জাদুঘর নির্মাণ
গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণ করতে উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিলেন অধ্যাপক ইউনূস
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা প্রাসাদ পরিদর্শনকালে এ নির্দেশনা দেন। বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এখানেই বসবাস করেছেন। এখন এটি দমন-পীড়ন ও তার বর্বর শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সৌদির বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের
ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাদুঘরের তার(হাসিনার) দুঃশাসনের স্মৃতি এবং তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার সময় জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সেসকল স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা উচিত।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরপরই গণভবনে লাখো মানুষের ঢল নামে।
বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে ‘খুনি হাসিনার’ (খুনি হাসিনা) মতো প্রতিবাদী বাক্য লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্বৃত করে উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে যে আয়নাঘরে আটক করেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘর দর্শনার্থীদের গোপন বন্দীদের নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেছেন তিনি।
ছাত্রনেতা ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসিনা সরকারের অপকর্মগুলো জাদুঘরে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখছেন যে তারা কীভাবে তাদের বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মরণে স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
৩ সপ্তাহ আগে