মারধর
মারধরের পর জ্যান্ত পুঁতে স্কুলছাত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ফরিদপুরে জিহাদ নামে এক স্কুলছাত্রকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে মারধরের পর কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শহরের আলীপুরে একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার।
ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে জিহাদ। সে কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা বলেন, জিহাদ ওয়াজ শুনতে গেলে এলাকার বখাটে কিশোর তাকে ধরে মারধর করে। পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তারা পাঁচলাখ টাকাও নিয়ে আসতে বলে।
এ ঘটনার পরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বখাটে কিশোর জিহাদকে মারতে মারতে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি কবরস্থানে।
সেখানে এক তরুণকে কোদাল দিয়ে গর্ত খুড়তে দেখা যায়। এসময় জিহাদকে ওই যুবক বলে- ‘তোকে জবাই করমু না, জ্যান্ত পুঁতুম। কি কবি ক? জায়গা পছন্দ কর।’ এরপর কেউ একজন সেখানে কিশোরকে ফোন ধরিয়ে দেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এর কিছুক্ষণ পর যুবকটি জিহাদকে ছেড়ে দিয়ে বলে- ‘বাইচা গেলি আইজকার মতো।’ তারপর তাকে সজোরে কিলঘুষি মারতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় যবিপ্রবির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জিহাদের মা মারিয়া আকতার বলেন, ‘বাড়িতে পৌঁছে ভয়ে তার ছেলে বমি করে দেয়। রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। প্রচণ্ড ভয়ে তার পিত্তি গলে যাওয়ার দশা। সে ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।’
জিহাদ বলেন, কয়েক দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের কছে উচু স্বরে জানতে চেয়েছিল তারা কারা। এই অপরাধে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথমে তাকে একদফায় মারধর করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার কাছ থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিল সে। তখন ওই যুবকেরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নেয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদী হয়ে রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিলসহ (১৯) আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, অভিযোগটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে।
দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না: উপদেষ্টা
২ দিন আগে
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে ছাত্রকে মারধর, ৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের কক্ষে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে বহিষ্কারসহ ৯ ছাত্রকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সেমিস্টার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির।
জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে এক ছাত্রকে মারধরসহ কয়েকজনের ওপর নির্যাতন চালান অন্য একদল শিক্ষার্থী। অভিযুক্তেদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পান গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটি সুপারিশ মোতাবেক অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় ৯ জন ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএস-২ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ আহমেদ ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল ৪ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থী সৌরভ কুমার কুন্ডুকে এক সেমিস্টারের জন্য এবং হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কৃষি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিবুর রহমান (সুইন), কৃষি অনুষদের ১৯ ব্যাচের সাদী মো. মোসাব্বাহ (সাদী চিশতি), ম্যানেজমেন্ট ২১ ব্যাচের মাস-উদ আব্দুল্লাহ (রিদম), ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২৩ ব্যাচের ফাহমিদ তানজিম ফাহিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ২২ ব্যাচের আবু হামজা, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২০ ব্যাচের নুহাস আলী অর্ণব এবং মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ এর শিক্ষার্থী তামজিদ হককে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কথা-কাটাকাটির জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর রাতে জিয়া হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে ১৭ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করাসহ আরও কয়েকজন লাঞ্ছিত করেছিলেন অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। দুই সপ্তাহ বাদে ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তদন্ত কমিটি গঠন এবং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চিহ্নিত ৯জনক বহিষ্কারসহ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এধরনের জড়িত কাউকে ছাড় দেবে না। হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানালে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্হা নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো অবস্থাতেই সংঘাত মারামারি হানাহানি বিশৃঙ্খল ঘটনায় ছাড় পাবে না অভিযুক্তরা।
২ দিন আগে
মুন্সিগঞ্জে রোগীর মৃত্যু, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের মারধর
মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার অবহেলা এবং নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের গাফিলতিকে দায়ী করে মারধর শুরু করেন। হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ডেঙ্গু ওয়ার্ডে হাজেরা মারা যান। এরআগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
হাজেরা খাতুন (৪০) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগীর স্বজনদের মারধরে আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন হাসপাতালটির নার্স ও স্টাফরা। আহতরা হলেন- আঞ্জুম আরা, শান্তা আক্তার, রওশন আরা, ওয়ার্ড বয় ইমাম ও নিরাপত্তা প্রহরী জসিম।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচ তলার নার্সদের ডেক্সের সামনে জটলা। রোগীর স্বজনরা ডেক্সের ওপারে থাকা বয়দের মারধর করছেন। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
তবে স্বজনদের দাবি, অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নার্সরা তা অস্বীকার করেছন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসাপতালটির জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মাহমুদুল হককে প্রধান করে গঠন করা এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. হিমেল বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তের পর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার ডায়াবেটিসসহ শরীরের অন্যান্য রোগও ছিল।
এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আওয়াতিফ ইবনে মতিন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
১ মাস আগে
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলে রাজু আহমদের (৩০) মারধরে কামরান মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তার বোনও আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিলে উপজেলার পৌর এলাকার স্বরসতি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছেলের মৃত্যুর খবরে বাবার মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে রাজু তার বাবাকে মারধর করে। বাবাকে বাঁচাতে তার বোন এগিয়ে আসলে তাকেও সে মারধর করে। পরে কামরানকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছেলে রাজু ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
২ মাস আগে
খুলনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সদ্যবহিষ্কৃত বিএনপি নেতা বাবুল গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে খুলনার মহানগরীর বয়রা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর কয়রা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যবসায়ীদের মারধরের অভিযোগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। এই মামলার ১১ নম্বর আসামি নূরুল আমিন বাবুল। এছাড়াও তার নামে চাঁদাবাজি ও ঘের দখলের অভিযোগও আছে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. নূরুল আমিন বাবুলকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
২ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই ছেলের মারধরে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পলাতক তার দুই ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে পিঁয়াজু পাড়া গ্রামে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন (৫২) ওই গ্রামের টেপু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- আলাল হোসেন (২৭) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
নিহত নাজিম উদ্দীনের চাচি মাসুমা খাতুন বলেন, সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজিমের দুই ছেলে আলাল ও সাইফুল তার বাবাকে মাঠ থেকে বাসায় ধরে এনে মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও দুই ছেলের হুমকি ও গালিগালাজের কারণে তাকে সাহায্য করতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো বোন মুক্তা আক্তার বলেন, মারধরের পর বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয় নাজিমকে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের চাপের মুখে নাজিমকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনে হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার পরই তাকে নিয়ে চলে যায় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মারধরেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
২ মাস আগে
সাবেক চিফ হুইপকে মারধরের অভিযোগে ডিবির হারুন-বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা
জাতীয় সংসদ ভবনের কাছে ২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে মারধরের ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফারুকের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: ছয় সমন্বয়ককে 'বিবৃতি দিতে বাধ্য করার' অভিযোগ ভিত্তিহীন ও গুজব: ডিবিপ্রধান হারুন
মামলায় ডিবির সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশীদ ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ফারুক উল্লেখ করেন, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং বুট দিয়ে লাথি মেরেছিল।
২০১১ সালের ৬ জুলাই বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের হামলার শিকার হন সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
পরদিন হরতালের সময় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
ডিবি থেকে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে হারুনকে বদলি
৩ মাস আগে
নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
নাটোরের সিংড়ায় রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেলিম রেজা নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সেলিম রেজা সিংড়া থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। রিকশাচালক হারুন আলীর বাড়ি সিংড়া পৌর এলাকার বাইশা মহল্লায়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোরের সিংড়ায় দেশ ফার্নিচারের সামনে একটি অটোরিকশাকে দাঁড় করান পুলিশ সদস্যরা। পরে দুজন পুলিশ সদস্য রিকশায় চেপে বসেন। কিন্তু ত্রুটির কারণে রিকশাচালক যেতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ পুলিশ সদস্য রিকশাচালককে দফায় দফায় মারধর করতে থাকেন। প্রায় ২ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর চালক অস্থায়ীভাবে ত্রুটি মেরামত করে রিকশাটি চালিয়ে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিম রেজা সহকর্মীকে নিয়ে রিকশা থামিয়ে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিতে বলেন। হারুন আলী নামে ওই রিকশাচালক ত্রুটির কথা বললে এএসআই তাকে মারধর শুরু করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ করে কারো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ, আহত ৩
৫ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মামলা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাংবাদিক আবু মুসার ওপর হামলা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আবু মুসা বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার, ১২ জেলেকে মামলা
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক আবু মুসা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগপুর এএস উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের তদন্তের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে টিম আসে। আবু মুসা ও সবুজ সরকার নামে অপর এক সাংবাদিক সেখানে সংবাদ সংগ্রহে যান। তদন্ত শেষে বাড়ি ফেরার সময় ওই বিদ্যালয়ের গেটে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের মারধরের ছবি ধারণ করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুসাকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে মামলা রেকর্ডের পর আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে