ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার
১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি
সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি চালুর অগ্রগতি কতদূর— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘মিড ডে মিলের কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হয়ে যাচ্ছে।’
চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটি এখনো হয়নি— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম। সেটি আগের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো। এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদের বলা হলো, আপনারা এই (নতুন পরিসংখ্যান) অনুযায়ী করেন।’
একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র, সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো বলে জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই, প্রাথমিকের অন্যান্য ছুটি কমবে: উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘আর যে প্রক্রিয়াগুলো... প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে। আশা করি আমরা পারব।’
কবে নাগাদ পারবেন— এমন প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করতে পারব।’
এই খাবারের মধ্যে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
৮৮ দিন আগে
জানুয়ারিতেই বই পাবে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা: উপদেষ্টা
চলতি জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে।
‘স্বাধীনতার পর অনেক শিক্ষানীতি করা হয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন প্রকার প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে, কিন্তু তা কখনো কার্যকর হয়নি। এটা মূলত আমাদে জাতীয় সমস্যা। এর জন্য আমাদের দেশের অগ্রসর নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে বলে আমি মনে করি,’ বলেন বিধান রঞ্চন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বন্দর ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নে জাইকার সহযোগিতা চাইলেন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলোতে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রণয়ন করে, যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক এ শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যায়।
‘এ জন্যই তাদের মধ্যে একই ধরণের মূল্যবোধের সঞ্চার হয়। অথচ আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন বিভক্তির দিকে যাচ্ছে। আমি জানি, এ দুরবস্থা এত কম সময়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। সে জন্যই আজকে মাঠপ্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেছি আপনাদের পরামর্শ নিয়েছি। আশা করছি এ আলোচনা সভা ফলপ্রসূ হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাকিম।
৩১২ দিন আগে
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, সাইকোলজি যদি সাইন্স হয় তাহলে সাইকোমেট্রিক্স হলো টেকনোলজি। তাই সাইকোমেট্রিক্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শনিবার (১৬ নভেম্বর) টিএসসিতে ‘সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইকোমেটরিক্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান বলেন, সাইকোমেট্রিক্স’র প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। টেস্টগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য হওয়া প্রয়োজন। তাহলে মানুষ মনে করবে এটা প্রয়োজন, অ্যাপলিকেবল করা যায়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মানুষকে নিয়ে ডিল করি, সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করি, গবেষণা করি। কোনো কিছু করতে মেজারমেন্ট করতে হয়, থিসিস হিসেবে ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন থিসিসে ভেরিয়েশন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্টের প্রয়োজন হয়। আমাদের নিজস্ব আইকিউ টেস্ট নেই। তাহলে নির্ভরযোগ্য ডাটা পাব কীভাবে? আমাদের দেশের উপযোগী আইকিউ টেস্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। ফান্ডের অভাবে সেটি হয়ে ওঠেনি।
উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্ট খুবই প্রয়োজন। কারণ তার ক্যাপাবিলিটি রয়েছে কিনা সেটির জন্য সাইকোলজিস্ট টেস্ট খুবই প্রয়োজন। দেশের উপযোগী করে আইকিউ টেস্ট তৈরি করতে হবে। সরকারিভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে ইনপুট করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমদ বশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউ'র ইন্টারনাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, আইইউবিএটি'র প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, ডা. মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
৩৮৩ দিন আগে