অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা, তবুও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে উদ্যোক্তাদের একটি প্রজন্ম তৈরি করতে হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।’
‘আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত, যাতে এই শিক্ষাব্যবস্থা একটি প্রজন্মের উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া আমাদের এমন শিক্ষা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করেই নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেওয়া হয়। পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু নয়, এটি সকলের উপলব্ধি করা উচিত।’
দেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে।… আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে।’
‘তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।’
এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।
২ দিন আগে
সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সংস্কার ও উন্নয়নে সমর্থন এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইউরোপের ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত শিগগিরই ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস জানান, দিল্লিতে বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) ২০ দেশের ২০ জন রাষ্ট্রদূত অবস্থান করছেন। এছাড়া ঢাকায় রয়েছেন আরও ৭ দেশের রাষ্ট্রদূত। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে মোট ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতরা ঢাকায় মিলিত হতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লি থেকে ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় আসছেন জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘দিল্লি থেকে ২০ রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত সমবেতভাবে আমার সঙ্গে বৈঠক করবেন।’
এত সংখ্যক রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে বৈঠক করতে কখনও বাংলাদেশে আসেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবার এ কাজটি করার পেছনে রয়েছে (বাংলাদেশের প্রতি) ইইউ-এর সমর্থন প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, তুরস্ক, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও লিবিয়াসহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। সাক্ষাৎকালে দ্বিপাক্ষিক নানা সহযোগিতাসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন তারা।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
৫ দিন আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি… মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, চলতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি বন্যা হয়েছে… বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল। বন্যা-পরবর্তী সময়ে বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে আপনাদের কষ্ট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জি-২০ সামাজিক সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো জন্য আমরা সাড়ে ৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় শুল্ক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে ডিমের উৎপাদকরা যাতে সরাসরি বাজারে ডিম সরবরাহ করতে পারেন, সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।’
মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারে, সেজন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্পটে সরকারি কিছু পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রস্তুত করা ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ড ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সংস্কার করা হবে: ব্রিটিশ মন্ত্রীকে ড. ইউনূস
‘বন্যার ফলে চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও দাম যাতে স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে।’
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই। মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি রোধে উচ্চ সুদহার নির্ধারণসহ একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে- শস্য আমদানিতে এলসি সীমা অপসারণ ও সরবরাহ চেইন সংক্ষিপ্ত করা।’
তিনি আরও জানান, সামান্য হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। গণ শুনানি ছাড়া নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম না বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব পদক্ষেপ বাজারে পণ্যমূল্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার করব: অধ্যাপক ইউনূস
৫ দিন আগে
কপ২৯: আজারবাইজান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের বৃহত্তম জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ -এ যোগ দিতে সোমবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছেন।
এই সম্মেলনটিকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করার একটি 'গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ' হিসাবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানে তরুণদের আত্মবিশ্বাসের ওপর জোর দেন ড. ইউনূস
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকরা বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম সম্মেলন ১১ থেকে শুরু হয়ে, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এবারের কপ-২৯ এ অংশ নিচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে উন্নত দেশগুলোর তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
১৮৪৬ সালে বিশ্বের প্রথম তেল ক্ষেত্র গড়ে উঠেছিল বাকুতে এবং ১৮৯৯ সালে তেল উৎপাদনকারী বিশ্বের নেতৃত্ব দিত আজারবাইজান।
আজারবাইজানের রপ্তানির প্রায় সবই তেল ও গ্যাস। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে দুটি হলো তেল ও গ্যাস।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এপ্রিল মাসে এগুলোকে ‘সৃষ্টিকর্তার উপহার’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
আলিয়েভ বলেছেন, কপ২৯ সম্মেলনটি আজারবাইজানের জন্য একটি ‘বড় সম্মান’।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রভাবিত করছে। কপ২৯-এ বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে তারা আলোচনা করবেন।
আয়োজকদের মতে, কপ২৯ এর মূল ফোকাস অর্থায়নের দিকে থাকবে, কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে দেশগুলোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের হালনাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য এই সম্মেলন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে নির্ধারিত হবে।
যদি সঠিকভাবে করা হয় তবে এই পরিকল্পনাগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের পরিকল্পনার দ্বিগুণ করবে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের সঙ্গে আছে: অধ্যাপক ইউনূসকে পাম্পালোনি
১ সপ্তাহ আগে
আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের জন্য ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবোলো। এ সময় এই আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘আমি আশা করি আমাদের আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়া সহায়তা করবে। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কারণ দেশটি জানুয়ারিতে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থনের কথা ব্যক্ত করে বলেন, আসিয়ানের সদস্য হতে বাংলাদেশের আবেদন ইন্দোনেশিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
তিনি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। আশা করছি এতে দুই দেশই লাভবান হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা ক্ষুদ্রঋণের উন্নয়নে একাধিকবার ইন্দোনেশিয়া সফরের কথা স্মরণ করে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের খুব কম উপস্থিতি দেখেছেন।
তিনি বলেন, 'দুঃখজনক বিষয় হলো-ইন্দোনেশিয়ায় খুব বেশি বাংলাদেশি নেই। তারা সব জায়গায় আছে, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ। কিন্তু দেশের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। কোনোভাবেই আমাদের যোগাযোগ খুব বেশি নয়।’
তিনি বলেন, 'আমাদের আরও কাছাকাছি আনার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি ইন্দোনেশিয়াকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, আরও বাংলাদেশি ডাক্তার নিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে ওষুধ সামগ্রী আমদানি করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত সুবোলো বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আশ্বাস দেন।
তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মাতারবাড়িসহ অন্যান্য এলাকায় সোলার পিভি বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে পারটামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া এবং কোল জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রাবোও সুবিয়ান্তোকে অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রাম,আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবি-দাওয়া লিখে তার অফিসে জানাতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যা যা ইচ্ছা সব লিখবেন, দ্বিধা করবেন না। আমরা আপনাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করব। এখন যদি কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা তা এখনই করব।’
সাফ বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যরা শনিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার সঙ্গে তাদের স্বপ্ন ও প্রতিদিনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সপ্তম সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের পরে বিজয়ী খেলোয়াড়দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান উপদেষ্টা।
২ সপ্তাহ আগে