এসি মিলান
হারের পর রিয়াল শিবিরে জোড়া ইনজুরির দুঃসংবাদ
অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর কিলিয়ান এমবাপে স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ায় চলতি মৌসুমে আরও ভালো করার কথা ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। অন্তত এমন কিছুরই আশা করেছিল ক্লাবটির ভক্তরা। তবে ভক্তদের সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে বিবর্ণ রিয়াল মাদ্রিদ। তার ওপর আবার পড়ছে একের পর এক চোটের ঘা।
গত সপ্তাহে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রিয়ালের ডেরায় এসে তাদের হারিয়ে দিয়ে গেছে এসি মিলান। ওই ম্যাচে চোটে পড়েছেন মাদ্রিদ জায়ান্টদের দুই মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও ফেদেরিকো ভালভের্দে।
গোড়ালি মচকে যাওয়ায় প্রথমার্ধের খেলা শেষে চুয়ামেনি ও ভালভের্দেকে আর মাঠে নামাতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। তাদের পরিবর্তে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন যথাক্রমে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ব্রাহিম দিয়াস।
এ বিষয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কোপের রিয়াল মাদ্রিদ বিভাগের সাংবাদিক আরাঞ্চা রদ্রিগেস জানিয়েছেন, অন্তত এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন চুয়ামেনি।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই সময়ের মধ্যে তিনি লা লিগায় ওসাসুনা, লেগানেস, গেতাফে ও আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের পরবর্তী ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না। এমনকি ৮ ডিসেম্বর লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে এবং ১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
চুয়ামেনিকে এক মাসের জন্য হারালেও ভালভের্দের চোট অতটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন আরাঞ্চা রদ্রিগেস।
মূলত আগের চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই এসি মিলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ফলে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলাতে গিয়ে পুরনো ব্যাথা আবার বেড়েছে তার। ফলে চোট গুরুতর না হলেও ওসাসুনার বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা।
প্রসঙ্গত, ডেভিড আলাবা ও দানি কারভাহাল ছাড়া বাকি সবাই একে একে রিয়ালের স্কোয়াডে ফেরা শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতির পর নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে দলটি এখন পুরোপুরি ফিট হওয়ার পথে রয়েছে। তবে চুয়ামেনির চোট এই প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিল।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
চলতি মৌসুমে নড়বড়ে শুরু হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় প্রথম তিন ম্যাচের দুটি ড্র করে তারা। এরপর থেকে জিতলেও প্রতিপক্ষের আক্রমণে যথেষ্ট ভুগতে দেখা গেছে দলটিকে। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া হয়নি তাদের। ১২ ম্যাচ শেষে লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৯ পয়েন্টে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। চার ম্যাচের দুটিই হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম অবস্থানে রয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
টানা দুই হারের পর লা লিগার ম্যাচে আগামী শনিবার ঘরের মাঠে ওসাসুনাকে আতিথ্য দেবে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
১ মাস আগে
বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলানকে তারা হারাতে তো পারলই না, বরং মিলানের কাছেই বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর ফলে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল লা লিগা ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ ২০১৯ সালে এমনভাবে হারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বের্নাবেউতে টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টানা হারের রেকর্ডটি গড়ে।
১৭ ফেব্রুয়ারি লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কোপা দেল রের ম্যাচে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ২ মার্চ লা লিগায় আবারও বার্সার কাছে ১-০ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স। ফলে চরম বিপর্যয়ের পর সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটিকে।
আজকের ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন মালিক থিয়া। এরপর ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিউস দলকে সমতায় ফেরানোর পর ৩৯তম মিনিটে মিলানকে আবারও এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে যান আলভারো মোরাতা। বিরতির পর রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিজানি রেইন্ডার্স।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
এদিন শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। এর ফলস্বরূপ শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপ্পে, কিন্তু কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এরপরই দুর্দান্ত এক গোলে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন থিয়া। দ্বাদশ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের কর্নার থেকে পাঠানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
২৩তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস, এরপর মিলানের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক এমেরসন রয়াল তাকে স্লাইড করে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ একটি পানেনকা স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সমতা টানেন ভিনি।
১ মাস আগে