ঘটানো। একজন সাংবাদিককে আত্মসচেতনতার মাধ্যমে পেশার দায়িত্ব ও নির্দেশনা মেনে চলা আবশ্যক। তবেই দেশ ও দেশের মানুষের সেবা নিশ্চিত হবে।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সঙ্গে যারা যুক্ত—প্রতিবেদক থেকে সম্পাদক—তাদের অবশ্যই কতগুলো মৌলিক দায়িত্ব আছে, যেগুলো এড়িয়ে গিয়ে সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয়; অন্যার্থে সাংবাদিকতার নীতিমালার ভিত্তিগত কিছু বিষয় আছে, যা সর্বজনীন এবং দায়িত্বনির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য। সাংবাদিকতার প্রথম বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের প্রতি। বিল কোভাচ ও টম রোসেন্টিয়েল দ্য এলিমেন্টস অব জার্নালিজম গ্রন্থে একে বলেছেন ‘আ প্র্যাকটিক্যাল অ্যান্ড ফাংশনাল ফর্ম অব ট্রুথ’—বাস্তব এবং কার্যকর সত্য।’
‘এ সত্যের ভিত্তি হচ্ছে পেশাদারিভাবে তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ এবং তা যাচাই করা।সাংবাদিকতা আসলে কেবল তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনার বিবরণ সংগ্রহের পেশা নয়; এটির ভিত্তি হচ্ছে তথ্য যাচাই করাও। ইংরেজিতে যাকে বলে ভেরিফিকেশন, একে আমরা সত্য প্রতিপাদন বলে বর্ণনা করতে পারি।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা: কাদের গনি চৌধুরী
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চাকরির ঝুঁকি, জীবনের ঝুঁকিসহ নানা ঝুঁকি নিতে হয়। সাংবাদিকরা এই ঝুঁকি না নিলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে কীভাবে? অসহায় আত্নসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না। বিগত সরকারের সময় আমাদের সাংবাদিকদের বিরাট অংশকে আমরা অসহায় আত্মসমর্পণ করতে দেখেছি সেল্ফ সেন্সরশিপের মাধ্যমে।
মনে রাখবেন সত্য প্রকাশে বাধা ও বিপদের সম্মুখীন হলেও সমাজের সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ায়।
১১ দিন আগে
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোও প্রচার হওয়া উচিত।
গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
এ সময় তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ দিন আগে
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ভিন্নমত-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে: টিআইবি
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর অনেক ধারা নাগরিকদের বাক, ভিন্নমত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের অধিকার খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ অধ্যাদেশে অনেকাংশে আগের কালো আইনসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক বৈশিষ্ট্য রয়ে গেছে।
টিআইবি বলছে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে যথাযথ পর্যালোচনার সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে এ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘অধ্যাদেশটি পর্যালোচনা করে আমরা দেখছি, এতে অনেকাংশে পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের এজেন্ডা ও ভাষ্যেরই প্রতিফলন ঘটেছে। একাধিক ধারায় পূর্বের ডিএসএ বা সিএসএ-এর পুনরাবৃত্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পতন ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক ধাক্কা: টিআইবি
তিনি বলেন, এ অধ্যাদেশ জনগণের বাক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং সংগঠনের অধিকারকে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। নতুন অধ্যাদেশটি দেশবাসীর ডিজিটাল অধিকার নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলা হলেও বাস্তবে এতে আমরা অনেকটাই আগের কালো আইনসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকতে দেখছি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অধ্যাদেশে অনেক জটিল ও অস্পষ্ট শব্দ, শব্দগুচ্ছ ও ধারণার ব্যবহার করে এর অপব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে একটি জগাখিচুড়ি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অধ্যাদেশটির খসড়া প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়নি এবং যথাযথ পর্যালোচনার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে এমন প্রক্রিয়ায় এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারিমূলক অধ্যাদেশ অনুমোদন পাওয়া বিব্রতকর।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অধ্যাদেশ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য, যদিও ধর্মীয় অনুভূতির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তদুপরি, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত যেমন অগ্রহণযোগ্য, একইভাবে সকলের সমঅধিকার, অসাম্প্রদায়িক এবং বৈষম্যবিরোধী মূল্যবোধের উপর আঘাতও একই মাত্রায় অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। এ ধরনের ধারা যদি সংযুক্ত করতেই হয়, তাহলে ধর্মীয় মূল্যবোধে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না। সকল মানুষের সমান অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা এবং সার্বিকভাবে বৈষম্যহীন মূল্যবোধের প্রতি আঘাত আনে এমন মন্তব্যও সমানভাবে অগ্রহণযোগ্য হবে, এমন ধারা সন্নিবেশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, অধ্যাদেশটি বর্তমান অবস্থায় জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে না। আশা করি, অধ্যাদেশটি প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে অগ্রসর হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ঢেলে সাজানো হবে, যাতে সাংবিধানিক অঙ্গীকার এবং সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনসমূহ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সুরক্ষিত হয়।’
টিআইবি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ পর্যালোচনা করেছে এবং সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, এই অধ্যাদেশের কাঠামো এবং বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অধ্যাদেশটি সাইবার সুরক্ষা, সাইবার অপরাধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় একত্রিত করার চেষ্টা করলেও, এর অস্পষ্ট শব্দাবলী ও জটিল ভাষা সাধারণ জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছে। আবার, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’, ‘ব্লকচেইন’ এবং ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটিং’ এর মতো প্রযুক্তিগত শব্দগুলোর সঠিক সংজ্ঞা না থাকার কারণে আইনের প্রয়োগে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
টিআইবি মনে করে, অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ও পুলিশকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা পূর্বের সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ধারা ২-এ ব্যবহৃত ‘কম্পিউটার’, ‘উপাত্ত ভাণ্ডার’ এবং ‘কম্পিউটার সিস্টেম’-এর সংজ্ঞাগুলো অতিরিক্ত বিস্তৃত এবং প্রযুক্তিগত বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যা আইনের প্রয়োগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, অধ্যাদেশের শিরোনাম এবং কাঠামোও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। শিরোনামে সাইবার সুরক্ষা, সাইবার অপরাধ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সব কিছু একত্রিত করা হলেও, এতে কিছু অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। ধারা ৮-এর উপ-ধারা (২)-এ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব, রাজনৈতিক অপব্যবহার বা নাগরিকদের ইন্টারনেট অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে। ধারা ১৬ ও ১৭-এ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সনদপ্রাপ্ত মনিটরিং প্রক্রিয়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাঙার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট বিধান থাকা উচিত। ধারা ২৫-এ সাইবার বুলিং, অপমান, হয়রানি বা ব্ল্যাকমেইলের বিষয়টি খুবই বিস্তৃত এবং বিভ্রান্তিকরভাবে আনা হয়েছে, যা যুক্তিসঙ্গত সমালোচনাকেও ‘অপমান’ বা ‘হয়রানি’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, ফলে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। এ কারণে, এই ধারাটি সংশোধন করে সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এরশাদুল করিম টিআইবির পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
১০৬ দিন আগে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘খর্ব করার চেষ্টায়’ বিএনপির উদ্বেগ
দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আজ একটা ভয়াবহ কাজ শুরু হয়েছে… যেটা হচ্ছে, সংবাপত্রের ওপর আঘাত, স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আঘাত। যার জন্যে আমরা সব সময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তিনি প্রথম সংবাদপত্রকে মুক্ত করেছিলেন।… সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছে খালেদা জিয়ার সময়ে, বিএনপির সময়ে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।’
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে দায়িত্বশীল আচরণ করুন: বিএনপি নেতাদের তারেক
বিএনবি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যখন দেখছি, কিছু সংখ্যক হঠকারী, কিছু সংখ্যক উসকানিদাতা তারা বিভিন্নভাবে এই সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বিঘ্নিত ও ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন যেটা কোনোমতেই সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়।’
‘আমি অনুরোধ জানাব, অনুগ্রহ করে এই ভয়াবহ আত্মহননের কাছ থেকে সরে আসুন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করুন।’
এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরারও আহ্বান জানান তিনি। বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সব কিছু একসঙ্গে করে ফেলা সম্ভব নয়। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই পারে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে।… তার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
‘তারেক রহমান: পলিটিক্স এন্ড পলিসিস কনটেমপরারি বাংলাদেশ’ বইটি লিখেছেন সাংবাদিক জয়নুল আবেদীন। বইটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কের ‘উড ব্রিজ’।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
১৪২ দিন আগে
গণমাধ্যমে হামলা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গণমাধ্যমে হামলা হলে আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি দ্যা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে হামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে, সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।
আরও পড়ুন: শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ‘এটা কেবল আইনি বিষয় নয়, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে৷ সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব মানুষের সঙ্গে সংলাপে বসে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট করা। তবে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে সেটা পালন করবে। গণমাধ্যমে হামলা হলে আমরা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি জনগণ সভা-সমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে, সে আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।’
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এজন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট হয়ে যায়।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সেজন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল, তা রাতারাতি বদল করে স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তবে আমরা মেট্রোপলিটন পুলিশকে গ্রামে ট্রান্সফার করেছি, মফস্বলের পুলিশ ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের একটু সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। আর তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আমাদের অনেক তথ্য নিয়ে সহায়তা করে সে জায়গা থেকে আমরা সহায়তা কামনা করছি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি তো পরিবর্তন হবে৷ আমরা পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। পুলিশ সংস্কার কমিশন আছে তারা সুপারিশ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে আমরা বিপ্লব পরবর্তী অবস্থার মধ্যে আছি৷’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশে বিপ্লব পরবর্তী ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে জনগণের ভেতরে যে নানা ধরনের শক্তির অংশ থাকে তাদের অনেক ভূমিকা রাখতে হয়। পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে। তবে নিপীড়কের ভূমিকায় যেন না যায় বা আমরা একটা পুলিশি রাষ্ট্র যেভাবে দেখেছি সেটা আমরা প্রত্যাশা করি না। আমরা উভয় সংকটের মধ্যে আছি। আমরা আশা করছি সে জায়গা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব। আমরা কখনোই চাই না পুলিশ জনগণের বিপক্ষে, ছাত্রদের বিপক্ষে দাঁড়াক, আন্দোলনে গুলি চালাক৷’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র নিহতের বিষয়ে বিগত সরকারের দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে। বিগত ফেসিস্ট সরকারের লুটপাট করা টাকা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। দেশে ও দেশের বাইরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
১৪২ দিন আগে
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না।
রাজশাহীতে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় তিনি বলেন, 'প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা অন্য কোনো গণমাধ্যমের সাংবাদিকতা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আইনি প্রতিকার চাইতে আদালতে যেতে পারেন।’
তিনি বলেন, 'আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করতে পারেন। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নতুন নয়। এটা শত শত বছর ধরে চলে আসছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
১৪২ দিন আগে
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই। এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। সেই সময় কেটে গেছে। উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের তথ্য প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যম সংস্কারে ইতোমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের অংশীদারিত্ব প্রকল্প থেকে ৩০ লাখ নগরবাসী বিশুদ্ধ পানি পাবে: রাষ্ট্রদূত
১৫৬ দিন আগে
গণমাধ্যমের পরাজয় মানে রাষ্ট্রের পরাজয়: কাদের গণি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, গণমাধ্যমের পরাজয় মানে জনগণের পরাজয়। আর জনগণের পরাজয় মানে রাষ্ট্রের পরাজয়। তাই গণমাধ্যমকে পরাজিত হতে দেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ ও জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে সভাপতি গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সত্য বলার সাহসিকতা সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র। সৎ সাংবাদিকতা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। সৎ সাংবাদিকতা সত্যের আরাধনা করে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজকে এগিয়ে নেয়, গণতন্ত্রকে বিকশিত করে। তাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা করতে হবে। সততা না থাকলে সাংবাদিকতা থাকে না। সাংবাদিকদের কলম মুক্ত হলে সমাজ উপকৃত হয়। আবার কলমের শক্তিকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার না করলে জাতির সর্বনাশ ঘটে। তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে কোনো অজুহাত নয়। একপেশে, দলবাজি সাংবাদিকতা নয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়, গণমানুষের মনের কথা পত্রিকার পাতায় পাতায় তুলে ধরতে হবে। যতই অলিখিত সরকারি কালাকানুন থাকুক না কেন, ক্ষমতাশালীদের বাধা থাকুক না কেন, গণমানুষের কথা আমাদের বলতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ দাস সাংবাদিকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। তাদের আত্মসমর্পণকে ঘৃণা করে। তাই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সম্পাদক-সাংবাদিকদের নির্ভীক, নির্লোভ ভূমিকা পালন করতে হবে।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্র জাতির দর্পণ শুধু কাগজ-কলমে নয়, বক্তৃতা-ভাষণে নয়, সত্যিকারভাবে জাতির বিবেকের ভূমিকা পালন করতে হবে। মোহমুক্ত হয়ে সাংবাদিকতা করতে পারলেই বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করা সম্ভব হবে।
সাংবাদিক নেতা গণি বলেন, তথ্যনির্ভর কোনো সংবাদ বা কলাম বিগত ১৫ বছরে পত্রিকায় দেখা যায়নি। তখন পত্রিকা অফিস থেকে বলা হতো, প্রকাশে অনেক ঝুঁকি আছে। ঝামেলা আছে। বাধা আছে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয় সবসময়।
জেইউসি'র সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখনও চুড়ান্ত বিজয় আসেনি। আংশিক বিজয় এসেছে। এখনও দেশের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। কখনও আনসার বিদ্রোহ হয়ে, কখনও বিচার বিভাগে, কখনও সরকারের উপদেষ্টাদের বিতর্কিত করার চেষ্টার মধ্যদিয়ে। এখন আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজ ও কথায় যদি আমাদের না মেলে তখন নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এখন সেই সময় নয়। ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারলে বিজয় ধরে রাখা যাবে না।
সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের হয়ে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের বড় একটা অংশ হলো সাংবাদিক। এই সাংবাদিকরা ঠিক থাকলে দেশে ফ্যাসিবাদ হতো না।
তিনি দেশে কোন গণমাধ্যম বন্ধ হবে না জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরের মতো সাংবাদিকতা করলে হবে না।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুস সাব্বির ভূঁইয়া, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
১৬৭ দিন আগে
গণমাধ্যমকে হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেবে সরকার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত অবরোধ ও হুমকির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে হুমকি এবং সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, 'এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৭৫ দিন আগে
সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের আরও পেশাদারিত্বের জায়গায় নিয়ে আসার মাধ্যমে তরুণদের এই পেশায় সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘সংবাদ মাধ্যম সংস্কার: কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লব সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ‘রেজিসটেন্স’ ছিল না। এর ফলে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এই আন্দোলন নিয়ে অনেক তথ্য প্রচার হয়নি। এর কারণ হাউজের উপরে হাউজ। এর জবাবদিহিতার দায়িত্ব কে নেবে?
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে জিমি আমির বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ওয়েজবোর্ড শব্দের মাধ্যমে ডিগনিটির এই পেশাকে খানিকটা খাটো করা হয়। ওয়েজবোর্ড না বলে এটাকে বোর্ড অব স্যালারি অ্যান্ড বেনিফিট করা যায় কিনা? এবং তা পত্রিকা, টিভি, অনলাইন, রেডিও জন্য অভিন্ন করা। পাশাপাশি সব ধরণের সংবাদ মাধ্যমের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা। এখন আমাদের সময় হয়ে গেছে খোলাখুলি আলোচনা করার। যদি সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র মুখ তুলে দাঁড়াতে পারবে না। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়বে। সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে: নাহিদ ইসলাম
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
১৯২ দিন আগে