কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকা
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ৫ কৃষি-ইকোলজিক্যাল এলাকায় কাজ করবে ইউএনডিপি
বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটির (জিইএফ) সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৯ সামনে রেখে ৫ নভেম্বর সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
চুক্তির আওতায় দেশের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ পাঁচটি কৃষি ইকোলজিক্যাল এলাকায়, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ শুরু করবে।
চুক্তিতে সই করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছি। এই বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বন্যা এর উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যদি এখনই আমরা পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’
স্টেফান লিলার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরকার স্থানীয় সমাধান। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমরা স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় সরকারের জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে কাজ করছি, যা এসডিজি বাস্তবায়নে সাহায্য করছে।’
‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ এই উদ্যোগটি স্থানীয় সরকার এবং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোকে ‘স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ তৈরিতে সহায়তা করবে এবং স্থানীয়দের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনডিপির প্রতিনিধি এবং অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্যসীমার নিচে ৪ কোটি বাংলাদেশি: ইউএনডিপির প্রতিবেদন
দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু ইউএনডিপির
১ সপ্তাহ আগে