আইন
আইন ভেঙে সেনাবাহিনীর হাতে আটক বিএনপির ৭ নেতাকর্মী
সিগন্যাল না মানায় ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তারসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ধর্মপুর আমিনবাজার থেকে তারা আটক হন। পরে সোমবার সকালে তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হলে সন্ধ্যায় মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।
আটকরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন পাটোয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সবুজ, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, মো. কাশেম বাচ্চু, জাকের হোসেন ও মো. সাইফ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলাইমান বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালি করে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আমিনবাজার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সামনে এলে সেনাবাহিনীর কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ান তারা। এ সময় সিগন্যাল না মানায় তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
বিমানবন্দর সেনা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন সাকিব বলেন, তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। থানা থেকে তথ্য নিতে পারেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করার পর সন্ধ্যায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
৬ দিন আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশকে আইনের মধ্যে থেকেই কঠোরভাবে কাজ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. ময়নুল হাসান বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরুমিয়া মিলনায়তনে ডিএমপির কল্যাণ ও ফোর্স ডিভিশন আয়োজিত বিশেষ সভায় হাসান এসব প্রত্যাশা পূরণে নতুন করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
পুলিশি অভিযানে আইনি সম্মতির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন,‘পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমরা যে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করি তা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর বাইরে আমাদের কাজ করার কোনো অবকাশ নেই- আমাদের অবশ্যই আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ও দাবি তুলে ধরেন। হাসান তাদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে এবং বাহিনীর অভ্যন্তরে বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অবস্থার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি পুলিশ লাইনের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগগুলো মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের কর্মীদের জন্য আরও ভালো কাজ এবং বসবাসের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মনোবল আরও বাড়াতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন ও পুলিশ মেসে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। ব্যারাকে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট উপপুলিশ কমিশনার এবং ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স ডিভিশনের সদস্যরা ডিএমপি সদস্যদের কল্যাণের লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
২ মাস আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সময়োপযোগী করতে সংশোধনী প্রস্তাব
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধন করতে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা ও ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়।
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
এছাড়া আরও ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব (মতামত) এস. এম. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) রুহুল আমীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) মো. রফিকুল হাসান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সানজিদা ইসলাম ও শরিফ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ফারহান হত্যার ঘটনায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের
২ মাস আগে
মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হামলার আশঙ্কা থাকলে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় আরও ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি গোটা স্পেনজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। ওই মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হলেও বর্ণবাদ রুখতে এবার লা লিগা ও স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন আইন চালু করছে দেশটি।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও লা লিগা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেফারিদের জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। খেলা চলাকালে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে মাঠ থেকেই এ বিষয়ে সংকেত দিতে পারবেন রেফারি।
চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে বর্ণবাদবিরোধী ‘ক্রস-আর্ম’ অঙ্গভঙ্গির অনুমোদন পায়। এবার সেই আইনটি গ্রহণ করতে চলেছে স্পেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেফারিরা সরাসরি কোনো বর্ণবাদী আচরণ প্রত্যক্ষ করলে কিংবা খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে, এমনকি মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রধান রেফারি সংকেত দেবেন। তিন ধাপের সংকেত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ম্যাচ থামাতে, স্থগিত করতে, এমনকি পরিত্যক্ত পর্যন্ত করতে পারবেন রেফারি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফুটবলে যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বর্ণবাদী মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকতে এই আইন বাস্তবায়ন করবে।’
গত কয়েক মৌসুম ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণ ও মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে এই ফুটবলারের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ঘরের মাঠের তিন সমর্থককে চলতি বছর কারাদণ্ডও দিয়েছে দেশটির আদালত।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের আয়োজন স্পেন থেকে সরিয়ে নিতে সম্প্রতি প্রস্তাব করেন ভিনিসিউস। তার মন্তব্যের পর স্পেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ফুটবল পাড়ার মানুষ- সবাই তার বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকি তার ক্লাব সতীর্থদেরও তার মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনির মন্তব্যের সমালোনা করলেও দেশ থেকে বর্ণবাদ নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন মাদ্রিদের মেয়র। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও লা লিগা থেকে এই ঘোষণা এল।
৩ মাস আগে
আইন ও বিচার বিভাগের নতুন সচিব গোলাম রব্বানী
আইন ও বিচার বিভাগের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) মো. গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই: খাদ্য সচিব
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোলাম রব্বানীকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের চলতি দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. গোলাম সারওয়ারকে আইন বিচারের বিভাগের সংযুক্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন
৩ মাস আগে
শিক্ষার্থী নয় শুধু সন্ত্রাসীদের ওপর আইনের প্রয়োগ হবে: সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
নিরাপরাধ শিক্ষার্থী নয়, শুধু সন্ত্রাসীদের ওপর আইনের প্রয়োগ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় আইনের প্রয়োগ ঘটবে শুধু সন্ত্রাসীদের ওপরে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণসাপেক্ষে ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের ওপরে আইনের প্রয়োগ ঘটবে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলনে স্লোগান দিয়েছে, পানি বিতরণ করেছে তাদেরও যেন কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। তাদের পরিবারের কোনো সদস্য যাতে কোনোভাবে নাজেহাল না হয়। তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে প্রতিটি হতাহতের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আমরা বিদেশি কোনো এক্সপার্টেরও সহায়তা নেব। এখানে আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ ও জবাবদিহির মধ্যে থাকতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুগুলো, ঘটনাগুলোকে ঘিরে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বদনাম করার এক ধরনের অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। এসব ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা যেমন বিচার চান, সরকারও একইভাবে বিচার চায়। আমরা এটার গভীরে যেতে চাই এবং প্রতিটি দায়ী ব্যক্তিকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। এ মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনার জন্য সরকার দুঃখিত।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা আবেগ নিয়ে রাস্তায় যাচ্ছেন, তাদের খেয়াল করতে হবে, আবার সন্ত্রাসীরা যদি এটাকে সুযোগ হিসেবে নেয়, আবার তারা যদি হতাহতের, সংঘাতের অবস্থা তৈরি করে, তার দায় কে নেবে? এখানে শিক্ষার্থীদের একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। কারণ তৃতীয়পক্ষ বসে আছে দেশকে অরাজক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য যারা আছে, কাউকেই গুলি করার কোনো অনুমতি ছিল না। সংবিধান ও আইনের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়েছে। তাই বলে আমি এটাও অস্বীকার করছি না, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ কেউ, মাঠে আইন ভাঙেননি। আমরা এটা তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনব। পুরো পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সরকারের দায়িত্ব হলো যারা আইন ভেঙেছে, যারা অন্যায় করেছে, সে যেই হোক তাদের আমরা তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব।’
৪ মাস আগে
শব্দদূষণে নাকাল রাজধানীবাসী, নেই আইনের কার্যকর প্রয়োগ
শব্দদূষণে নাকাল ঢাকাবাসী। দিনকে দিন বেড়েই চলেছে শব্দদূষণের মাত্রা। যানবাহনে অকারণে হর্ন দেওয়া, সাউন্ড বক্স বা মাইকের উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। শব্দদূষণ অসহনীয় হয়ে উঠলেও এটি রোধে নেই আইনের কার্যকর প্রয়োগ।
মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে নগরীর বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষ শব্দদূষণের ভুক্তভোগী। এছাড়াও শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব প্রকট হয়ে উঠছে। তবুও এই শব্দদূষণ রোধে নেই মানুষের সচেতনতা।
এমনকি শব্দদূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না ট্রাফিক পুলিশও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দদূষণের কারণে ট্রাফিক পুলিশেদের কানে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন সড়কে কাজ করায় অতিরিক্ত শব্দের কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান যানবাহনে অহেতুক হর্ন, যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে উচ্চশব্দ সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শব্দদূষণের অনেক ক্ষতিকর প্রভাব মানুষ জানেই না। বিশেষ করে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি তো আছেই, শহরে উদ্ভিদের বংশবিস্তারও দিন দিন কমে যাচ্ছে। গাছ-গাছালির পরাগায়ন হচ্ছে না। এতে শস্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে যারাই রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে, তারা অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শব্দদূষণ রোধ না করলে মানুষের শ্রবণ সমস্যা বৃদ্ধি পাবে: উপমন্ত্রী
অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু শব্দদূষণের অন্যতম উৎস হলো হর্ন। এটি বন্ধ করতে পারলেই ঢাকা শহরের ৬০ শতাংশ শব্দদূষণ কমে যাবে। কিন্তু এটি বন্ধ করার জন্য আইনগত যে ভিত্তি রয়েছে সেটি দুর্বল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শব্দদূষণ রোধে আমাদের যে দুটি আইন রয়েছে সেটি ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া আইন অনুযায়ী স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ এলাকায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী পুরো ঢাকা শহরই নীরব এলাকা। কোথাও হর্ন দেওয়া যাবে না। আইন প্রয়োগ করতে গেলে এটা একটা বড় সীমাবদ্ধতা।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, শব্দদূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরি। প্রয়োজনের বাইরে হর্ন বাজানো যাবে না, পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় মাইক ও উচ্চ আওয়াজ থেকে দূরে থাকতে হবে। এখন দেখা যাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা সারাক্ষণ হেডফোন কানে লাগিয়ে রাখেন, এটাও ক্ষতিকর।’
শব্দদূষণ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার উল্লেখ করে অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে গাড়ির হর্ন দিলে জরিমানার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশের সেই পরিস্থিতি নেই। এখানে আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং যথাযথ আইন তৈরি করে এর জোরালো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় শব্দদূষণের বিভিন্ন উৎস উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে- গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইকের ব্যবহার, শিল্প-কারখানা ও ইনডোর—বাসাবাড়ির কাজ, টাইলস কাটা ও ড্রিল মেশিনের শব্দ।
তিনি বলেন, শব্দদূষণ বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময় ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে। সেখানে রাতে ৪০ ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।
এই আইনে শাস্তি হিসেবে বলা আছে, আইন অমান্য করলে প্রথমবার অপরাধের জন্য এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে এ আইনের তেমন প্রয়োগ দেখা যায় না বলে জানান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, সব স্থানেই শব্দের তীব্রতা প্রায় একই রকম। আইনের মান্যতায় সাজার বিধান থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।
শুধু শব্দদূষণ আইন নয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ সালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তে গাড়ির লাইসেন্স থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন কীভাবে হবে- প্রতিটি বিষয় আলাদা আলাদা করে বলা আছে। চালক কখন হর্ন বাজাবেন, কখন বাজাবেন না তাও উল্লেখ করা আছে, যা অনেক জরুরি আইন। কিন্তু রাজধানীসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে এ আইনের বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ইউএনবিকে বলেন, ঢাকার শব্দদূষণের মাত্রা গ্রহণযোগ্য মাত্রার দ্বিগুণের বেশি হওয়ার কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে। কানে কম শোনা ছাড়া ডায়াবেটিস এবং হার্ট সংক্রান্ত জটিলতা বেড়েছে। শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক অসুস্থ মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১২০ ডেসিবেল শব্দ সঙ্গে সঙ্গেই কান নষ্ট করে দিতে পারে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ যদি কোনো ব্যক্তির কানে প্রবেশ করে তাহলে ধীরে ধীরে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হবে।’
শব্দদূষণ নিয়ে ক্যাপসের সর্বশেষ গবেষণায় জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছর ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের শব্দের তথ্য-উপাত্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে ক্যাপস। এই ১০টি স্থানের নীরব এলাকায় ৯৬.৭ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৫০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে, আবাসিক এলাকায় ৯১.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৫৫ ডেসিবল) অতিক্রম করেছে, মিশ্র এলাকায় ৮৩.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৬০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬১ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে এবং শিল্প এলাকায় ১৮.২ শতাংশ সময় আদর্শ মান (৭৫ ডেসিবেল) অতিক্রম করেছে।
ঢাকা শহরের ১০টি স্থানেই ৮২ শতাংশ সময় ৬০ ডেসিবেলের ওপরে শব্দ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ
আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ বাসযোগ্য রাখতে, বনভূমির অবৈধ দখল উদ্ধারসহ দাপ্তরিক কাজে বিধিবিধান মোতাবেক কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিবেশ ও বৃক্ষমেলা ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো মন্ত্রী, এমপি বা প্রভাবশালী কারো খুশি করার জন্য কাজ করা যাবে না। কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালে পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে পরিবেশ অধিদপ্তর নামকরণ করে বন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর সমন্বয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, মন্ত্রণালয়ের সচিব সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
শেরেবাংলা নগরে চলমান পরিবেশ মেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ও বৃক্ষমেলা চলবে ৫ জুন থেকে ১৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বুধবার বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন: পরিবেশমন্ত্রী
বনভূমি জবরদখলমুক্ত করে বনায়ন করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রতারণার ফল ভোগ করছেন ড. ইউনূস: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাপের ফল ভোগ করছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি পাঁচ লাখ সদস্যকে প্রতারিত করার পরিণতি ভোগ করছেন তিনি।
সোমবার (৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ দাবি করেন, ইউনূস ব্যাংকের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোনো সুবিধা নেননি, তবে নিজের ছাপাখানাকে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি দরে শত শত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার হবে কি না জানা যাবে ১২ জুন
এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ড. ইউনূস একজন মহাব্যবস্থাপককে নির্যাতনের পর গৃহবন্দি করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মাসুদ বলেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ১৯৯৭ সাল থেকে। ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়লেও ইউনূস তার দুর্নীতির ফাঁস করতে দেননি। কারণ তার সহযোগীরা ব্যাংকটি পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। তবে, ২০২০ সালের একটি নিরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ পায়। ২০২৩ সালে আরও অপরাধমূলক প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে।
মাসুদ আরও বলেন, ব্যক্তি ইউনূসের সঙ্গে ব্যাংকের কোনো আক্রোশ নেই। আমাদের অভিযোগ তার কর্মকাণ্ড, অপকর্মের, পারিবারিক সুবিধা দিয়েছেন তা নিয়ে। ড. ইউনূস অর্থলোভী। কোনো কিছুই বানোয়াট নয়। গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফল তিনি ভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস
৬ মাস আগে