জুলাই অভ্যুত্থান
মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম, সে বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচারের শাসনামলে মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (২৪ মার্চ) এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি সেই কালরাতের সকল শহীদকে। নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞে জাতি আজও শোকাহত।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একাত্তরের মার্চের দিনগুলোতে বাংলাদেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত-নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগসহ সারা দেশে শহীদ হন ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও সেনা সদস্যসহ হাজারো নিরপরাধ মানুষ। তাদের আত্মদানের পথ ধরেই দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
২৫ মার্চের কালরাতে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।
২৬ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্তদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সহিংসতায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত আট হাজার জনকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার (১৯ মার্চ) চালু হওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।
‘দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং: এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োলেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস’ প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। ২০২৬ সালের আগস্টের আগ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের শারীরিক, মানসিক উন্নতি ও সুস্থতার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সামাজিক সংহতি জোরদার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এই অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যতদিন এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, ততদিন এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ‘স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে’ উত্তরণে সফল হোক, চায় ইইউ
এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাদেরকে সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আক্রান্তদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া উপার্জন খাতেও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
গত বছরের অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র, শ্রমিক, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারসহ অন্যদের এই সহায়তা দেওয়া হবে। ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, ‘সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
৩২ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থান সংস্কার ও গণতন্ত্রের বড় সুযোগ এনেছে: উইলিয়াম বি মিলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম বলেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার ও সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোউইজ বলেন, ভুয়া খবর ও মিথ্যা তথ্যের হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বক্তব্য ও আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার গ্রুপ রাইট টু ফ্রিডমের প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী পরিচালক মিলাম ও ড্যানিলোউইজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাবেক দুই কূটনীতিক স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে কাজ এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে তাদের কাজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস অলাভজনক এই গ্রুপের কাজ এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় দুই কূটনীতিকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, ছয়টি কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কার নিয়ে সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই করবে।
'জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদের সুপারিশের কিছু অংশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের শরণার্থীদের সহায়তা হ্রাসের প্রভাব, বিগত সরকারের সময় চুরি যাওয়া কোটি কোটি ডলার উদ্ধার, প্রধান উপদেষ্টার সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয়—তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংস্কার করে বিশ্বমানের করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
৪৪ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে হামলাকারীদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা ও হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের নানাভাবে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ( ৫ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। বরং, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রোডাক্ট এই প্রশাসন— জুলাই বিপ্লবে হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী শামীম মোল্লার মৃত্যু হয়েছে পুলিশ হেফাজতে কিন্তু তার হত্যার দায় বিপ্লবীদের উপর দিয়ে তাদের ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকি: কী ভাবছে প্রশাসন?
অতিদ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করা না হলে এবং তাদের পুনর্বাসন বন্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে হবে বলে জানান তিনি।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য নাহিদ হাসান ইমন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এই প্রশাসন জেনে বা না জেনেই গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের নানাভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিপ্লবীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা যদি এমন হীন প্রচেষ্টা বন্ধ না করেন—তাহলে আপনাদেরকেও চেয়ার থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে দ্বিধা করব না।’
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মদদদাতা শিক্ষকদের সাথে আঁতাত করছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।’
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আপনারা শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে নির্বাচিত প্রশাসন। আপনারা যদি সেই শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করেন, সন্ত্রাসীদের বিচার না করে তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন—তাহলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদেরও পতন ঘটানো হবে।’
৪৫ দিন আগে
এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে লুট হওয়া এক হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। তিনি বলেন, পাশাপাশি আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ সময়ে দেশজুড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডিসিদের কি কি নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে আবদুল হাফিজ জানান, ‘দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ যেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো কিভাবে তাড়াতাড়ি ধ্বংস করা যায় সেটা সম্পর্কে প্রশ্ন ছিল। আগামী দিনে তাদের কি কি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, যেমন-আমি উল্লেখ করেছি যে, প্রায় ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি; যেগুলো ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়ে গিয়েছিল। আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরণের গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি, সেগুলো তাদের জেলায় কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।’
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, ‘প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়ে গেছে। ৬ লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ উদ্ধার করা যায়নি, তার মানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলো পযায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: যুবকদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের
আবদুল হাফিজ বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে। আমি আরও উল্লেখ করেছি, সামনে রমজান আসছে, তখন তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় কম রাখতে পারেন। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যেন মোকাবিলা করতে পারেন।’
‘আমি বলেছি সাধারণ মানুষের তিনটা প্রত্যাশা। এটা আকাশচুম্বী নয়। তারা নিরাপদে চলাফেরা করতে চায়, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায় এবং দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে এবং যে সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা; সেটা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া পেতে পারে। আমি বলেছি, মাঠ পযায়ে যারা আছে, মানুষের জন্য তারাই সরকার,’ যোগ করেন আবদুল হাফিজ।
চলমান অভিযানের বিষয়ে আবদুল হাফিজ বলেন, চলমান অভিযান যেটা আছে সেটা চলবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে সরকার সেখানে ব্যবস্থা নেবে।
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও কিভাবে করা যায় সেটি আলোচনায় এসেছে। যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সেল মিলিটারি ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা-সেখানে আমাদের যুব সমাজের যারা আছেন তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন। তারা দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
৬০ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাবেন: উপদেষ্টা ফারুক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সনদ ও দেওয়া হবে। আহতরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র পাবেন। একই সঙ্গে তারা অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাবেন।’
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লব চলাকালে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হবে ও এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।’
ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘শহীদদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ১০ লাখ টাকা চলতি অর্থবছরে এবং বাকি টাকা আগামী অর্থবছরে দেওয়া হবে।’
৬১ দিন আগে
আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক: নাসিমুল গনি
জুলাই অভ্যুত্থানের পর মনোবল ভাঙা পুলিশ বাহিনী ফের কোমর সোজা করে দাঁড়াক, এমনটা আমরাও চাই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন৷
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক। পুলিশের কেউ ভয়ে ও চাপে পড়ে অন্যায় করেছে। কিছু অতিউৎসাহী ছিল তারা পালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন হচ্ছে।’
নাসিমুল গনি বলেন, ‘আমাদের সিস্টেমের মধ্যে যেন একটা ভালো প্র্যাকটিস রেখে যেতে পারি সেই চেষ্টা করছি, যাতে আর কোনো আয়নাঘর তৈরি না হয়। এরকম পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না হয়। এছাড়া আমাদের সিস্টেমে যারা কাজ করবেন, তারা যেন সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১১ তারিখ মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। যেখানে ঢাকা ও গাজীপুরের ১৫০ জন কর্মকর্তা থাকবে।’
অপারেশন ডেভিল হান্টে কারা নেতৃত্ব দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশি অ্যাকশন। পুলিশ কাজ করবে ও সেনাবাহিনী এতে সহায়তা করবে।‘
পুলিশের এই নাজুক অবস্থায় তাদের দিয়ে এই অপারেশন চলবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে সকল দেশে বিপ্লব হয়েছে সেখানে পরাজিত শক্তিকে কেউ রাখেনি। এই সরকার অতটা অমানবিক হতে পারেনি। আমরা পুলিশকে রিফর্ম করেছি। একটা বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে। পুলিশের কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমরা চাই পুলিশ কোমর সোজা করে দাঁড়াক৷ এজন্য তাদের একটিভলি কাউস্নেলিং করছি।’
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা প্রতিরোধে অপারেশন ডেভিল হান্ট: সিনিয়র সচিব
ডেভিল হান্টে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘তারা গতকাল (শনিবার) থেকে কাজ শুরু করেছে৷ চট করে সবকিছু বলা যাবেনা৷ যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই অপারেশন রাখা হবে৷
ডেভিল হান্ট অপারেশন যারা পরিচালনা করছে তাদের ক্ষমতা কতটুকু, এমন প্রশ্মের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা আছে সেই ক্ষমতাই পাবে।’
৫ আগস্টের পর যাদের নামে মামলা হয়েছে, তারা ডেভিল হান্টের আওতায় আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যখন ধরবে তখনই দেখতে পারবেন।’
৬৯ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আহ্বান
জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যদি কারও কাছে এমন কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তাকে সেগুলো এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (andolonerchobi.police.gov.bd) আপলোড করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে তথ্য-প্রমাণ আপলোড করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণ-আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার তথ্য-প্রমাণ ও ডিজিটাল প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব নাগরিকের কাছে সংশ্লিষ্ট কোনো ছবি কিংবা ভিডিও রয়েছে, তারা চাইলে সেগুলো পুলিশকে সরবরাহ করতে পারেন।
এ সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট (andolonerchobi.police.gov.bd) খোলা হয়েছে, এখানেই সবাইকে ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১টি এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫টি করে স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা যাবে।
প্রতিটি ফাইল আপলোডের আগে আপলোডকারীর মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। আপলোডকৃত ফাইলগুলো আপলোডকারীর মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ-ইন করে পরবর্তীতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
৬৯ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
যেসব বিদেশি চিকিৎসক জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের জন্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বিভাগ।
এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিদেশি চিকিৎসকদের অনুকূলে বাংলাদেশ সরকারকে প্রদেয় ফি, বাংলাদেশে অবস্থানকালীন হোটেলে থাকা, খাবার ব্যয় ও বিমান ভাড়া বাবদ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের ওপর আরোপনীয় কর অব্যাহতি দেওয়া হল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের দুজন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। মন্ত্রণালয় খুব শিগগির আরও ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে।
আরও পড়ুন: অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এনবিআর কমিশনার মাহবুবুর
আহতদের বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে এ দেশের হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ারও চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ জনের একটি চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসেছে। গত কয়েক মাসে থাইল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স থেকে বেশ কয়েকটি চিকিৎসক দল আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে বাংলাদেশে এসেছিল।
২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসার জন্য মন্ত্রণালয়ের ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে একজনের পেছনে খরচ হয়েছে ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বেশি। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে থাকা ওই আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শেষ হতে আরও কয়েক মাস লাগবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আহতরা যেন সর্বোত্তম চিকিৎসা পান, সে জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেশে না থাকলে আমরা অবশ্যই আহতদের বিদেশে পাঠাব। আবার প্রয়োজনে বিদেশ থেকেও চিকিৎসক আনব।’
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
৭৪ দিন আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হলো জুলাই অভ্যুত্থানে আহত সাতজনকে
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আহত সাতজনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন।
এর আগে আহতরা রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তথ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুল্লাহ আল বাকী, আক্তার হোসেন, মো. ইয়ামিন, ফয়েজ আহম্মেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়েব।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদন মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে
৮৫ দিন আগে