ড. খলিলুর রহমান
ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক বিষয়ক দ্বিতীয় দফার আলোচনা আজ বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম দফার ফলপ্রসূ আলোচনার ভিত্তিতে আরও অগ্রগতি অর্জনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
২৭ জুনের প্রথম দফার আলোচনায় অর্জিত অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে দ্রুত একটি চুক্তি সম্পন্ন করার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস (ইউএসটিআর) আয়োজিত এ আলোচনা ৯ থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন, যিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে উপস্থিত থেকে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া বাণিজ্য সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নিতে এরইমধ্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন। শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে, গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ফলপ্রসূ আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে।
গত ৭ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্কিন পেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প জানান, ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শুল্ক হার সংশোধনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভারসাম্য স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব দেশ আমেরিকার রপ্তানি ও শ্রম বাজারে বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের জন্য কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
১৪৯ দিন আগে
বিদেশি নাগরিকত্ব থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান খলিলুরের
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজের সব অধিকার ভোগ করার প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। এ সময়ে তার বিদেশি নাগরিকত্ব আছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রবিবার (১৮ মে) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে তিনি এমন কথা বলেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
‘এই অভিযোগ যিনি করেছেন, তাকে সেটি প্রমাণ করতে হবে। প্রয়োজনে আাদলতের মাধ্যমে এটি প্রমাণ করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।
এরআগে খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে এক সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। আপনার কি সেই আক্কেলজ্ঞান নেই—একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী কীভাবে নিরাপত্তাসংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করবে।’
আরও পড়ুন: আমাদের ঘাড়ের ওপর একটি গাজা বসে আছে: খলিলুর রহমান
‘তিনি রোহিঙ্গা করিডোরের নামে, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চান। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিদায় করুন,’ যোগ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘এই দেশে বন্দর, করিডোর—সব কিছু নাকি ইউনূস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না। আপনি অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের কাছেন হস্তান্তর করবেন—কী চুক্তি করে এসেছেন? কী এখতিয়ার আছে আপনার? কী ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহামান ১৯৭৭ সালে প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন।
আরও পড়ুন: আরাকানের যুদ্ধাবস্থা নিরসন করেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: খলিলুর রহমান
তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন।
তার কূটনৈতিক মেয়াদে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘে স্থায়ী মিশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটির স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মুখপাত্র ছিলেন।
২০১ দিন আগে
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই বলেছেন: হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, তাহলে আমরা তা ঠেকাতে পারছি না।’
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। সে সময় বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের গুরুত্ব উল্লেখ করে বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। সমূদ্রের সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই।’
‘এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে আমরাই একমাত্র অভিভাবক। সুতরাং, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং, চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণে এটি দারুণ সম্ভাবনাময় হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করুন, বাজারজাত করুন, চীনেও নিয়ে আসুন এবং তা সারা বিশ্বের কাছে নিয়ে যান।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘নেপাল ও ভুটানের সীমাহীন জলবিদ্যুৎ রয়েছে, যা এ অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারখানা স্থাপনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমরা এটিকে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।’
‘বাংলাদেশ থেকে আপনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। সমুদ্র আমাদের আঙিনায়। সুতরাং, এই সুযোগটি আপনি নিতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভারত। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা এক এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারতকে ঘিরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এই আচরণ (ভারতের) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই মন্তব্য খুবই আপত্তিকর এবং নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের দুর্বলতা নিয়ে প্রচলিত বর্ণনাকে পুনরায় উসকে দিচ্ছে।”
ভারতের এমন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এই প্রথমবার কথা বলেননি। তিনি ২০১২ সালেও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।’
‘এর চাইতে একটু এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ একটি ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করা এবং তিনি এ প্রসঙ্গে একটি একক অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথাও বলেছিলেন তিনি, যেটাকে বিগ বে ইনেশিয়েটিভ বলে গণ্য করা হয়।’
আরও পড়ুন: মোদি-ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রের এক্সেস পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু আমরা কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেব না, সেটি করার মতো অবস্থাও আমাদের নেই।’
‘কেউ যদি নেয় খুব ভালো, না নিলে কী করব আমরা? কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা যদি অন্যরকম দেওয়া হয়, আমরা সেই ব্যাখ্যা ঠেকাতে পারছি না। আমরা শুধু সবার সমান লাভের জন্য কানেক্টিভিটি দিতে আগ্রহী আছি। কেউ নিলে ভালো, না নিলে নেবেন না।’
আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
এ বিষয়ে হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের বক্তব্য, ‘আশা করা যাচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত বৈঠক না হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলব না।’
২৪৭ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হলেন ড. খলিলুর রহমান
রোহিঙ্গা ইস্যু ও অন্যান্য অগ্রাধিকার নির্ধারণে ড. খলিলুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সম মর্যাদার সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ড. রহমান ১৯৭৭ সালে প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন।
তার কূটনৈতিক মেয়াদে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘে স্থায়ী মিশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটির স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মুখপাত্র ছিলেন।
১৯৯১ সালে ড. রহমান জেনেভায় জাতিসংঘ সচিবালয়ে আঙ্কটাডের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান, এলডিসি প্রোগ্রামের প্রধান এবং বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা সম্পর্কিত জাতিসংঘের আন্তঃসংস্থা গ্রুপের সভাপতিসহ জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং ২০০১ সালের ব্রাসেলস এলডিসি সম্মেলনের জন্য কর্মসূচির খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এলডিসি রপ্তানির জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারও প্রবর্তন করেছিলেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
৩৮১ দিন আগে