অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে সরকারের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সরকারের গৃহীত উদ্যোগের অংশ হিসেবে অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপস থেকে ট্র্যাভেল পাস সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাহাজে প্রবেশের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সাময়িকভাবে সীমিত করবে সরকার
পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে এমন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া, নুনিয়াছড়া ঘাঁটে পর্যটকদের জন্য নির্দেশনা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল জাহাজ ও পর্যটন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০টি টিম জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার মনিটর করছে।
দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (২ ডিসেম্বর) ৬৪৪ জন পর্যটক ও ৩৭ জন স্থানীয়সহ সর্বমোট ৬৮১ জন যাত্রী বার আউলিয়া জাহাজে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছে। এর মধ্যে মোট ট্রাভেল পাস ইস্যু হয় ৭০৪টি।
প্লাস্টিক/পলিথিন ব্যবহার রোধে গমণকৃত পর্যটকদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের সুবিধার্থে পরিবেশ বান্ধব কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে