আপিল পুনরুজ্জীবিত
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল পুনরুজ্জীবিত
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এই আদেশের ফলে সর্বোচ্চ আদালতে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটির ফের শুনানি হবে।
মঙ্গলবার এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির সময় আদালতে দলটির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ আপিলটি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় হাইকোর্ট মামলাটি সরাসরি আপিল বিভাগে পাঠিয়েছিলেন। সেই আপিল শুনানি ছাড়াই খারিজ সঠিক হয়নি মর্মে আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করতে আবেদন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে একটি বিলম্ব মার্জনার আবেদন ছিল। আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে করা আপিলের ওপর ফের আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
গত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।
তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবার ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২১ অক্টোবর শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। তবে ২২ অক্টোবর বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির কার্যতালিকায় আসে।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পরে গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
২ মাস আগে