মারধর
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
৭ দিন আগে
চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার একটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রুবেল মজুমদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ মার্চ) বিজয়পুর বাজারির বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরপর রুবেল মজুমদারের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের।
আবু তাহের বারপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভিতরে টিসিবি কার্ডের মালামাল বিতরণ করছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা পরিচয় দেওয়া রুবেল মজুমদার এসে তাকে নগদ অর্থ দেওয়ার দাবি করেন। টাকা না দিলে মালামাল বিতরণের কাজ করতে দেবেন না বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে পিস্তল দিয়ে তার মাথায় আঘাত ও কিল, ঘুষি দিয়ে আহত করে।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক
অভিযুক্ত রুবেল মজুমদার বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর বিষয়টি সঠিক নয়। আওয়ামী লীগের লোকজনকে টিসিবির পণ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, পরিষদে ঢুকে প্যানেল চেয়ারম্যানকে মারধর করার ঘটনাটি দুঃখজনক। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
১৪ দিন আগে
নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহসানগঞ্জ হাট-সংলগ্ন মালাধার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম নান্টু প্রামাণিক। তার বাড়ি আত্রাই উপজেলার দাঁড়িয়াগাথী গ্রামে। ছিনতাইকারীদের রডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
পুলিশ জানয়, নান্টু দীর্ঘদিন ধরে আত্রাই উপজেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন স্বর্ণপট্টি এলাকায় সোনার ব্যবসা করে আসছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রিংকু জুয়েলার্স। প্রতিদিন দোকানে বেচাকেনা শেষ করে দোকানের মজুত স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আহসানগঞ্জ মালাধার সেতুর কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তার মাথায় পেছন থেকে রড দিয়ে আঘাত করে তার ব্যাগে থাকা অলংকার ও নগদ লুট করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদরত-ই খোদা এবং আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবাসায়ী নান্টুর মাথায় ও হাতে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে একটি মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজহার পাওয়ার পর বলা যাবে, কী পরিমাণ মালামাল ও টাকা লুট করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।’
২২ দিন আগে
শহিদ মিনারে বিএনপির ‘অপকর্মের ভিডিও করায়’ সাংবাদিককে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটানোর ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নাসিরনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের দিকে আঙুল তুলেছেন গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক।
একুশের প্রথম প্রহরে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শহিদ দিবদের সংবাদ সংগ্রহ করতে তিনি গতরাতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটাতে থাকেন। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির উদ্দিন ও তার সমর্থকরা তার দিকে তেড়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এ সময় বশির আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারাসহ অন্যান্য বিএনপিকর্মীরা রড, চাপাতি নিয়ে আমার ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
অপরদিকে, জেলার বিজয়নগর উপজেলায় শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দলটির দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ এ বিষয়ে জানায়, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মহসিন ও শাহ আলম গ্রুপ একসঙ্গে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষ ঘটে।
বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৬ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের নেতা ইকতার রহমানের বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের একদিন পরই অভিযুক্ত এই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জীবননগর পৌর এলাকায় নানারকম হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমন কর্মকাণ্ডে ইক্তার রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
৪৪ দিন আগে
চাঁদপুরে বাবা-মাকে মারধর করায় ছেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে বাবা-মাকে মারধর করায় ইসমাইল চৌধুরী মানিক নামে এক সন্তানকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
সৈকত ইউএনবিকে জানান, মানিকের বাবা ও মা আমাদের কাছে ও মডেল থানায় সরাসরি এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেখানে তারা প্রতিনিয়ত মারধরের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। যার কারণে মডেল থানার সহযোগিতা নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
এছাড়া মানিক যে তার মা-বাবাকে মারধর করেন, স্থানীয়রাও আমাদের তা জানায় বলে জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মাদকসহ গ্রেপ্তার ববি ছাত্রলীগ নেতার কারাদণ্ড
পরে ছেলে (মানিক) নিজেও স্বীকারোক্তি দেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মানিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭০ দিন আগে
সিলেটে আ.লীগ নেতার মারধরে নিহত ১
সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের মারধরে আহত শেখ উদ্দিন (৫০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি সিলেটের জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার এলাকার শাহপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত ফজর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা মারধরের ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ উদ্দিন সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জয়নুল আহমদ জয়ের বড় ভাই।
ছাত্রদল নেতা জয় জানান, গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ মিয়ার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লিলু মিয়ার কাছে বিচার দিতে যান তার বড় ভাই শেখ উদ্দিন। এ সময় বিচারপ্রার্থীর কথা না শুনে শাহ মিয়ার পক্ষ ধরে লিলু মিয়া শেখ উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে লিলু তার বাহিনী নিয়ে শেখ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় হামলাকারীদের মারধরে শেখ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনার পর ২৩ ডিসেম্বর শেখ উদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এখন সেটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাত থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আশা করি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
৮৪ দিন আগে
মারধরের পর জ্যান্ত পুঁতে স্কুলছাত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ফরিদপুরে জিহাদ নামে এক স্কুলছাত্রকে রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে মারধরের পর কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) শহরের আলীপুরে একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার।
ফরিদপুর সদরের বড় মাধবপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে জিহাদ। সে কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
জিহাদের বাবা বলেন, জিহাদ ওয়াজ শুনতে গেলে এলাকার বখাটে কিশোর তাকে ধরে মারধর করে। পরে একটি কবরস্থানে নিয়ে কবর খুঁড়ে জ্যান্ত পুঁতে হত্যাচেষ্টা করে। এসময় তারা পাঁচলাখ টাকাও নিয়ে আসতে বলে।
এ ঘটনার পরে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বখাটে কিশোর জিহাদকে মারতে মারতে কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি কবরস্থানে।
সেখানে এক তরুণকে কোদাল দিয়ে গর্ত খুড়তে দেখা যায়। এসময় জিহাদকে ওই যুবক বলে- ‘তোকে জবাই করমু না, জ্যান্ত পুঁতুম। কি কবি ক? জায়গা পছন্দ কর।’ এরপর কেউ একজন সেখানে কিশোরকে ফোন ধরিয়ে দেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এর কিছুক্ষণ পর যুবকটি জিহাদকে ছেড়ে দিয়ে বলে- ‘বাইচা গেলি আইজকার মতো।’ তারপর তাকে সজোরে কিলঘুষি মারতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় যবিপ্রবির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জিহাদের মা মারিয়া আকতার বলেন, ‘বাড়িতে পৌঁছে ভয়ে তার ছেলে বমি করে দেয়। রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নিয়ে যাই। প্রচণ্ড ভয়ে তার পিত্তি গলে যাওয়ার দশা। সে ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।’
জিহাদ বলেন, কয়েক দিন আগে তার চাচাতো ভাইদের বাড়ির পেছনে নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে শোরগোল করতে থাকা একদল বখাটের কছে উচু স্বরে জানতে চেয়েছিল তারা কারা। এই অপরাধে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথমে তাকে একদফায় মারধর করা হয়। এরপর শনিবার রাতে বাবার কাছ থেকে হালিম খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে ওয়াজের মাঠে যাচ্ছিল সে। তখন ওই যুবকেরা তাকে দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে আর তারপর তার সিগারেট কেনার ভিডিও করে। তখন তার বাবাকে সিগারেট কেনার ভিডিও দেখিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে নেয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মোস্তাক মাতুব্বর বাদী হয়ে রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিফাত (২৪), মাসুম (২৩), মারুফ (২০), আরাফাত (২০), সজল (২২), সাকিলসহ (১৯) আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, অভিযোগটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে।
দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশ সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না: উপদেষ্টা
১০০ দিন আগে
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে ছাত্রকে মারধর, ৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের কক্ষে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে বহিষ্কারসহ ৯ ছাত্রকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সেমিস্টার ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির।
জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে এক ছাত্রকে মারধরসহ কয়েকজনের ওপর নির্যাতন চালান অন্য একদল শিক্ষার্থী। অভিযুক্তেদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পান গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটি সুপারিশ মোতাবেক অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় ৯ জন ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএস-২ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ আহমেদ ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল ৪ সেমিস্টার-২ এর শিক্ষার্থী সৌরভ কুমার কুন্ডুকে এক সেমিস্টারের জন্য এবং হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও হল থেকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে কৃষি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিবুর রহমান (সুইন), কৃষি অনুষদের ১৯ ব্যাচের সাদী মো. মোসাব্বাহ (সাদী চিশতি), ম্যানেজমেন্ট ২১ ব্যাচের মাস-উদ আব্দুল্লাহ (রিদম), ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২৩ ব্যাচের ফাহমিদ তানজিম ফাহিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ২২ ব্যাচের আবু হামজা, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ২০ ব্যাচের নুহাস আলী অর্ণব এবং মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ এর শিক্ষার্থী তামজিদ হককে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কথা-কাটাকাটির জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর রাতে জিয়া হলের ১০৭ নম্বর রুমে ঢুকে ১৭ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করাসহ আরও কয়েকজন লাঞ্ছিত করেছিলেন অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। দুই সপ্তাহ বাদে ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে তদন্ত কমিটি গঠন এবং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে চিহ্নিত ৯জনক বহিষ্কারসহ শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এধরনের জড়িত কাউকে ছাড় দেবে না। হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ জানালে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্হা নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো অবস্থাতেই সংঘাত মারামারি হানাহানি বিশৃঙ্খল ঘটনায় ছাড় পাবে না অভিযুক্তরা।
১০০ দিন আগে
মুন্সিগঞ্জে রোগীর মৃত্যু, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের মারধর
মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাজেরা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসার অবহেলা এবং নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের গাফিলতিকে দায়ী করে মারধর শুরু করেন। হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ডেঙ্গু ওয়ার্ডে হাজেরা মারা যান। এরআগে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
হাজেরা খাতুন (৪০) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগীর স্বজনদের মারধরে আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন হাসপাতালটির নার্স ও স্টাফরা। আহতরা হলেন- আঞ্জুম আরা, শান্তা আক্তার, রওশন আরা, ওয়ার্ড বয় ইমাম ও নিরাপত্তা প্রহরী জসিম।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচ তলার নার্সদের ডেক্সের সামনে জটলা। রোগীর স্বজনরা ডেক্সের ওপারে থাকা বয়দের মারধর করছেন। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
তবে স্বজনদের দাবি, অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে নার্সরা তা অস্বীকার করেছন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসাপতালটির জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মাহমুদুল হককে প্রধান করে গঠন করা এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. হিমেল বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তের পর তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার ডায়াবেটিসসহ শরীরের অন্যান্য রোগও ছিল।
এ ঘটনায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আওয়াতিফ ইবনে মতিন বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
১৩৬ দিন আগে