নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তন
নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই: সাবেক সিইসি আবু হেনা
নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা।
তিনি বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, নির্বাচনি প্রক্রিয়া পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সিইসি এ কথা বলেন।
আবু হেনার অভিমত ছিল, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা (পিআর) বিভিন্ন দেশে ভালোভাবে কাজ করেনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
আবু হেনা বলেন, 'দেশের একজন সিনিয়র নাগরিক হিসেবে আমি চাই আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও দেশের কল্যাণ বয়ে আনুক।’
চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ না হলে যতই সংস্কার করা হোক না কেন, অর্থবহ ফলাফল আসবে না।
দেশের সপ্তম সিইসি হেনা বলেন, ‘নির্বাচনি সফলতা নির্ভর করছে নির্বাচনি আইন প্রয়োগের ওপর। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
তিনি বলেন, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। তারা যোগ্য না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে অনেক বাধা আসবে।
আবু হেনা বলেন, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে হবে। দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু হওয়া উচিত। উচ্চপদস্থদের নয়, তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী বাছাই করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচন পরিচালনাকারী আবু হেনা বলেন, 'স্থানীয় ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে হবে।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আইন সংশোধনের পরিবর্তে প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নির্বাচন কমিশনই আইন প্রয়োগ করে উল্লেখ করে সাবেক এই সিইসি বলেন, 'যোগ্য লোক থাকলে রাজনৈতিক সরকারের শাসনামলেও তারা ভালো নির্বাচন করতে পারে।’
এদিকে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা সব আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছেন এবং অনেক বিষয় চিহ্নিত করেছেন। 'আমরা আশা করছি সময়মতো আমাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করতে পারব।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক প্রস্তাব পেয়েছেন তারা। আশা করছি আরও প্রস্তাব পাব। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশ তুলে ধরব।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
৩৮৮ দিন আগে