ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের অকৃত্রিম মেলবন্ধনের সান্নিধ্য মিলে এশিয়ার দ্বীপদেশ ভ্রমণে। নিত্য জীবন ধারণের প্রতিচ্ছবিগুলো একই থাকলেও এক ভিন্ন অনুভূতির পরিস্ফুটন ঘটে সাগর পাড়ের শহরগুলোতে। কোথাও বা জনাকীর্ণ অত্যাধুনিক বিপণি জুড়ে চির ব্যস্ততা,কোথাও অতিকায় উচ্চতায় নিঃসীম নিরবতা। সব কিছু ছাপিয়ে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। বিশেষ করে গন্তব্য যখন ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ তখন উপকূলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলো দেখার নেশাটা অদম্য হয়ে ওঠে। কেননা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই শহর বেশ স্বল্প খরচে একদিনেই ঘুরে শেষ করা যায়। চলুন জনপ্রিয় এই দ্বীপাঞ্চলের ভ্রমণ বৃত্তান্ত বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাটাম দ্বীপের অবস্থান ও বিশেষত্ব
সিঙ্গাপুরের দক্ষিণ উপকূল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ শহর বাটাম। সিঙ্গাপুর প্রণালি ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটারের দূরত্বে সিঙ্গাপুর থেকে পৃথক করেছে ভূ-খণ্ডটিকে। দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের শিল্প ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। পরিবহনসহ বাণিজ্য ও যোগাযোগ নীতিমালায় শিথিলতার কারণে তিন দেশের গ্রোথ ট্রায়াঙ্গেলের একটি অংশ এই বাটাম। বালি ও জাকার্তার পর ইন্দোনেশিয়ার ব্যস্ততম প্রবেশ বন্দরগুলোর মধ্যে এর অবস্থান তৃতীয়।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ফুকেট ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাটামের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
.
ব্যারেলাং ব্রিজ
রেম্পাং,গালাং ও ব্যারেলাং বাটাম-এই তিন দ্বীপকে সংযুক্ত করে গঠিত হয়েছে এই নান্দনিক সেতু। রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ধরনের ছয়টি সেতুর এক দীর্ঘ শৃঙ্খল এই ব্যারেলাং ব্রিজ। সমগ্র ব্যারেলাং অঞ্চলটি ৭১৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে সেতুর এক প্রাপ্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং পুরোটা অতিক্রম করতে প্রায় ৫০ মিনিট সময় লাগে।
নোংসা
বাটামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রায় পুরোটাই দখল করে আছে নোংসা অঞ্চলটি। এখানকার সৈকত স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। এখান থেকে নৌকা ভ্রমণ করে যাওয়া যায় অদূরেই পুত্রী দ্বীপে। এছাড়া নোংসা ভূ-খণ্ডেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ পান্ডাং তাক জেমু। এটি মূলত একটি ম্যানগ্রোভ বন,যাকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে অপূর্ব একটি রিসোর্ট। বেশ পরিপাটি,কারুকার্যময় এবং গ্রামীণ পরিবেশের আমেজ থাকায় এটি ভ্রমণপিপাসুদের অবকাশ যাপনের জন্য উৎকৃষ্ট জায়গা।
রায়া মসজিদ
আসল নাম গ্র্যান্ড,যেটি ইন্দোনেশিয়ার মেদানে অবস্থিত বাটাম দ্বীপের বৃহত্তম মসজিদ। এটি গড়ে তোলা হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য,ভারতীয় ও স্প্যানিশ স্থাপত্য শৈলীর সন্নিবেশে। এর অষ্টভূজাকার আকৃতি এবং চারপাশ জুড়ে বিস্তৃত শাখাগুলো মসজিদটির বিশেষ আকর্ষণ। দেয়াল, ছাদ, স্তম্ভ, খিলান ও পৃষ্ঠ; সব জায়গায় ফুল ও গাছপালার অলঙ্করণের জয়জয়কার।
আরো পড়ুন: হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মহা বিহার দূতা মৈত্রেয় মন্দির
উত্তর সুমাত্রার মেদানে অবস্থিত এই মন্দির গোটা ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম আধুনিক বৌদ্ধ মন্দির হিসেবে বিবেচিত। মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল ৪ দশমিক ৫ হেক্টর জায়গার ওপর। বুদ্ধ মৈত্রেয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন স্বরূপ তৈরি করা হয়েছিল মঠটি। চীনা সম্প্রদায়গুলোর মাঝে এটি লাফিং বুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। এর ভেতর রয়েছে ড্রাগন,পৌরাণিক প্রাণীদের বিভিন্ন মূর্তি ও ভাসমান চাপাতার একটি ফোয়ারা।
অত্যাধুনিক শপিংমল
বাটাম পর্যটনের এক বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে এর অভিজাত শপিংমলগুলো। তন্মধ্যে ৮ দশমিক ৯ একর আয়তনের নাগোয়া হিল মার্কেটটি সুলভ মূল্যে খুচরা পণ্যের জন্য সুপরিচিত। অনেকেই শুধু এখান থেকে মার্কেট করবেন বলেই বাটামে আসেন।
এছাড়াও রয়েছে ফেরি টার্মিনালের কাছাকাছি অবস্থিত মেগামল বাটাম সেন্টার। সাগর পাড়ে নজরকাড়া স্থাপনাশৈলীর মল দেখার অভিজ্ঞতা নিতে অনেকে ভিড় জমান এখানে।
দ্বীপের ঠিক কেন্দ্রে থাকায় বাটাম সিটি স্কোয়ার বা বিটিএস এখানকার পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় শপিং গন্তব্য।
আরো পড়ুন: দার্জিলিংয়ের টংলু ও সান্দাকফু যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাটাম ভ্রমণের সেরা সময়
এখানে ঋতুর খুব একটা পরিবর্তন হয় না। বিষুব রেখায় ও সমুদ্রের কাছাকাছি হওয়ায় অধিকাংশ সময়েই সর্বত্র জুড়ে আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করে। তাই প্রকৃতিগতভাবেই বেশিরভাগ সময় গরম থাকে। আর বৃষ্টির মৌসুম মানেই একটানা মুষলধারে বৃষ্টি।
মৌসুম যেমনই হোক না কেন,বাটাম ভ্রমণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম। ফেরি টার্মিনাল থেকে শুরু করে শপিংমল সব জায়গায় ভয়াবহ ভিড় থাকে। তাছাড়া এই সময়ে সবকিছু দামও একদম লাগাম ছাড়া থাকে। তাই ভ্রমণের অফ-পিক সময় বেছে নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: নেপালের অন্নপূর্ণা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাটাম ভ্রমণের জন্য পর্যটন ভিসা নেওয়ার উপায়
বাংলাদেশি পর্যটকরা তিনভাবে বাটাম যেতে পারেন। প্রথম উপায় হলো সরাসরি ইন্দোনেশিয়ার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে,আর অপর দুটি হলো সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার ডাবল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে। দ্বিতীয় উপায়ে বাটাম ফেরি টার্মিনালে নেমে ইন্দোনেশিয়ার অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিতে হবে।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণ পূরণকৃত ভিসা আবেদনপত্র
· কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট
· গত ৩ মাসের মধ্যে তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· ফিরতি ফ্লাইট ভ্রমণের অনুলিপি
· অর্থপ্রদানের রশিদ
· ব্যবসা,সম্মেলন বা মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে,বাংলাদেশভিত্তিক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রত্যয়নপত্র বা রেফারেন্স চিঠি। সেই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক অংশীদার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র।
· গত ৩ মাসের মধ্যে কমপক্ষে ২ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৩ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১১৯ দশমিক ৪০ বাংলাদেশি টাকা) তহবিলের প্রমাণ
· স্বাস্থ্য অর্থায়ন বা চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধের জন্য সম্মতিপত্রসহ ভ্রমণ বিমা |
আরো পড়ুন: ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার বাটাম যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর হয়ে বাটামে সরাসরি প্লেনে যেতে ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা লাগবে। এছাড়া সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ঢাকার নিয়মিত ফ্লাইট আছে,যেগুলোতে সময় লাগবে সোয়া ৪ ঘণ্টা।
তবে সবচেয়ে সাশ্রয়ী হচ্ছে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়াতে নেমে সেখান থেকে বাটামের ফেরি ধরা। সমুদ্র ভ্রমণের সুযোগ থাকায় এই যাত্রা আনন্দায়কও বটে। সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা লাগে বাটাম সেন্টার আন্তর্জাতিক টার্মিনালে পৌঁছাতে। ঝকঝকে এই আধুনিক টার্মিনালেই ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়।
আরো পড়ুন: দিনাজপুরের রামসাগর দীঘি ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
দ্বীপ ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
গোটা এশিয়া জুড়ে বেশ সমাদৃত পর্যটন স্থান হওয়ায় বাটামে প্রচুর হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। হোটেল ভাড়াও প্রায় সিঙ্গাপুরের অর্ধেক। তিন হাজার টাকার মধ্যেই পাঁচতারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। ট্রিপ অ্যাডভাইজার,অ্যাগোডা,বুকিং ডট কম থেকে অগ্রিম রুম বুক করে রাখা ভালো।
উপকূলবর্তী হওয়ায় এখানে জনপ্রিয় সামুদ্রিক খাবার। স্থানীয় খাবারগুলোর চেয়ে এগুলোর দাম বেশি হলেও তা সিঙ্গাপুরের তুলনায় অনেক সস্তা।
অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে গাজরের কেক এবং মরিচ ও মিষ্টি সয়া সসের সঙ্গে কেওয়ে টিও কাই পু। এটি মূলত ডিম,মাংস,মুরগি বা সামুদ্রিক খাবারের টপিংস দিয়ে এক ধরনের বিশেষ নুডলস।
আরো পড়ুন: সুন্দরবনের কটকা সমুদ্র সৈকত: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক ভ্রমণ খরচ
বাটামের আভ্যন্তরীণ ভ্রমণের সম্ভাব্য খরচ
ফেরিতে অভিবাসন শুল্কসহ বাটাম যাওয়া-আসায় খরচ পড়বে জনপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। দ্বীপের ভেতর আবাসন বাবদ খরচ হতে পারে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়ার মধ্যে। এই খরচ প্রায় ৪৫৪ থেকে ৯০৮ টাকার (১ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া = ০ দশমিক ০০৭৬ বাংলাদেশি টাকা) সমান।
প্রতি বেলা খাবারের জন্য ব্যয় করতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার রুপিয়া (১৮৯ থেকে ৩৭৮ টাকা)। এভাবে প্রতিদিনের খাবার বাবদ ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার রুপিয়া (৭৫৭ থেকে ১ হাজার ১৩৫ টাকা) বাজেট রাখা যেতে পারে।
শহরের ভেতরে যাতায়াতের জন্য বাজেট রাখতে হবে দিনপ্রতি ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ রুপিয়া। এই বাজেট প্রায় ১ হাজার ৮৯১ থেকে ২ হাজার ২৭০ টাকার সমতূল্য।
আরো পড়ুন: বর্ষাকালে সুউচ্চ ঝর্ণা-পাহাড়ে হাইকিং ও ট্রেকিং: ঝুঁকির কারণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
ভ্রমণকালীন কিছু প্রয়োজনীয় সতর্কতা
· মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর বা ইন্দোনেশিয়া যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন; অভিবাসনের প্রয়োজনীয় প্রতিটি কাগজপত্র সঙ্গে রাখা জরুরি। বিশেষ করে বাংলাদেশে ফেরার বিমান টিকিট,হোটেল বুকিং স্লিপ এবং পর্যাপ্ত ডলারের এন্ডোর্সমেন্ট।
· শহরের ভেতরে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাতায়াতের জন্য নিরাপদ উপায় হচ্ছে গ্র্যাব এবং গোজেক রাইডিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করা। এছাড়া ট্যাক্সি ক্যাবের তুলনায় ভ্যান ভাড়া করাটা অধিক সাশ্রয়ী।
· শীতের সময়েও দিনের বেলা রোদের তীব্রতা থাকে। তাই সঙ্গে হালকা পোশাক, সানস্ক্রিন, সানগ্লাস ও হেডক্যাপ রাখা ভালো।
· ব্যাগপ্যাক বহন করা উত্তম, তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অত্যধিক ভারী হয়ে না যায়।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পরিশিষ্ট
ইন্দোনেশিয়ার বাটাম দ্বীপ ভ্রমণ মাঝ সাগরে প্রাণের সরব স্পন্দনের এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে নোংসার আদিম সৈকত এবং ব্যারেলাং ব্রিজের বিস্ময়কর স্থাপত্য যেন অবিনশ্বর স্মৃতিচিহ্নের নামান্তর। সিঙ্গাপুর থেকে স্বল্প দূরত্বের পানিপথ যোগাযোগ থাকায় বাজেট-বান্ধব ভ্রমণের উপযোগী হয়ে উঠেছে গন্তব্যটি। এখানকার থাকা-খাওয়া ও আভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থা সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মূল শহরগুলোর তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা থাকায় আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে সুযোগটি। তাই অতিরিক্ত খরচের চাপ ছাড়াই একটি নিশ্চিন্ত ছুটি কাটানোর জন্য সেরা গন্তব্য এই এশীয় দ্বীপ।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ মাস আগে