বাস যাত্রী
কুমিল্লায় ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার তোফায়েল হোসেন উপজেলার বুসয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
পুলিশ জানায়, মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে। তিনি মামলার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ বিএনপি
জামায়াতের ৬৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আবু বকর সিদ্দীকের আদালতে বাসের মালিক আবুল খায়ের মামলাটি করেন।
আসামি করা হয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, চৌদ্দগ্রামের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এছাড়া একাধিক পুলিশ সদস্যসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।
১ দিন আগে