স্টক এক্সচেঞ্জ
লাগাতার পতনের মুখে পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক
চলতি সপ্তাহের লেনদেনের শুরু থেকেই পতনের মুখে পড়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, যার ধারা বজায় আছে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে এসেও।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। এতে করে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৫৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে শেষ কার্যদিবস ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসই'র প্রধান সূচক ছিল ৫২৪৭ পয়েন্ট যা মঙ্গলবার এসে নেমেছে ৫১৯৪ পয়েন্টে।
ঢাকার বাজারে অন্য দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। দিনের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শেষে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকায়, যা গতদিন ছিল ৩৮১ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৫ কোম্পানির। বাকি ২৬৭ কোম্পানির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিরই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। অন্যদিকে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মূল ইনডেক্স বাদে ডিএসই'র এসএমই সূচকেও রীতিমতো ধস নেমেছে। লেনদেন শেষে ডিএসএমইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট, যা গতদিনের থেকে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম।
সূচকে কমার পাশাপাশি ক্ষুদ্র এবং মধ্যম আকারের তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনও ঠেকেছে তলানিতে; মোট ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। অন্যদিকে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ২০ কোম্পানি ৮ কোটি টাকায় ১৭ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
বড় পতনে চট্টগ্রামও
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) বড় পতনের মুখে পড়েছে। সারাদিনের লেনদেনে সিএসই'র সার্বিক সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: আবারও পতনে পুঁজিবাজার, কমেছে সূচক ঢাকা-চট্টগ্রামে
লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১, কমেছে ১৪৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে সিএসইতে। মঙ্গলবার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
৪০ দিন আগে
শেয়ার বাজারে মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমিয়েছে এনবিআর
স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।
এতে বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বিদ্যমান আইনে এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে, করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি, ১০ কোটি টাকার বেশি, ২০ কোটি টাকার বেশি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে প্রদেয় করের ওপর যথাক্রমে ১০, ২০, ৩০ এবং ৩৫ শতাংশ হারে সারসার্জ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে ডাটা অটোমেশনে ঝুঁকছে এনবিআর
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন করদাতার ৫০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদ থাকলে, শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত ৫০ লাখ টাকার অতিরিক্ত আয়ের ওপর তাকে ১৫ শতাংশ কর এবং প্রদেয় কর ১৫ শতাংশের ওপর ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫.২৫ শতাংশ সারচার্জসহ মোট ২০.২৫ শতাংশ কর ও সারচার্জ দিতে হবে। তবে করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার কম হলে সারচার্জের হার ৩৫ শতাংশের পরিবর্তে কম হারে (১০%/২০%/৩০%) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আয়কর ও সারচার্জের মোট হার নিট সম্পদের ভিত্তিতে ২০.২৫ শতাংশ থেকে আরও কম হবে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাসহ অন্য সব করদাতার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে (করবর্ষ-২০২৫-২০২৬), স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.২৫ শতাংশ করায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ সময়কালে বিক্রি করে মূলধনি আয়ের ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ।
এছাড়া সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ার বাজার হতে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইন অনুসারে আয়কর ও সারসার্জ বাবদ মোট ৪০.৫০ শতাংশ কর প্রদেয় হয়।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সাবেক সচিব আমিনুলের জামিন নামঞ্জুর
১৬০ দিন আগে