নূরজাহান বেগম
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে গেলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমরা খালি ওষুধের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি, আসলে এটা কিন্তু স্বাস্থ্য সেবা না। এটা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবসা। আমরা যদি সবাই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে যাই, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শাহবাগের বিএসএমএমইউ কনভেনশন হলে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ডিভাইস বিষয়ক সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রেসার বা রক্তচাপের কথা বলি। কিন্তু প্রেসার কেন হয়, কি করলে প্রেসার হবে না, এজন্য জীবনযাত্রায় কি পরিবর্তন আনতে হবে এইগুলোর প্রতি আমাদের নজর দেওয়া উচিত।
এছাড়া প্রিভেনশন বা রোগ প্রতিরোধের প্রতি আমাদের খুবই গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সভায় সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতালের যন্ত্রপাতির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এ সকল যন্ত্রপাতি ঠিকমত মেরামত, সংরক্ষনণ ও অকেজো যন্ত্রপাতি কাজের উপযোগী করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো: সারোয়ার বারী।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী উমর ইশরাক, মেডট্রনিক ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট রুচিকা সিনঘাল, ঢাকার হাসপাতালগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, পরিচালকরা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমার কাছে ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর ফিরে আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও দেশে আসেননি।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ট্রেনিং করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আমি খুবই গর্বিত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টরা কীভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই চিকিৎসকরা যতভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি- আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিনদিনের জন্য চিকিৎসকরা কী প্রশিক্ষণ নেবেন।
তিনি বলেন, তিনদিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি সেসব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে।
এছাড়া দীর্ঘ প্রশিক্ষণে আমার কোনো আপত্তি নেই, সেটা হোক এক সপ্তাহ কিংবা হোক দুই সপ্তাহ বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিকে ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক চিকিৎসক এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
২ সপ্তাহ আগে