অন্তর্বর্তী সরকারে
শিক্ষার্থীরা দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে: সিআর আবরার
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, ‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান? আমি বলব—আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার, যেখানে আমাদের ছাত্র- ছাত্রীরা দেশের ভিতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারে।’
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বগ্রহণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন এই শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ভাবিনি—আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা যে আমাকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন; সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন—সামনে যে জার্নিটা ইজি হবে তা নয়।’
তিনি বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগত। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের অনেক দায়বদ্ধতা আছে।
সিআর আবরার বলেন, ‘আমি মনে করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মানে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আমি স্বপ্ন দেখি—আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভিতরেই তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি—এটা হয়তো দ্রুত হবে না। কিন্তু এর একটা ভিত্তিপ্রস্তর আমরা তৈরি করতে চাই।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন সিআর আবরার
এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সকল কিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটা কমিশন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনা নেবে।
তিনি বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।
১৭ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের অগ্রগতি উপস্থাপন
অন্তবর্তকালীন সরকারের ১০০ দিনের প্রধান অর্জনগুলো তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, কমিশনগুলো যেসব প্রতিবেদন জমা দেবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, দশটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেবে।
এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে তার মতামত ব্যক্ত করেন আলম। তিনি বলেন, ‘একবার দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠলে, অন্তবর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
আলাদাভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন ও গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে।
প্রেস সচিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
তার মতে, মূল অর্জনগুলো হলো-মসৃণ উত্তরণ, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার, বড় ধরনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, সংস্কার রোডম্যাপ, বিপুল বৈশ্বিক সমর্থন, দুর্নীতি শূন্য, অস্থিরতা ও সংকটের দক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা, পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা এবং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ।
প্রেস সচিব বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বারবার সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আসিয়ানের সদস্যপদ লাভের জন্যও সক্রিয় পদক্ষেপ নেন তিনি।
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তবে তা হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।
ক্যাম্পগুলোর ওপর চাপ কমাতে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশগুলোর পুনর্বাসন দ্রুত করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনার জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে নতুন সম্মেলন আহ্বান করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রত্যাশা পূরণ করা।
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে অনেক দল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে সেসব মোকাবিলা করেছে।’
বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগের ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেন আলম।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে অস্থিরতার কারণে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে, কিন্তু সেগুলো আমাদের রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব ফেলেনি।’
প্রেস সচিব বলেন, শেষ ১০০ দিনে সমাজে অভূতপূর্ব বিরোধী মত প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালনী সরকারের মাত্র ৪ জন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১২৬ দিন আগে