প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড
বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত
কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পাববেন বলে জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।
তথ্য অধিদপ্তর সে আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তর থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।
নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের পর অধিদপ্তর থেকে কিছু সংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে তথ্যবিবরণীতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
মূলত কার্ড বাতিলের কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন কার্ড নবায়ন না করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোটার অতিরিক্ত কার্ড গ্রহণ, অপসাংবাদিকতা, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল, ফৌজদারি মামলার আসামি, বিভিন্ন কারণে গ্রেপ্তার ও কারা অন্তরীণ, অপেশাদার ব্যক্তির রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্ড গ্রহণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপাচার ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকা ও উসকানি দেওয়া, ফ্যাসিবাদের ঘনিষ্ঠ দোসর, গুজব ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়েছে।
তথ্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, তথ্য অধিদপ্তর সাংবাদিকদের বাতিল করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদপ্তর সেসকল আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩ দিন আগে
আরও ৩০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল
ইমদাদুল হক মিলন, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও আহমেদ জোবায়েরসহ আরও ৩০ সাংবাদিকের স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে প্রেস ইনফরমেশন বিভাগ (পিআইডি)।
গত ৩ নভেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবিরের সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
এতে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা-২০২২-এর ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ এবং ৯.৬ ধারা অনুযায়ী এই অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করা হয়েছে।
যেসব সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- নিউজ টোয়েন্টিফোরের রাহুল সাহা, ডিবিসি নিউজের মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম, দৈনিক জাগরণের আবেদ খান, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, বাসসের ওমর ফারুক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির মাসুদা ভাট্টি, ডিবিসি নিউজের নাজনীন নাহার মুন্নী, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।
এর আগে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফারজানা রূপা ও ফরিদা ইয়াসমিনসহ ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে সরকার।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সোমবার বলেছে, ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিলের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় তারা 'উদ্বিগ্ন'। এসব সাংবাদিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থনের দায়ে চারজনকে আটক রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
১ মাস আগে
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার সই জালিয়াতি; লিখিত জবাব চেয়েছে অধিদপ্তর
আর্থিকসহ নানা অনিয়মের কারণে মোহাম্মদ আলী (আবির) নামে এক সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদপ্তর।
পরে অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তার (পিআইও) সই জালিয়াতি করে একই নম্বরের নকল প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড তৈরি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সহায়তার আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী (আবির) নিউজটুনারায়ণগঞ্জডটকমের প্রধান প্রতিবেদক।
এ ঘটনায় রবিবার (২০ অক্টোবর) নিউজটুনারায়ণগঞ্জডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।
চিঠির অনুলিপি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারসহ (সচিবালয়) সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরামের (বিএসআরএফ) লিখিত অভিযোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও তথা অধিদপ্তরের ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির মৌখিক, লিখিত ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ যাচাই করে গত ২ অক্টোবর নিউজটুনারায়ণগঞ্জডটকমের চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ আলীর (আবির) প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড (অস্থায়ী ৬৪৩৫) বাতিল করা হয়।
২ মাস আগে