মারধর
ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ডিএমপির
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের মারধরের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তাদের দাবি, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
শনিবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। এতে বলা হয়, ‘ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের একাংশের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নতুনবাজার মোড়ে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কর্মসূচির শুরুতে কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আলোচনা করেন এবং জনগণের চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি না করে রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।’
‘বারবার অনুরোধ করার পরেও জনগণের চলাচলের রাস্তা না ছাড়ায় জনগণের ভোগান্তি কমাতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং পুলিশ আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।’
ডিএমপি জানিয়েছে, ‘পরবর্তীতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুনরায় রাস্তা দখল করে আন্দোলন শুরু করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
‘পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে এবং কোনোরূপ বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও, কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
এমন পরিস্থিতিতে, ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি। বাড্ডা-কুড়িল রোডের এক পাশে যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এদিকে ঢাকার ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) একদল শিক্ষার্থী। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করেন।
সড়ক অবরোধ থেকে শিক্ষার্থীদের সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৬ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়।’
তারা বলেন, পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।
১৬৬ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে দুই তরুণীকে মারধর: আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মুন্সীগঞ্জে পিকনিকের লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় জিহাদ হাসান (২৪) নামের এক যুবকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ মে) জেলার আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আসামি জিহাদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার মনিরুজ্জামানের সন্তান।’
এর আগে, রবিবার (১১ মে) আসামির ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে আনা হলে বিচারক আজ সোমবার শুনানির দিন ঠিক করেন ও আসামিকে হাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে টিনা
পুলিশের তথ্যমতে, গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে যাত্রাবিরতির পিকনিকের লঞ্চে উঠে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর করেন জিহাদ হাসান নামের ওই যুবক। পরে তার নামে যৌন নিপীড়ন, বেআইনিভাবে মারধর, ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ তুলে মামলা করেন মুক্তারপুর নৌপুলিশের এসআই মিলন বিশ্বাস।
মুন্সীগঞ্জ থানায় করা এ মামলায় জিহাদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে জিহাদকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের নাম সংগ্রহসহ আসল ঘটনা জানার জন্যই রিমান্ডের যৌক্তিকতা আদালতে তুলে ধরা হয়েছে।’
২০৬ দিন আগে
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা গেছে, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিককে রমনা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। রমনা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ বিকালে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সিদ্দিককে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল। তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের হেফাজতে আছেন।’
জানা গেছে, ঢাকার কাকরাইল এলাকায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। নেওয়ার সময়ও কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। এই অভিনয়শিল্পীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দোসর বলে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণীতে বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
সিদ্দিক অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
২১৯ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগটির গেটে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে ৩ শিক্ষকসহ থানায় অবস্থান করছেন তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম হোসেন। তিনি জবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) আকরামের সঙ্গে ঘটা ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) স্নাতকোত্তরের সনদ তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিলেন আকরাম। সেখান থেকে তাকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকরামকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষে থাকার সময় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দলবদ্ধ হামলা চালিয়েছিলেন আকরাম ও তার বন্ধুরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষে থাকার সময় ছাত্রলীগের বড় ভাইয়েরা আমাকে মিছিলে নিয়ে যেত। কিন্তু এরপরে আমি আর কখনো ছাত্রলীগ করিনি। আমার কোনো পোস্ট-পদবি কিছুই নেই। আমি জুলাই আন্দোলনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি।’
এদিকে, এ ঘটনায় বিভাগে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আকরামকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান করছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ফকির বলেন, ‘আকরাম ভাইকে ট্যাগিং দিয়ে অন্যায়ভাবে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। আমরা যখন তাকে ছাড়াতে থানায় আসি, তখন আমাদের বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অথবা উপাচার্য না বললে আকরাম ভাইকে ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমরা তিনজন শিক্ষকসহ এখন থানায় অবস্থান করছি।’
আরও পড়ুন: পিএসসির সংস্কারসহ ৭ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, ‘আকরাম ভাই খুবই মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন জার্নালে তার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। সনদ তুলতে এলে তাকে মারধর করে থানায় দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা জানান, গেটে এখনও তালা দেওয়া রয়েছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
২২০ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সহপাঠীদের মারধরে আহত হওয়ার আট দিন পর ইমন হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ইমন।
ইমন হোসেন (১৬) ওই গ্রামের এমদাদুল মোল্লার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, পরীক্ষা চলাকালে সহপাঠীদের কয়েকজন ইমনের খাতা দেখতে চায়। তবে এতে রাজি হয়নি সে। এ ঘটনার জেরে ১৮ এপ্রিল বিকালে তাকে সহপাঠীরা পার্শ্ববর্তী বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গতকাল (শুক্রবার) তার মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে প্রবাসীর মৃত্যু
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানি বলেন, ‘পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি পাশ্ববর্তী থানা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকায় ঘটেছে। এজন্য বেলকুচি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
২২২ দিন আগে
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম মাদব চন্দ্র (৪০)। তিনি লোহাকুচি এলাকার মৃত মদনমোহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদবিশেষ) স্থাপন করেন মাধব। কিন্তু প্রতিদিনই ওই টেপাইয়ের মাছ চুরি করে নিয়ে যায় ভারতীয় নাগরিকরা।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকেও তিনি নদীতে গিয়ে ভারতীয়দের তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করতে দেখেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মাধবকে মারধর করে। আহত হয়ে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য এক ভারতীয় নাগরিকের খবরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
২৫০ দিন আগে
সম্পত্তি নিয়ে মাকে মারধর, ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর ফুলগাজীতে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন ও ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী মা।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুরে ভুক্তভোগী জাহারা বেগম তার দুই ছেলে হোসেন ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ছেলেরা তাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দিয়েছেন। একই ঘটনায় জাহারা বেগমের বড় ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
এ ঘটনা ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মা জাহারা বেগম তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহেদা আক্তারের দেবর বেলাল হোসেন তার স্বামীর কেনা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা আক্তারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
একই ঘটনায় মা জাহারা বেগম বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন পক্ষে কথা বলায় বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন ও তাদের স্ত্রীরা মিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়রা জানয়, জয়নাল আবেদীন তার আপন চাচা মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে তার বসতঘরের সামনের সম্পত্তি কেনেন। জয়নালেনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে দালান নির্মাণের জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনেন তার মেঝ ও ছোট ভাই।
এদিকে দালান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার ভাই বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন তাদের মায়ের থাকার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জাহারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই সম্পত্তির জেরে আমার মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার থাকার ঘরে তালা দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার ভাই আজিজ উল্লাহ মানিকের সহযোগিতায় তারা একাধিকবার আমি ও আমার বড় ছেলের বৌয়ের ওপর হামলা চালায়। আমি আলাদতে তাদের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুসলিম মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে বেলাল দালান নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনে। এ সময় বেলাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা জয়নালের বউয়ের ওপর ও হাত তুলে এবং জাহারার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র আমার মা ও বড় ভাইয়ের কারণে আমাদের সম্পত্তি বণ্টনে করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মা আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেন। ইতোপূর্বেও আমার নামে মামলা করায় আমি ১৮ মাস জেল হাজতে ছিলাম। ‘আমি কিছু করিনি। এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি যতটুকু পাব বড় ভাই ততটুকু পাবে। আইন অনুযায়ী আমিন এনে মাপ করার পর যা পাবে, আমরা সে কথাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
মায়ের ওপর হামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বলেছি ঝামেলা মিটে যাওয়া পর্যন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে থাকতে। মায়ের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। যার পক্ষপাতিত্ব করছে তার কাছে থাকতে বলেছি।’
ফুলগাজী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মায়ের ঘরটির তালা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দুই পক্ষের আলোচনা আছে ঈদের পর আগামী ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের সঙ্গে সামাজিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
২৫৩ দিন আগে
‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে মারধর
পটুয়াখালীর দুমকিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী দম্পতি।
রবিবার (২২ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
জিয়াউর রহমান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে ওই দম্পতিকে মারধর করেন জিয়াউর রহমান, তার বউ ও ছেলেমেয়েরা। এর আগেও মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিয়াউরের একটি অডিও কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে অভিযোগকারী গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যায় জিয়াউর রহমানকে।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘বেশকিছু দিন আগে জিয়াউর রহমান ফোন করে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আর তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমানে একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে আর আমার স্বামীকে মারধর করেন।’
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘এই জিয়াউর রহমান খারাপ চরিত্রের লোক। বেশকিছু দিন আগে তার খারাপ চরিত্রের কারণে অন্য একটা সংসার ভাঙ্গে। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সে। মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমার এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।’
তবে জিয়াউর রহমানের দাবি, ‘চুরির কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে।’ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে কল দিয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা তো প্রায় ছয় মাস আগের কথা। ওরা খারাপ বলেই এখন সেই রেকর্ড ভাইরাল করছে।’
পটুয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন বলেন, ‘ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে নাকি মারধর করা হয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে কিছু জানা নেই।
ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৫৬ দিন আগে
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবককে মারধর, মোটরসাইকেলে আগুন
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়েছেন এক যুবক। মারধরের পাশাপাশি তার মোটরসাইকেলটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে মাগুরা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইউসুফ নামের ওই যুবককে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয় সেনাসদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মাগুরা শহরে আজ বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষের লোকজন। এ সময় ইউসুফ নামের ওই যুবক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভকারীরা তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি দোকানে খুঁজে পেয়ে তাকে সেখানে থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পিটুনি দেওয়া শুরু করেন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সেনা সদস্যরা ইউসুফকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সদর থানায় নেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধরা মাগুরা সরকারি কলেজের সামনে থেকে তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২৫৬ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
২৬৭ দিন আগে