মারধর
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম মাদব চন্দ্র (৪০)। তিনি লোহাকুচি এলাকার মৃত মদনমোহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদবিশেষ) স্থাপন করেন মাধব। কিন্তু প্রতিদিনই ওই টেপাইয়ের মাছ চুরি করে নিয়ে যায় ভারতীয় নাগরিকরা।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকেও তিনি নদীতে গিয়ে ভারতীয়দের তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করতে দেখেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মাধবকে মারধর করে। আহত হয়ে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য এক ভারতীয় নাগরিকের খবরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
১৯ দিন আগে
সম্পত্তি নিয়ে মাকে মারধর, ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর ফুলগাজীতে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন ও ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী মা।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুরে ভুক্তভোগী জাহারা বেগম তার দুই ছেলে হোসেন ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ছেলেরা তাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দিয়েছেন। একই ঘটনায় জাহারা বেগমের বড় ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
এ ঘটনা ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মা জাহারা বেগম তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহেদা আক্তারের দেবর বেলাল হোসেন তার স্বামীর কেনা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা আক্তারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
একই ঘটনায় মা জাহারা বেগম বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন পক্ষে কথা বলায় বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন ও তাদের স্ত্রীরা মিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়রা জানয়, জয়নাল আবেদীন তার আপন চাচা মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে তার বসতঘরের সামনের সম্পত্তি কেনেন। জয়নালেনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে দালান নির্মাণের জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনেন তার মেঝ ও ছোট ভাই।
এদিকে দালান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার ভাই বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন তাদের মায়ের থাকার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জাহারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই সম্পত্তির জেরে আমার মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার থাকার ঘরে তালা দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার ভাই আজিজ উল্লাহ মানিকের সহযোগিতায় তারা একাধিকবার আমি ও আমার বড় ছেলের বৌয়ের ওপর হামলা চালায়। আমি আলাদতে তাদের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুসলিম মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে বেলাল দালান নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনে। এ সময় বেলাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা জয়নালের বউয়ের ওপর ও হাত তুলে এবং জাহারার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র আমার মা ও বড় ভাইয়ের কারণে আমাদের সম্পত্তি বণ্টনে করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মা আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেন। ইতোপূর্বেও আমার নামে মামলা করায় আমি ১৮ মাস জেল হাজতে ছিলাম। ‘আমি কিছু করিনি। এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি যতটুকু পাব বড় ভাই ততটুকু পাবে। আইন অনুযায়ী আমিন এনে মাপ করার পর যা পাবে, আমরা সে কথাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
মায়ের ওপর হামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বলেছি ঝামেলা মিটে যাওয়া পর্যন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে থাকতে। মায়ের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। যার পক্ষপাতিত্ব করছে তার কাছে থাকতে বলেছি।’
ফুলগাজী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মায়ের ঘরটির তালা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দুই পক্ষের আলোচনা আছে ঈদের পর আগামী ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের সঙ্গে সামাজিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
২২ দিন আগে
‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে মারধর
পটুয়াখালীর দুমকিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী দম্পতি।
রবিবার (২২ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
জিয়াউর রহমান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে ওই দম্পতিকে মারধর করেন জিয়াউর রহমান, তার বউ ও ছেলেমেয়েরা। এর আগেও মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউরের একটি অডিও কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারী গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যায় জিয়াউর রহমানকে।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে জিয়াউর রহমান ফোন করে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আর তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমানে একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে আর আমার স্বামীকে মারধর করেন।’
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘এই জিয়াউর রহমান খারাপ চরিত্রের লোক। বেশকিছু দিন আগে তার খারাপ চরিত্রের কারণে অন্য একটা সংসার ভাঙ্গে। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমার এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
তবে জিয়াউর রহমানের দাবি, ‘চুরির কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে।’ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে কল দিয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা তো প্রায় ছয় মাস আগের কথা। ওরা খারাপ বলেই এখন সেই রেকর্ড ভাইরাল করছে।’
পটুয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন বলেন, ‘ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে নাকি মারধর করা হয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে কিছু জানা নেই।
ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৪ দিন আগে
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবককে মারধর, মোটরসাইকেলে আগুন
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়েছেন এক যুবক। মারধরের পাশাপাশি তার মোটরসাইকেলটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মাগুরা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইউসুফ নামের ওই যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয় সেনাসদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মাগুরা শহরে আজ বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষের লোকজন। এ সময় ইউসুফ নামের ওই যুবক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভকারীরা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি দোকানে খুঁজে পেয়ে তাকে সেখানে থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পিটুনি দেওয়া শুরু করেন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সেনা সদস্যরা ইউসুফকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সদর থানায় নেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধরা মাগুরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২৪ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
৩৬ দিন আগে
চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার একটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রুবেল মজুমদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ মার্চ) বিজয়পুর বাজারির বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরপর রুবেল মজুমদারের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের।
আবু তাহের বারপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভিতরে টিসিবি কার্ডের মালামাল বিতরণ করছিলেন। এসময় বিএনপি নেতা পরিচয় দেওয়া রুবেল মজুমদার এসে তাকে নগদ অর্থ দেওয়ার দাবি করেন। টাকা না দিলে মালামাল বিতরণের কাজ করতে দেবেন না বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে পিস্তল দিয়ে তার মাথায় আঘাত ও কিল, ঘুষি দিয়ে আহত করে।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক
অভিযুক্ত রুবেল মজুমদার বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর বিষয়টি সঠিক নয়। আওয়ামী লীগের লোকজনকে টিসিবির পণ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম বলেন, পরিষদে ঢুকে প্যানেল চেয়ারম্যানকে মারধর করার ঘটনাটি দুঃখজনক। দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
৪২ দিন আগে
নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহসানগঞ্জ হাট-সংলগ্ন মালাধার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম নান্টু প্রামাণিক। তার বাড়ি আত্রাই উপজেলার দাঁড়িয়াগাথী গ্রামে। ছিনতাইকারীদের রডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
পুলিশ জানয়, নান্টু দীর্ঘদিন ধরে আত্রাই উপজেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন স্বর্ণপট্টি এলাকায় সোনার ব্যবসা করে আসছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রিংকু জুয়েলার্স। প্রতিদিন দোকানে বেচাকেনা শেষ করে দোকানের মজুত স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আহসানগঞ্জ মালাধার সেতুর কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তার মাথায় পেছন থেকে রড দিয়ে আঘাত করে তার ব্যাগে থাকা অলংকার ও নগদ লুট করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদরত-ই খোদা এবং আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবাসায়ী নান্টুর মাথায় ও হাতে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে একটি মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজহার পাওয়ার পর বলা যাবে, কী পরিমাণ মালামাল ও টাকা লুট করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।’
৫০ দিন আগে
শহিদ মিনারে বিএনপির ‘অপকর্মের ভিডিও করায়’ সাংবাদিককে মারধর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটানোর ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নাসিরনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিনের দিকে আঙুল তুলেছেন গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক।
একুশের প্রথম প্রহরে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
বেধড়ক মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দৈনিক কালবেলা ও এনটিভির নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হামলায় তার মুখ, মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শহিদ দিবদের সংবাদ সংগ্রহ করতে তিনি গতরাতে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুই সদস্যকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে পেটাতে থাকেন। ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বশির উদ্দিন ও তার সমর্থকরা তার দিকে তেড়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এ সময় বশির আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে প্রথমে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারাসহ অন্যান্য বিএনপিকর্মীরা রড, চাপাতি নিয়ে আমার ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিন তুহিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
অপরদিকে, জেলার বিজয়নগর উপজেলায় শহিদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল মিয়া ও জীবন আলী নামে দলটির দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ এ বিষয়ে জানায়, রাতে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মহসিন ও শাহ আলম গ্রুপ একসঙ্গে ফুল দিতে গেলে বাদানুবাদ থেকে এই সংঘর্ষ ঘটে।
বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
৫৪ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্কার
চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইক্তার রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। এছাড়া যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের নেতা ইকতার রহমানের বিরুদ্ধে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের একদিন পরই অভিযুক্ত এই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জীবননগর পৌর এলাকায় নানারকম হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার কারণে দলের ব্যাপক ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমন কর্মকাণ্ডে ইক্তার রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
৭৩ দিন আগে
চাঁদপুরে বাবা-মাকে মারধর করায় ছেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে বাবা-মাকে মারধর করায় ইসমাইল চৌধুরী মানিক নামে এক সন্তানকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
সৈকত ইউএনবিকে জানান, মানিকের বাবা ও মা আমাদের কাছে ও মডেল থানায় সরাসরি এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেখানে তারা প্রতিনিয়ত মারধরের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। যার কারণে মডেল থানার সহযোগিতা নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
এছাড়া মানিক যে তার মা-বাবাকে মারধর করেন, স্থানীয়রাও আমাদের তা জানায় বলে জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: মাদকসহ গ্রেপ্তার ববি ছাত্রলীগ নেতার কারাদণ্ড
পরে ছেলে (মানিক) নিজেও স্বীকারোক্তি দেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মানিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৯৯ দিন আগে