বৃহত্তম জলবায়ু সম্মেলন
কপ২৯: আজারবাইজানের পথে প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের বৃহত্তম জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৯ এ যোগ দিতে আজারবাইজানের বাকুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকরা বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম সম্মেলন ১১ থেকে শুরু হয়ে, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এবারের কপ-২৯ এ অংশ নিচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে উন্নত দেশগুলোর তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর।’
১৮৪৬ সালে বিশ্বের প্রথম তেল ক্ষেত্র গড়ে উঠেছিল বাকুতে এবং ১৮৯৯ সালে তেল উৎপাদনকারী বিশ্বের নেতৃত্ব দিত আজারবাইজান।
আজারবাইজানের রপ্তানির প্রায় সবই তেল ও গ্যাস। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উত্সগুলোর মধ্যে দুটি হলো তেল ও গ্যাস।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এপ্রিল মাসে এগুলোকে ‘সৃষ্টিকর্তার উপহার’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।
আলিয়েভ বলেছেন, কপ২৯ সম্মেলনটি আজারবাইজানের জন্য একটি ‘বড় সম্মান’।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রভাবিত করছে। কপ২৯-এ বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে তারা আলোচনা করবেন।
আয়োজকদের মতে, কপ২৯ এর মূল ফোকাস অর্থায়নের দিকে থাকবে, কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে দেশগুলোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের হালনাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য এই সম্মেলন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে নির্ধারিত হবে।
যদি সঠিকভাবে করা হয় তবে এই পরিকল্পনাগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের পরিকল্পনার দ্বিগুণ করবে।
১ সপ্তাহ আগে