জুন
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের (এএনএফআরইএল) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।’
আরও পড়ুন: বাধা দূর করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদলে ছিলেন, নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে, এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতার যাচ্ছেন ৪ নারী ক্রীড়াবিদ
প্রতিনিধিদলটি অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
১৫ দিন আগে
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তারা চান আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম পর্বের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় আছি। গুজব হলো এই জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পরাজিত শক্তির মস্ত বড় হাতিয়ার। গুজব দেখলেই গুজবের সূত্রের সন্ধান করতে থাকবেন। গুজবকে অবহেলা করবেন না। বহু অভিজ্ঞ সমরবিশারদ এই গুজবের পেছনে দিনরাত কাজ করছে, সীমাহীন অর্থ এর পেছনে নিয়োজিত আছে। এর মূল লক্ষ্য জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করা। আমরা তাকে ব্যর্থ হতে দেব না।
সামগ্রিক ঐক্য পলাতক শক্তির গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তারা এই ঐক্য ভাঙতে চায়। তাদের অভিনব কৌশল আপনি টেরই পাবেন না। আপনি বুঝতেই পারছেন না কখন তাদের খেলায় আপনি পুতুল হয়ে গেছেন। আমাদের সচেতনতা এবং সামগ্রিক ঐক্য দিয়েই এই গুজবকে রুখতে হবে। পলাতক অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাকে সঙ্গে করে আমি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্যাম্পে অবস্থানরত এক লাখ নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরের সঙ্গে ইফতার করেছি। আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি পৃথক অধিবেশনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজক হতে এগিয়ে এসেছে।
‘গত ষোলো বছরে শেখ হাসিনা যে ভয়াবহ লুটপাট কায়েম করেছিল, আপনারা সেটার ভুক্তভোগী ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখেও তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি রেখে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অন্য সুযোগগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুনের মধ্যে এটি আট শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছি।
‘দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিতে স্বস্তি নিয়ে এসেছে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড গড়েছে। প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার হয়েছে,’ বলেন তিনি।
৪০ দিন আগে
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কখন হবে: শফিকুল আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচন এ বছরের শেষ নাগাদ, নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে; তা নির্ভর করছে জুলাই চার্টারের ওপর বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু কিছু সুপারিশ তিনি তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে নির্বাচনের কথা বলছে, সেখানে বর্তমান সরকার কী এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে, প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলছেন ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন যে সুপারিশগুলো করবে, সেটা নিয়ে একটি ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তবর্তী সরকার। সেই কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।’
‘ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। বাকি পাঁচটা কমিশন প্রধান এটার সদস্য। এই ছয়টি কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবে ঐকমত্য কমিশন। তারপর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে—কতটুকু করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যেসব সুপারিশে সবাই একমত হবে, রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে সই করবে। এরপর যেটা দাঁড়াবে, সেটা হবে জুলাই চার্টার। সেটার বাস্তবায়ন বর্তমান সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকার কিছু করবে। আর সেই বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে—নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
ছয়টি কমিশনের মধ্যে চারটির প্রতিবেদন গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে জমা দেওয়া হয়। আর আজ জমা দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন।
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের সুপারিশে—এমন তথ্য দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদিও আগের সরকারগুলো বলেছে যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কোনোদিনও স্বাধীন ছিল না। নতুন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘৩৫১ পাতার এই প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংস্কারও লাগবে। বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা আনতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। তার আলোকে কিছু কাজও রয়েছে। আপনারা দেখেছেন বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালার কথাও এসেছে সুপারিশে।’
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস
বিচার বিভাগীয় কমিশনের সুপারিশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশ হচ্ছে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস করা। বিশ্বের অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। সারা দেশে প্রায় চার হাজার পাবলিক প্রসিকিউটর আছেন। এই পুরো পাবলিক প্রসিকিউটর আসলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনুগতদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এলে আগের সেই চর্চা আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে যেভাবে রিক্রুট হয়, সেভাবে এটা হবে। এটির মূল কারণ হলো—আদালতে ফৌজদারির মামলার ৪০ শতাংশ সরকারই দাখিল করে, দেখা যাচ্ছে পুলিশ এটা করে। পরে সরকারকে এই মামলাগুলো লড়তে হয়। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস যাতে ভালো হয়, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।’
স্বাধীন তদন্ত সংস্থা
এছাড়াও প্রতিবেদনে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়, পুলিশই সেগুলোর তদন্ত করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশকে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে তদন্ত করা হয়। আমরা অনেক দেখেছি, বাংলাদেশের বড় বড় মামলাগুলো পুলিশি তদন্তের কারণে কীভাবে কলুষিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তগুলো খুবই রাজনৈতিক, অনেকক্ষেত্রে এগুলো ম্যানিপুলেট করা যায়।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার: শফিকুল আলম
শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চকে তারা ডিভিশনে (বিভাগীয় শহরে) সেটআপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। আগের হাইকোর্ট দেখেন, ১৯৭১ সালের পরে যে হাইকোর্ট, সেই একই হাইকোর্ট, একই জায়গায় আছে। এ জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুরো উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য আইনি সহায়তা আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। এই কাজটা যাতে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায়, এমন সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ গ্রামগুলো এখন বড় হচ্ছে। আধুনিক জীবনের অনেক বিষয় এসে গেছে সেখানে। যে কারণে সেখানে অনেক মামলা হয়,’ বলেন প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আর আইনজীবীদের রাজনীতি নিয়ে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।
৮৮ দিন আগে
জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার আগামী জুনের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল পাওয়ার আশা করছে।
তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটনে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা আগামী জুনের মধ্যে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছি ‘
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে আইএমএফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জয়েন্দু দে'র নেতৃত্বে আইএমএফের একটি মিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে আইএমএফের তৃতীয় পর্যালোচনা মিশন আজ ঢাকায় পৌঁছেছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ওপেক তহবিলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সরকার আগামী জুনের মধ্যে কিছু প্রতিশ্রুতি আশা করছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অদূর ভবিষ্যতে এডিবি এবং ওপেক তহবিল থেকেও অর্থায়ন আশা করছি। প্রতিশ্রুতি আসবে, কিন্তু এক বছরেও সহায়তা সরবরাহ আসবে না।’
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আইএমএফ মিশন তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগামী বছরের মার্চ মাসে আবারও আসতে পারে।
চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ১১১ কোটি ডলার ছাড় করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আইএমএফ মিশনের এই সফরে প্রাথমিকভাবে রাজস্ব খাত, রাজস্ব ঘাটতি, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে কৌশলগুলো নিয়েছি এবং আগামীর জন্য যে পরিকল্পনাগুলো করেছি তাও তারা মূল্যায়ন করবে। ব্যাংকিং সংস্কার, খেলাপি ঋণ, আমানতকারীদের চাপসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ মিশন।’
ড. সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, পুরোপুরি না হলেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখনই সময় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং বিদেশি দাতাদের অবদান রাখতে উৎসাহিত করার।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। কিছু ব্যাংকের তারল্য সহায়তার প্রয়োজন হলেও বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. সালেহউদ্দিন উল্লেখ করেন, বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকলেও আমদানি কম, বিশেষ করে উৎপাদনকারী উপকরণ।
তিনি বলেন, 'আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছি।’
আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে আরও কয়েকদিন অবস্থান করবে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে আমরা যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব তা দীর্ঘমেয়াদে দেশকে উপকৃত করবে।’ ভবিষ্যতের প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে- এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াকে এড়িয়ে যায় সরকার।
তিনি বলেন, ‘সমস্ত পদক্ষেপ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হয় এবং ভালভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আইএমএফ মিশনও আশ্বস্ত ‘
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আইএমএফ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার পর বাড়তি অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন চলমান ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছি, পরে অতিরিক্ত তহবিল চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের মতো সরকারের সংস্কার উদ্যোগের জন্য বৈদেশিক অর্থায়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি হিসাবের ভারসাম্য মোকাবিলার ব্যবস্থা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
১৫২ দিন আগে
জুনে ১৭২.৯৫ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
গত জুন মাসে সারাদেশে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৭২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের অস্ত্র, গুলি, মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অভিযানে ৩ কেজি ৮৯১ গ্রাম স্বর্ণ, ১৬ কেজি ২০ গ্রাম রুপা, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৩ হাজার ৫০১ পিস ইমিটেশন জুয়েলারি, ১৭ হাজার ৫১৮টি শাড়ি, ১২ হাজার ৪৪৪টি থ্রিপিস/শার্টপিস/বিছানার চাদর/কম্বল, ১ হাজার ২২২ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৩৯৭ কেজি চা পাতা, ১০ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, ১২০ ঘনফুট পাথর, তিনটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ১১টি ট্রাক, ৮টি পিকআপ ভ্যান, ৬টি প্রাইভেট ও মাইক্রোবাস, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৩টি ট্রাক্টর, ৩১টি সিএনজি/হিউম্যান হলার, ৪৩টি মোটরসাইকেল ও ৩২টি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি পিস্তল, একটি বন্দুক, দুটি ম্যাগজিন ও ১৩ রাউন্ড গুলি।
চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে আরও রয়েছে- ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৯৭৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১৪ হাজার ৮৮৯ কেজি হেরোইন, ১২ হাজার ৫৩২ বোতল ফেনসিডিল, ১২ হাজার ৮৮৫ কেজি কোকেন, ২০ হাজার ৫৭ বোতল বিদেশি মদ, ৮৩১ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ১২৪ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৩৯টি ইনজেকশন, ১ হাজার ৭৬৩টি এসকাফ সিরাপ, ৪০০০ এনেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৩৮৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ৭ বোতল এলএসডি এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
এ সময় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৪ জন চোরাকারবারি, ১৫৬ জন বাংলাদেশি, ৪ জন ভারতীয় ও ৩০৬ জন মিয়ানমারের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শরিফুল ইসলাম।
২৯৮ দিন আগে
জুনে এলপিজির দাম কমেছে কেজিতে ২.৫৩ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুন মাসে কেজিতে ১১৬ টাকা ০৮ পয়সা থেকে ২ দশমিক ৫৩ টাকা কমে ১১৩ দশমিক ৫৫ টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকায় বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আরও পড়ুন: ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির বর্ধিত দাম কার্যকর আজ থেকেই
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি আরও জানায়, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৩০ টাকা কমায় এখন তা ১ হাজার ৩৯৩ টাকার পরিবর্তে (ভ্যাটসহ) ১ হাজার ৩৬৩ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আকারের ভিত্তিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত আনুপাতিক হারে কমবে বলে জানায় বিইআরসি।
সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম কমেছে বলে জানান বিইআরসির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দাম ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা থেকে কমে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হওয়ায় এই গ্যাসের বাজার শেয়ার ৫ শতাংশের কম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: ১২ কেজির এলপিজিতে দাম কমল ৪৯ টাকা
কেজিতে ৩.৩৪ টাকা কমল এলপিজির দাম
৩৩৫ দিন আগে
জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
আগামী জুন মাসের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।
তিনি বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেলের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমানা আলী বলেন, পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
৪০১ দিন আগে
জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
জুন মাসে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি জুনে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল। গ্রামীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯.৩২ শতাংশ থেকে জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৫ শতাংশে।
শহরে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি (মে) ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির হার একটি নির্দিষ্ট সেটের চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার মূল্যের গড় পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে, যা গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বাজারের ঝুড়িকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সিপিআই রিলিজ জনসংখ্যার তিনটি গোষ্ঠীকে জাতীয়, শহুরে ও গ্রামীণ হিসেবে উপস্থাপন করে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে বিবিএস দ্বারা সিপিআই সংকলনের আধুনিকীকরণ মূলত আইএমএফ-এর সর্বশেষ ২০২০ সিপিআই ম্যানুয়াল অনুসরণ করে বাংলাদেশে সিপিআই সংকলনের একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
৬৭১ দিন আগে
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।
বৃহস্পতিবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, একসময় এটি স্বপ্ন ছিল এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময় আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
কক্সবাজারে চলাচলের জন্য টুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দ্বারা ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪ টি কোচ কেনা হবে যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
কাজের অবগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন যে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রী এ সময় নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
মন্ত্রী পরে পরিদর্শনকালে প্রায় ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইনে পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেল লাইন সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯ টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২ টি কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভাপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেললাইনটা নির্মিত হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আনা হবে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ আরামদায়ক, সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা সম্ভব হবে
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৮৭৮ দিন আগে
জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু
জুন মাসে সারাদেশে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩ শিশুসহ ৫২৪ জন নিহত ও ৮২১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৪ জন মারা গেছে, যা মোট মৃত্যুর ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী, ৮৬ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ সময়ে ৮টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৬ জন আহত হয়েছে এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৯টি (৩৪.০৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৪টি (৩৭.২৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১৫.৪১ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি (১২ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১.২৮ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে ২৫.০৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৫.৪১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৬.৪৮ শতাংশ, খুলনায় ১৪.৩৪ শতাংশ, বরিশালে ৯ শতাংশ, সিলেটে ২.৭৮ শতাংশ, রংপুরে ১০.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬.৪২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে, ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত।
আরএসএফ সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পিছনে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার সমাধানের জন্য এবং সেগুলো ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
১০৩৫ দিন আগে