আইতানা বনমাতি
ব্যালন দ’র: মেয়েদের ফুটবলে বার্সেলোনার জয়জয়কার
আর্থিক সংকটের কারণে পুরুষ দলটি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ভুগলেও বার্সেলোনার নারী দলটি যেন হাওয়ায় ভেসে চলেছে। ক্লাবটিকে দুহাত ভরে সাফল্য এনে দিচ্ছে বার্সার মেয়েরা। ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানেও তাই একের পর এক স্বীকৃতি পেল তারা।
টানা দ্বিতীয় ব্যালন দ’র বনমাতির
মেয়েদের ফুটবলে টানা দ্বিতীয়বার ব্যালন দ’র জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি। গত মৌসুমেও তার হাতেই উঠেছিল ফুটবলের ‘অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কারটি।
আরও পড়ুন: রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
গত ১৮ মাসে বিশ্বকাপ ও দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর বার্সেলোনার কোনো ফুটবলারই যে এবারও ব্যালন দ’র জিততে চলেছেন, তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। তবে শেষ হাসিটা ফুটেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টুর্নামেন্ট সেরা বনমাতির মুখেই।
সোমবার দিবাগত রাতে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যানের কাছ থেকে ব্যালন দ’র ট্রফিটি গ্রহণ করেন বনমাতি।
১ মাস আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
১ মাস আগে