সাজেক
বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ: ঘুরে আসুন দ্বিতীয় সাজেক
পর্বত, অরণ্য ও সমুদ্রপ্রেমী এই তিন শ্রেণির পরিব্রাজকদের জন্য সেরা গন্তব্য হচ্ছে বান্দরবান। অতিকায় উচ্চতার নিঃসীম শূন্যতা উপভোগ করতে করতে সবুজ বনে ঢাকা পাহাড়ি রাস্তা ট্রেকিং করা নিঃসন্দেহে কষ্টসাধ্য। এরই মাঝে দু-একটি সুদৃশ্য ঝর্ণা যেন বিস্ময়ের অববাহিকায় দিয়ে যায় রোমাঞ্চকর পরশ। চূড়ায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেই অনন্ত শূন্যতার সঙ্গে আলিঙ্গনটা যেন এত কষ্টের স্বার্থকতা এনে দেয়। এর সঙ্গে দৃষ্টিসীমানায় ফেনিল সাগরের দৃশ্য জুড়ে দিলেই তা মিলে যাবে মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণ অভিজ্ঞতার সঙ্গে। দ্বিতীয় সাজেক নামে পরিচিত এই জায়গাটি ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক দর্শনীয় স্থানটির বৃত্তান্ত।
মিরিঞ্জা ভ্যালির অবস্থান
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা বান্দরবানের অন্তর্গত লামা উপজেলা। অপরদিকে,কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে আলীকদম সড়কে লামার অবস্থান। এই উপজেলারই অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর মিরিঞ্জা ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভ্যালির অবস্থান প্রায় ১ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে।
মিরিঞ্জা ভ্যালির ইতিহাস ও বিশেষত্ব
সরাসরি ভ্যালির ইতিহাস বা এর নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সের গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রায় ১৬ একর পাহাড়ি ভূমিকে ঘিরে। এর আগেও কতিপয় ট্রেকারদের আনাগোনা থাকলেও এই কমপ্লেক্সই মূলত স্থানটির জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করে। মিরিঞ্জা পাহাড়ের দক্ষিণ প্রান্তের চূড়ায় ইট পাথরে নির্মাণ করা হয় বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজের ভাস্কর্য,যার উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল।
এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো পাহাড় ও মেঘের অসাধারণ মিথস্ক্রিয়া। এই কারণে পর্যটনকেন্দ্রটিকে বর্তমানে দ্বিতীয় সাজেক ভ্যালি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
আরো পড়ুন: হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে বান্দরবানের মিরিঞ্জা ভ্যালি যাওয়ার উপায়
মিরিঞ্জা যাওয়ার জন্য প্রথমত রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ,ফকিরাপুল বা সায়েদাবাদ থেকে কক্সবাজারের বাস ধরতে হবে। অতঃপর গন্তব্যের আগেই নেমে যেতে হবে চকরিয়া বা চিরিঙ্গা বাস টার্মিনালে।
এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যায়। অতঃপর বাসে করে সরাসরি চকরিয়া বাস টার্মিনাল।
দ্রুত সময়ে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের ফ্লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর কক্সবাজার থেকে বাসে করে চকরিয়া পৌঁছাতে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।
চকরিয়া থেকে লামা-আলীকদম সড়ক ধরে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়ার সিএনজি, জিপগাড়ি বা লোকাল বাস পাওয়া যায়। এই পরিবহনগুলো লামা-আলীকদম পথে মিরিঞ্জা পাহাড়ের পাশে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ১০ মিনিট হাঁটার দূরত্বে ভ্যালির অবস্থান।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের ফুকেট ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
যারা ট্রেকিং করতে ইচ্ছুক তাদের চকরিয়া থেকে চান্দের গাড়িতে করে মুরুম পাড়া পর্যন্ত আসতে হবে। এখান থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ভ্যালি পর্যন্ত ২০ মিনিটের একটি সহজ ট্রেকিং পথ আছে।
চান্দের গাড়িগুলো মিরিঞ্জা পাড়া পর্যন্তও যায়, যেখানে মেইন রোড থেকে ভ্যালি মাত্র ১০ মিনিট হাঁটা পথ।
মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণে কী কী দেখবেন
পাহাড়ি রাস্তা বা ঝিরিপথ পেরিয়ে চূড়ায় আরহণের পর দূরে দেখা যায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স এবং সাঙ্গু নদীসহ বিশাল পাহাড়জুড়ে বিস্তীর্ণ সবুজ বনভূমি। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য এই চূড়া উপযুক্ত একটি স্থান। এখান থেকে দিগন্তরেখায় কক্সবাজার অংশের বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জলরাশি চোখে পড়ে। সেই সঙ্গে দৃশ্যমান হয় লাইট হাউস,যার ক্ষীণ আলোয় সরু রেখায় আলোকিত হয়ে ওঠে পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত।
মুগ্ধতার পরিসর আরও একটু বাড়িয়ে দিয়ে কখনো কখনো সেই রেখায় ভেসে ওঠে একটি দুটি জাহাজ। পাহাড়ের দক্ষিণ প্রান্তের টাইটানিক জাহাজের কাঠামোটিও এখানকার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। পর্যটনকেন্দ্রের কাছেই উপজেলা শহরে ম্রো, ত্রিপুরা, ও মারমাসহ মোট ১১ জনগোষ্ঠির বসবাস।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের চিয়াং মাই ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণের সেরা সময়
বর্ষাকালের শেষ থেকে শরৎকাল পর্যন্ত প্রায় সারাদিনই পরিষ্কার আকাশে শুভ্র মেঘের খেলা দেখা যায়। পাহাড়ের চূড়া থেকে এই দৃশ্য দেখার অনুভূতির কোনো বিকল্প হয় না। তবে এ সময়টাতে পাহাড়ি পথ বেশ পিচ্ছিল থাকে। ট্রেকিং পথ খুব একটা দুর্গম না হলেও উষ্ণ মৌসুমের ফলে পুরো যাত্রাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এখানে আসার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতের শুরু, তথা নভেম্বর মাস। এ সময় কুয়াশার ঘনঘটা তেমন থাকে না, বিধায় পাহাড়ের উপরের দৃশ্যগুলো ভালোভাবে দেখা যায়।
২ দিন আগে
এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।
এছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন -জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলাপ্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয় সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, ১ মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
২ সপ্তাহ আগে
সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আরও তিনদিন পযর্টকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবাইদা আক্তারের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে পযর্টকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভ্রমণ না করার এ সময়সীমা আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে পযর্টকদের নিরুৎসাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটির সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে অনেক বেগ পেতে হয়। এখনও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই দফা সময়সীমা বাড়িয়ে পর্যটকদের সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়ে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক ও ৫০০ ড্রাইভার-কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালির সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ও পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে পর্যটক ও ড্রাইভারর-স্টাফরা এই সমস্যায় পড়েন। এ জন্য রিসোর্ট কটেজ মালিকদের পক্ষ থেকে তাদের থাকার জন্যে দেওয়া হয় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এছাড়াও তিন দিনের অবরোধের কারণে পর্যটন এলাকায় দেখা দেয়, খাবার পানি, গ্যাস ও খাদ্য সংকট। তাই সাম্প্রদায়িক সংকটের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে পর্যটকদের সেখানে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
১ মাস আগে
সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটকসহ গাড়ি চালাককে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় অপহরণকারীরা তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিও করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ভুক্তভোগী পর্যটকরা হলেন, এসএম নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মামুন ফকির(৩৮) এবং জোবায়ের আলম (২৮)। সকলের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।
মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী এসএম নাহিদ উজ্জামান।
দীঘিনালার এলাকায় পৌঁছালে তাদের গাড়ি গতিরোধ করে কয়েকজন অচেনা ব্যাক্তি। গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দরকষাকষি করে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার কথা বললে পরিবারের লোকজন খাগড়াছড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ সুপার অপহরণকারীদের নাম্বারে যোগাযোগ করলে ট্রু কলারে পুলিশ সুপারের নাম দেখে তাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, এ বিষয়ে একটি অপহরণ মামলা হবে। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ মাস আগে
সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটক সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এদিকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাতে যান চলাচল ঠিক রাখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, বাঘাইছড়ি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাজেক রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের আবাসন ফির ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাস্থ জুম্ম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীরা অবরোধের ডাক দেয়। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
১ মাস আগে
বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সাজেকে আটকা আড়াই শতাধিক পর্যটক
বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ৪ দিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার কাচাঁলং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এটি তৃতীয় দফার বন্যা।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালার কবাখালীতে সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি থেকে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙ্গামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাজেক যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ডুবে যাওয়ায় পানি না কমা পর্যন্ত আটকা থাকবেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী সড়ক ও পৌর এলাকার উগলছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি, বেপারী পাড়া, নিউলাইল্ল্যা ঘোনা এবং পৌরসভার বটতলী, মাদরাসা পাড়া, হাজী পাড়ার কিছু অংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আখতার বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বন্যা দূর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত সোমবার ও মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছেন তারা মূলত আটকে পড়েছেন। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে তারা গন্তব্যে ফিরে যাবেন।’
এদিকে বাঘাইছড়ির মাটি ও মানুষকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় বাঘাইছড়ির বেশ কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বাঘাইছড়িবাসী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
২ মাস আগে
সাজেকে পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ; আটকা তিনশরও বেশি পর্যটক
টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢল নেমে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাজেক ভ্যালিতে প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্যরাত থেকে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঘাইহাট বাজারে সড়ক এবং বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যায়। এতে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে গেলে বাঘাইহাট থেকে কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে যেতে পারেনি এবং সাজেক থেকেও কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বর্ষা-বন্যায় বসতবাড়িতে সাপের উপদ্রব মোকাবিলা করবেন যেভাবে
সাজেক জীপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, অতিবৃষ্টিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজারে ঢলের পানি বাড়তে শুরু করে। বাঘাইহাট বাজারে কোমড়পানি উঠে যায়। তাই সাজেক সড়কে কোনো যানবাহন চালানো যায়নি। গতকাল যে পর্যটকরা সাজেকে এসেছিলেন তারা ফিরতে পারছেন না। খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশে ছেড়ে আসেনি।
সাজেক মেঘপুঞ্জি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক পুষ্প চাকমা বলেন, কয়েকদিন ধরে সাজেকে বৃষ্টির কারণে পর্যটকের সংখ্যা কম। বৃষ্টিতে তিনশরও বেশি পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে বাইরে বেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে রিসোর্টের কটেজেই অবস্থান করছেন সবাই।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় তিন শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে। এছাড়াও বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বন্যার্তদের সাহায্য করতে উপজেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে পানি কমে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
৪ মাস আগে
সাজেকের তিনটি গ্রামে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম বেটলিং মৌজার তিনটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া ও জ্বর।
এতে করে অরুণ পাড়া, তারুম পাড়া ও নিউথাংনাং পাড়ায় প্রায় শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডায়রিয়ায় প্রাণ গেল ২ জনের, আক্রান্ত শতাধিক
স্থানীয়রা জানান, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিলে অবস্থা খারাপের দিকে যাবে। গত এক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকার মানুষ জ্বর, কাশি, রক্ত বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এছাড়া আশপাশে কোথাও কমিউনিটি ক্লিনিক বা চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এসব গ্রামে দ্রুত পৌঁছানো যাচ্ছে না মেডিকেল টিম ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
তারা আরও জানান, গ্রামগুলোতে দ্রুত মেডিকেল টিম পাঠানো না গেলে আক্রান্তদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে যাবে। তাই দ্রুত টিম পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খিসা বলেন, ডায়রিয়ার কারণে নয় বরং জ্বরের কারণে হয়ত কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্র্যাকের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে আরও মেডিকেল টিম পাঠানো হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, এলাকাটি খুবই দুর্গম। সেখানে কোনো বিশুদ্ধ পানির উৎস নেই। তাই বর্ষা মৌসুমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। দ্রুত মেডিকেল টিম পাঠাতে হলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্য প্রয়োজন। বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২০১৬ ও ২০২০ সালে সাজেকের এসব গ্রামে ডায়রিয়া ও হামে আক্রান্ত হয়ে ৯ শিশুসহ ১৫ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ৬২ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি
জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, এক সপ্তাহে ৫৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
৪ মাস আগে
অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
রাঙ্গামাটিবৈরী আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে এবং সাজেকের বাঘাহাট নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে ৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত করায় বাঘাইছড়িতে দুপুর ১২টার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। তবে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে আবারও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার হলে পর্যটকরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে অবরোধকারীরা গাছেরগুড়ি ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে। এছাড়া বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে সাজেকের ভোটকেন্দ্র থেকে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
৫ মাস আগে
সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের ৫ লাখ; আহতদের ২ লাখ ক্ষতিপূরণ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।
তিনি জানান, নিহত প্রতি ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মরদেহ পরিবহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাজেক থানা থেকে ৫ জনের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন এবং তার ছেলে সামিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পি চাকমা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪ জন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল ও শ্রমিকসহ উদয়পুরে যাচ্ছিল। ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ট্রাক ও জিপে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দূরত্বের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহির উদ্দিন ও তার ছেলে সামিউলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
৬ মাস আগে