মারধর
মুন্সিগঞ্জে রোগীর মৃত্যু, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের মারধর
মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার অবহেলা এবং নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের গাফিলতিকে দায়ী করে মারধর শুরু করেন। হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ডেঙ্গু ওয়ার্ডে হাজেরা মারা যান। এরআগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
হাজেরা খাতুন (৪০) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগীর স্বজনদের মারধরে আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন হাসপাতালটির নার্স ও স্টাফরা। আহতরা হলেন- আঞ্জুম আরা, শান্তা আক্তার, রওশন আরা, ওয়ার্ড বয় ইমাম ও নিরাপত্তা প্রহরী জসিম।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচ তলার নার্সদের ডেক্সের সামনে জটলা। রোগীর স্বজনরা ডেক্সের ওপারে থাকা বয়দের মারধর করছেন। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
তবে স্বজনদের দাবি, অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নার্সরা তা অস্বীকার করেছন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসাপতালটির জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মাহমুদুল হককে প্রধান করে গঠন করা এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. হিমেল বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তের পর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার ডায়াবেটিসসহ শরীরের অন্যান্য রোগও ছিল।
এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আওয়াতিফ ইবনে মতিন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
২ সপ্তাহ আগে
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
২ সপ্তাহ আগে
গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলে রাজু আহমদের (৩০) মারধরে কামরান মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তার বোনও আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিলে উপজেলার পৌর এলাকার স্বরসতি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবার মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে রাজু তার বাবাকে মারধর করে। বাবাকে বাঁচাতে তার বোন এগিয়ে আসলে তাকেও সে মারধর করে। পরে কামরানকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছেলে রাজু ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
১ মাস আগে
খুলনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সদ্যবহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বাবুল গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে খুলনার মহানগরীর বয়রা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়রা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীদের মারধরের অভিযোগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। এই মামলার ১১ নম্বর আসামি নূরুল আমিন বাবুল। এছাড়াও তার নামে চাঁদাবাজি ও ঘের দখলের অভিযোগও আছে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নূরুল আমিন বাবুলকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই ছেলের মারধরে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পলাতক তার দুই ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে পিঁয়াজু পাড়া গ্রামে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন (৫২) ওই গ্রামের টেপু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- আলাল হোসেন (২৭) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
নিহত নাজিম উদ্দীনের চাচি মাসুমা খাতুন বলেন, সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজিমের দুই ছেলে আলাল ও সাইফুল তার বাবাকে মাঠ থেকে বাসায় ধরে এনে মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও দুই ছেলের হুমকি ও গালিগালাজের কারণে তাকে সাহায্য করতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো বোন মুক্তা আক্তার বলেন, মারধরের পর বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয় নাজিমকে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের চাপের মুখে নাজিমকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনে হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার পরই তাকে নিয়ে চলে যায় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মারধরেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
২ মাস আগে
সাবেক চিফ হুইপকে মারধরের অভিযোগে ডিবির হারুন-বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা
জাতীয় সংসদ ভবনের কাছে ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধরের ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফারুকের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
মামলায় ডিবির সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশীদ ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ফারুক উল্লেখ করেন, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং বুট দিয়ে লাথি মেরেছিল।
২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের হামলার শিকার হন সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
পরদিন হরতালের সময় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
ডিবি থেকে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে হারুনকে বদলি
৩ মাস আগে
নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নাটোরের সিংড়ায় রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সেলিম রেজা সিংড়া থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। রিকশাচালক হারুন আলীর বাড়ি সিংড়া পৌর এলাকার বাইশা মহল্লায়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোরের সিংড়ায় দেশ ফার্নিচারের সামনে একটি অটোরিকশাকে দাঁড় করান পুলিশ সদস্যরা। পরে দুজন পুলিশ সদস্য রিকশায় চেপে বসেন। কিন্তু ত্রুটির কারণে রিকশাচালক যেতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ পুলিশ সদস্য রিকশাচালককে দফায় দফায় মারধর করতে থাকেন। প্রায় ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর চালক অস্থায়ীভাবে ত্রুটি মেরামত করে রিকশাটি চালিয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিম রেজা সহকর্মীকে নিয়ে রিকশা থামিয়ে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে বলেন। হারুন আলী নামে ওই রিকশাচালক ত্রুটির কথা বললে এএসআই তাকে মারধর শুরু করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ করে কারো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, আহত ৩
৪ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাংবাদিক আবু মুসার ওপর হামলা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আবু মুসা বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার, ১২ জেলেকে মামলা
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক আবু মুসা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগপুর এএস উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের তদন্তের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে টিম আসে। আবু মুসা ও সবুজ সরকার নামে অপর এক সাংবাদিক সেখানে সংবাদ সংগ্রহে যান। তদন্ত শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই বিদ্যালয়ের গেটে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের মারধরের ছবি ধারণ করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুসাকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে মামলা রেকর্ডের পর আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, আহত ৩
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পরিবারিক শত্রুতার জেরে নুরুল হোসেন ও তার স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার ইফতারের আগে ওই পরিবারের উপর হামলার এই ঘটনা ঘটে। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে সংঘর্ষ: ৭ পুলিশসহ আহত ২৫
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের পরিবারিক শত্রুতা চলছিল। এর জেরে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে নুরুল ও তার স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ওই দিন দিবাগত রাতে নুরুলের ভাই বাদী হয়ে নওশের আলীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি আরও বলেন, পুলিশ এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ২
৭ মাস আগে
আরএনবির ২ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ র্যাবের বিরুদ্ধে
নাটোর রেলস্টেশনে টিকিট চেক করাকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও র্যাবের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরএনবির দুই সদস্যকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে র্যাবের বিরুদ্ধে।
নাটোর স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনের যাত্রী সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্য আল মামুনের কাছে আরএনবি সদস্যরা টিকিট দেখতে চাইলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আরএনবি সদস্যরা ওই যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে তাদের অফিস কক্ষে আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: জবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার আরেক শিক্ষার্থী
পরে ওই যাত্রী র্যাবকে জানালে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা রেল স্টেশনে গিয়ে ওই র্যাব সদস্যকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে মুক্তার হোসেন ও জিয়া নামে আরএনবির দুই সদস্যকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
নাটোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাফায়াত জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে তার কাছে নিয়ে এসেছিল র্যাব সদস্যরা। ওই দুই ব্যক্তি তাদের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা বলে জানিয়েছেন। খুব দ্রুত র্যাব সদস্যরা তাদের নিয়ে চলে যান।
রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহম্মদ বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে নাটোর র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে চোখ বেঁধে পেটানো হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ দিয়ে সান্তাহার জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে না জানিয়ে ডিউটিতে থাকা দুইজন সরকারি কর্মচারীকে এভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
র্যাব তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলেও দাবি করেন বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফি নূর মোহম্মদ।
আরও পড়ুন: যশোরে ভাই ও মা-বাবার মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
৮ মাস আগে