ফতুল্লা
ফতুল্লায় কাগজের বাক্সে নবজাতকের লাশ!
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কাগজের বাক্স থেকে একদিন বয়সী নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকার সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, শান্তিধারা এলাকায় অবস্থিত পিবিআই অফিসের বিপরীত দিকের সড়কের পাশে একদিন বয়সী নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ কাগজের বাক্সে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের পর শিশুর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ফুটপাত থেকে ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ফতুল্লায় রাস্তায় লাশ ফেলে পালালেন নারী
নারায়ণগঞ্জে রিকশায় করে এনে ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছেন এক নারী।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সবজি বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিলায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তির লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশের একটি কারখানার সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, রিকশায় চড়ে আসা এক নারী বৃদ্ধের লাশটি সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ওই ব্যক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তার পায়ে পুড়ে যাওয়ার পুরাতন চিহ্ন দেখা গেছে এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যা না মৃত্যু ওই নারীকে পাওয়া গেলে সেটি জানা যাবে। তাকে খুঁজতে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবিরাজের নাম আল আমিন ভাণ্ডারি (৪৮)। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদের ছেলে।
নিহত আল আমিন ভান্ডারি তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম স্ত্রীর এক ছেলেকে নিয়ে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের ভাই আলিম শেখ জানান, তার বড় ভাই নিহত আল আমিন ভাণ্ডারি কবিরাজি করলেও এক সময় জাহাজে বাবূ্র্চি হিসেবে কাজ করতেন। তিন বছর আগে তিনি জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালী তার শ্বশুড় বাড়ি এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। দেড় বছর আগে তিনি ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসের পাশাপাশি কবিরাজি শুরু করেন। জাহাজে চাকরির সময়ে একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামে একজনের সঙ্গে তার ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় তার ভাইয়ের কাছে আসতেন এবং রাতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাফেজ মাস্টার তার ভাইয়ের কাছে আসেন। সঙ্গে একটি কালো ব্যাগও ছিল। তখন তার ভাই আল আমিন ভাণ্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলেন। ভোর ৪টার দিকে আল আমিন ভাণ্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত ও সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলেন। রান্না করা ভাত ও সেমাই খেয়ে আল আমিন ভাণ্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে আল আমিনের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখেন নিহতের রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে। তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকা হাফেজ মাস্টার ৪টার পরে কোনো এক সময় তার ভাইকে গলাকেটে পালিয়ে গেছেন। হাফেজ মাস্টার সঙ্গে করে নিয়ে গেছে তার ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, নিহতের পূর্ব পরিচিত হাফেজ মাস্টার রাত ১০টার দিকে বাসায় আসেন। পরে রাত ১টার দিকে তাকে নিয়ে নিহতের শ্বাশুড়িকে গ্রামের বাড়ি নেয়াখালীতে যাওয়ার জন্য পঞ্চবটী বাসট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেন। সেখান থেকে তারা নদীর ঘাটে যান। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীকে বলেন তিনি অসুস্থবোধ করছেন এবং মাথা ঝিমুনি দিচ্ছে। তিনি ভাত খেয়ে মেহমান হাফিজের জন্য খাবার নিজ রুমে স্ত্রীকে দিয়ে আসতে বলেন। স্ত্রী খাবার দিয়ে এসে দরজার বাইরে সিঁড়িতে বসে থাকলে তাকে গালমন্দ করে শালিকার ঘরে পাঠিয়ে দেন। পরে তিনি দরজা লাগিয়ে দেন। আল আমিন ভাণ্ডারির তৃতীয় স্ত্রী রোকসানা। গত রমজান ঈদের পর রোকসানাকে বিয়ে করেন আল আমিন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত খুনিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ হওয়া শ্রমিক জামাল খানের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ড্রেনে পড়ার ছয় দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
মৃত জামাল খান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এলাকার মৃত ছোমেদ খানের ছেলে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাব উদ্দিন জানান, ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার সময় ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার ভেতরে মেশিন পরিষ্কারের সময় গরম পানির ড্রেনে পড়ে যান জামাল।
এ সময় তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের অধিকাংশ স্থান দগ্ধ হয়েছে। ছয় দিন তিনি চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের লাশ উদ্ধার, ‘স্ত্রী’ পলাতক
কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে ফতুল্লার বাঁশমুলি এলাকায় একটি টিনসেড বাড়িতে তিতাসের গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আগুনে মায়ের মৃত্যু, ২ চিকিৎসক সন্তান দগ্ধ
দগ্ধরা হলেন- ওই এলাকার আলম (৩৫), রমজান (২২) ও রিফাত (১৩)৷ তাদের ৩ জনের বাড়ি কুমিল্লায়। পেশায় তারা রঙ মিস্ত্রী।
স্থানীয়রা জানন, রাত ১২টার দিকে খলিল মুন্সীর বাড়ির ব্যাচেলর ভাড়াটেদের ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় টিনের চাল উড়ে যায় এবং উপর দিকে দেয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
এদিকে, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দারা ও আশপাশের লোকজন এসে দগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসলাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আলমের শরীরের ৭২ শতাংশ, রমজানের ৫৮ শতাংশ এবং রিফাতের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে৷
ফতুল্লায় ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ফতুল্লায় এক ফল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ জুন) রাতে উপজেলার ধর্মগঞ্জ ঢালীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম আবু তাহের (৪০) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঢালীপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৪
স্থানীয়রা জানান, লামিয়া ও জামাল পাশাপাশি বাসায় বসবাস করেন। শুক্রবার রাতে তাদের শিশু-সন্তানদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার দৃশ্য দেখে দুই শিশুর পরিবারকে শান্ত করতে যান স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লামিয়া আক্তার ও তার লোকজন আবু তাহেরকে পিটিয়ে আহত করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাহেরকে উদ্ধার করে শহরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রিকশা চালক সালাম মন্ডল (৫৫), তার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী বুলবুলি বেগমের (৪৫) দগ্ধ ২৫ শতাংশ, ছেলে মো. টুটুল (২৫) এর দগ্ধ ৬০ শতাংশ, ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মেয়ে সনিয়া আক্তার (২২) এবং নাতনি মেহেজাবিনের (৭) দগ্ধ ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
ফতুল্লার কাশিপুর শেখবাড়ির মালিক সোহাগ বলেন, ‘শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়ে তাদের ওই ঘরটিতে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরটিতে তাদের চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ হয়ে এ আগুন লাগতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রিকশাচালক দগ্ধ
নরায়ণগঞ্জে বাড়িতে রান্না করতে গিয়ে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহিন (২৮)। তিনি কাশিপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝগড়ার সময় শাহিনকে ছুরিকাঘাত করে তার বন্ধু।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল দিপু বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তবে কি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩, আটক ২
ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছে। রবিবার দুপুর দেড়টায় ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় শাহানাজ বেগমের বাসায় এঘটনা ঘটে।
দগ্ধ দম্পতি আল আমিন (২৫) এবং তার স্ত্রী সুখী বেগম (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহানাজ বেগমের দোতলা বাড়ির নিচ তলায় চারটি রুম রয়েছে। রুমের জন্য একটি বাথরুম গোসলখানা ও দুইটি গ্যাসের চুলা রয়েছে। আল আমিনের রুমের ডান পাশে বাইরে গ্যাসের চুলা। দুপুরে খাবারের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় আল আমিনের রুমের দুটি জানালা বন্ধ ছিল। এতে জমাট বাধা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আল আমিন ও তার স্ত্রী সুখী বেগমের মুখ, বুক ও শরীরের নিচের অংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এসময় তাদের রুমের দরজা জানালা উড়ে গিয়ে পাশের ফারুকের ভাড়াটিয়া বাড়ির চারটি রুমের জানালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই সময় বাইরের আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জানান, তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত করে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ময়মনসিংহে আগুনে দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
কুড়িগ্রামে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এক বছরের শিশু মরিয়ম হত্যা মামলায় মায়ের প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে শিশুর মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি উভয়কেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, অপর একটি ধারায় এই দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন-জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার লিচু আকন্দের ছেলে সোলাইমান এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত শিশুর মা পটুয়াখালির গলাচিপার এলাকার নয়া হওলাদারের মেয়ে বিলকিস।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহমেদ বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় নন্দলালপুর এলাকার বেকারির গলি থেকে এক বছর বয়সী অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর হত্যাকাণ্ডের স্থান শনাক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত দম্পতির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। শিশুটির মায়ের খালা জবানবন্দির প্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রেমিকসহ শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেছেন। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রাখেন আমরা সেই প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন