সাবেক সিইসি
সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে জুতাপেটার মামলায় হানিফসহ ৩ জনের জামিন
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে জুতাপেটা করার ঘটনায় গ্রেপ্তার উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. হানিফের (৩৮) জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত। বুধবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।
এছাড়াও এদিন মামলার আরও দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন- মামলার প্রধান আসামি মোজাম্মেল হক ঢালী ও উত্তরা পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ূম।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান খান।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) হানিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত। এদিন আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
এর আগে সোমবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল হানিফকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরার বাসায় ঢুকে একদল লোক নুরুল হুদাকে বের করে আনেন। জুতার মালা পরিয়ে তাকে হেনস্তা করে পুলিশে সোপর্দ করেন। জুতা দিয়ে নুরুল হুদাকে আঘাত ও ডিম নিক্ষেপ করেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২৪ জুন উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক সজীব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান কে এম নুরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৬২ দিন আগে
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। এর আগে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার তার বাসা থেকে নুরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ।
রবিবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার কয়েক ঘণ্টা পরই এই আটক করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের। এছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
রবিবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করে।
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন কারচুপি এবং দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেসময় যদিও বারবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং ভোটগ্রহণের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছিল।
১৬৪ দিন আগে
সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৬৪ দিন আগে
তিন সাবেক সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি)-সহ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি।
রবিবার (২২ জুন) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করে।
এর আগে, আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি জমা দেন তারা। এ ছাড়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠিও সে সময় হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে ও দলীয় পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নির্বাচনগুলোতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েনের আহ্বান বারবার উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা।
আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন খান বলেন, ওই নির্বাচনগুলোর সময় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন সিইসিরা কোনো সংশোধনী ব্যবস্থা নেননি। আমরা আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন পরিচালনা করেন তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হয় তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার অধীনে। সে সময় ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
সর্বশেষ গত বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের অধীনে। সবশেষ এই নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপি। সেবারও নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই ওই তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
১৬৬ দিন আগে
সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
বিএনপি দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন তদারকিকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদল রবিবার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রথমে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযোগের একটি কপি জমা দেবেন এবং তারপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করবেন।
পড়ুন: দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
শায়রুল বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেসব নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি, ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায্য বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এর আগে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তৎকালীন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করেছিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল, দলটি অংশগ্রহণ না করায় এটিকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৬৬ দিন আগে
সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের ইন্তেকাল
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
তিনি রাজধানীর মগবাজারে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে আইসিওতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই বিচারপতি ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৯৫ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যান।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ ছাড়া তিনি দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ বাদ আছর রাজধানীর মহাখালীর টিবি হাসপাতাল গেট সংলগ্ন গাউছুল আজম জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাযা এবং ময়মনসিংহের দাপুনিয়া হাইস্কুলে মাঠে বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
২৯৯ দিন আগে
নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই: সাবেক সিইসি আবু হেনা
নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা।
তিনি বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, নির্বাচনি প্রক্রিয়া পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশের বর্তমান ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। আমাদের দেশের মানুষ এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সিইসি এ কথা বলেন।
আবু হেনার অভিমত ছিল, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা (পিআর) বিভিন্ন দেশে ভালোভাবে কাজ করেনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
আবু হেনা বলেন, 'দেশের একজন সিনিয়র নাগরিক হিসেবে আমি চাই আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও দেশের কল্যাণ বয়ে আনুক।’
চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ না হলে যতই সংস্কার করা হোক না কেন, অর্থবহ ফলাফল আসবে না।
দেশের সপ্তম সিইসি হেনা বলেন, ‘নির্বাচনি সফলতা নির্ভর করছে নির্বাচনি আইন প্রয়োগের ওপর। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
তিনি বলেন, সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। তারা যোগ্য না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে অনেক বাধা আসবে।
আবু হেনা বলেন, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে হবে। দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু হওয়া উচিত। উচ্চপদস্থদের নয়, তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী বাছাই করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচন পরিচালনাকারী আবু হেনা বলেন, 'স্থানীয় ভোটের মাধ্যমে প্রাথমিক নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে হবে।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আইন সংশোধনের পরিবর্তে প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নির্বাচন কমিশনই আইন প্রয়োগ করে উল্লেখ করে সাবেক এই সিইসি বলেন, 'যোগ্য লোক থাকলে রাজনৈতিক সরকারের শাসনামলেও তারা ভালো নির্বাচন করতে পারে।’
এদিকে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা সব আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছেন এবং অনেক বিষয় চিহ্নিত করেছেন। 'আমরা আশা করছি সময়মতো আমাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করতে পারব।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক প্রস্তাব পেয়েছেন তারা। আশা করছি আরও প্রস্তাব পাব। সবার মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশ তুলে ধরব।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
৩৮৮ দিন আগে