আসছে শৈত্যপ্রবাহ
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। প্রতিদিনই নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার পারদ।
এদিকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
আর রবিবার (৮ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন থেকে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা আরও কমবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর একটু আগেই শীত পড়া শুরু করে এ জেলায়। এরপর থেকে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
এর আগে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘সোমবার আকাশে কুয়াশা রয়েছে ও নিম্নচাপের কারণে আকাশ মেঘলা। আগামীকালও এরকম থাকতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবার সম্ভাবনা আছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমবে।’
তীব্র শীতের আভাসে দিনমজুর আব্বাস মিয়া বলেন, এই অগ্রহায়ণে এত শীত, তাহলে পৌষ ও মাঘ মাসে তীব্র শীত পড়বে। আমরা তো কোনো কাজ করতে পারব না। সংসার চালাব কীভাবে? এখনই চিন্তা হচ্ছে।
রিকশাচালক লিয়াকত বলেন, প্রচণ্ড শীতে কোনো যাত্রীই পাব না। আবার কোনো জনপ্রতিনিধিও এখন নেই। খুব চিন্তায় আছি।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়, যা গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আর গত শীতে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
১০২ দিন আগে