সম্পদ বাজেয়াপ্ত
সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে যশোরের শাহীন চাকলাদারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ তার ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ এস এম নুরুল ইসলাদের আদালত এই রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন জানায়, ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করায় ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয়, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর অসামঞ্জস্য।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী
শাহীনের সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
রায়ের দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুল কাদির।
৪৭ দিন আগে
দুদকের মামলায় তুফান সরকারকে ১৩ বছর কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বগুড়ার তুফান সরকারকে ১৩ বছর কারাদণ্ডাদেশ এবং একইসঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় জেলার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল্লা এ রায় ঘোষণা করেন।
তুফান বগুড়ার চকসুত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা এবং বগুড়া শহর শ্রমিকলীগের সদস্য। এছাড়া তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ২০১৭ সালে তুফান এক নারীকে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারী ও তার মাকে চরিত্রহীন আখ্যা দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় এলে পুলিশ তুফানকে আটক করে। সেই সময় তুফানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে।
এরপর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চার্জশিট দাখিল করেন।
বগুড়ার সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মামলায় তুফান সরকারের ১৩ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়াও তার ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তুফান সরকার ঘটনার পর গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক বছর কারাগারে আটক থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে ডিম ছুঁড়ে মারলেন আইনজীবীরা
১০৩ দিন আগে