শেখ বশিরউদ্দীন
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন বশিরউদ্দীন
এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন এতদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ইন্তেকাল করেন।
এরপর থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ছিল। এখন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শেখ বশিরউদ্দীনকে দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব থাকলো।
এখন প্রধান উপদেষ্টার অধীনে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২ দিন আগে
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাকাত গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমাজ ব্যবস্থায় জাকাতের সৌন্দর্য ও প্রভাব রয়েছে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সম্পদ বণ্টনের যে প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়, তার মধ্যে অন্যতম জাকাত। জাকাত প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সমাজে জাকাতের প্রভাব দৃশ্যমান করতে হবে।’
‘জাকাত দারিদ্র বিমোচনের একটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না।আমরা সুষম সমাজ চাই, নৈতিক নেতৃত্ব চাই,’ যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ট্যাক্সেশন সিস্টেম যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
‘এখন মানুষের সাফল্যকে বিচার করা হয় তার ভোগ সক্ষমতাকে দিয়ে। তার আত্মসন্মান, শ্রদ্ধা ও সামাজিক দায়কে বিচার করা হয় না,’ বলেন শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে অনেক তাজা প্রাণ দিতে হয়েছে। অথচ বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। এর মূলোৎপাটন করতে হলে আমাদের সম্পদের সুষম বণ্টন প্রয়োজন। এর নিয়ামক হিসাবে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায় সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সেমিনারে কিনোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোইকোনমিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এর ড. এম এমরানুল হক।
৫৪ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাপানের টোকিওতে ইকনোমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশে আরও বেশিসংখ্যক জাপানি যাতে বিনিয়োগ করেন, সেই ব্যবস্থা নিতে ওগুশি মাসাকির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পাবলিক প্রাইভেট ইকনোমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশে সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছ। তিনি জাপানের বিনিয়োগকারীদের এ সুযোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাচিকি ইমোতো, জেটরোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে টোকিওতে একটি হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।।
জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৫৮ দিন আগে
বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানিতে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাকে বৈচিত্র্যময় করার যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, প্লাস্টিক পণ্য সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতার নিরীখে আমাদের নীতি নির্ধারণ করা দরকার, যার বিনিময়ে আমরা খারাপ প্লাস্টিককে রোহিত করব ও ভালো প্লাস্টিকের সঙ্গে বাস করব। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভালো প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৪ দিনব্যাপী ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার অনুষ্ঠানে এ তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বরে আমাদের দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে প্রিফারেনশিয়াল অ্যাক্সেস (অগ্রাধিকার সুবিধা) পাই তা থাকবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইনসেন্টিভও (প্রণোদনা) দিতে পারব না। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে; উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষম হতে হবে। সক্ষমতা না থাকলে দারুণভাবে বিপদে পড়ে যাব।’
আরও পড়ুন: রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মো. আবদুর রহমান, ইয়র্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের আকাই লিন, সার্ক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে ৮০০টিরও বেশি স্টল থাকছে, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে এই মেলায়।
৬৪ দিন আগে
ফার্নিচার শিল্পের বিকাশে অধিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফার্নিচার শিল্পে বাংলাদেশের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ শিল্পের বিকাশে অধিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘এই শিল্পে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ে ২০৩০ সালের মধ্য ৫০০ কোটি ডলার আয় সম্ভব নয়।’
বশির উদ্দিন বলেন, ‘এই শিল্পে আমাদের বেশ সম্ভাবনা আছে। তাই আমাদের সকল রিসোর্স একত্রিত করে, রাষ্ট্রীয় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কত দ্রুত ফার্নিচার বিশ্বে স্থান করে নিতে পারি তা ভাবতে হবে।’
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ‘বাংলাদেশ ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি: আনলকিং এক্সপোর্ট পটেনশিয়াল’ শীর্ষক সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ হয়েছে, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববাজার টার্গেট করে ফার্নিচার উৎপাদন বাড়ানোসহ কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আমাদের অর্থনীতিতে যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তা চিন্তার বাইরে। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংকিং, গার্মেন্টসসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরের সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হয়েছে। বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকিং খাতে তাদের দুর্বৃত্তায়নের বোঝা আমাদের বহন করতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও বহন করতে হবে।’
অনেক ক্ষেত্রেই বন্ড সুবিধার অপব্যবহার হয় উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি বন্ধ করতে হবে। বন্ড, এফটিএ সুবিধা দিয়ে যতটা কাজ হবে, তার থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেশি সংখ্যক দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করলে ব্যবসা বাড়বে এটা ভুল। ইউরোপের যে দেশের মার্কেটে আমাদের সুযোগ আছে, তাদের সঙ্গে এফটিএ করলে ক্ষতি। এফটিএ করতে হবে সেই দেশের সঙ্গে যাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোশিয়েশনের পরিচালক দেওয়ান আতিফ রশিদ।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজের সাবেক অধ্যাপক আবু ইউসুফ, বুয়েটের ম্যাটারিয়ালস অ্যান্ড ম্যাট্যালার্জিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. আহমেদ শরীফ, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ডিজাইনের ডীন অধ্যাপক ফুয়াদ এইচ মল্লিক, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান খান চৌধুরী, হাতিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান প্রমুখ।
৮৭ দিন আগে
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরউদ্দীন।রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সঠিক প্রচারপত্র তৈরি করে অংশীজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলে সেলফ কারেকশন (আত্মসংশোধন) চলে আসবে। ভোক্তা তার অধিকার জানতে পারলে তার মধ্যে সেটা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে।’‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আমরা সবাই ভোক্তা। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে,’ বলেন বশিরউদ্দীন।‘প্রত্যেক মানুষের সমাজে দায় রয়েছে, সে দায় সম্পর্কে তাদের অবহিত করা দরকার।’
আরও পড়ুন: চালের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ হয়েছে, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টাপ্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমে ভোক্তার অধিকার ও নৈতিকতা বাড়ানোর কনসেপ্ট (ধারণা) অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান তিনি।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল আলিম খান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক হাফিজুর রহমান, কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূইয়া, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন।
৮৮ দিন আগে
৪৭ লাখ সুবিধাভোগীর স্মার্টকার্ড করতে ডিসিদের সহায়তা চাইলেন উপদেষ্টা
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় ৪৭ লাখ ন্যায্যমূল্যের পণ্য কেনার সুবিধাভোগীর স্মার্ট কার্ড করতে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি এ সংক্রান্ত চিঠি ডিসিদের কাছে পাঠিয়েছেন।
৪৭ লাখসহ যারা পণ্য নেন না বা কার্ডধারী পরিবার- যারা পাওয়ার উপযুক্ত নয়, তাদের জায়গায় নতুন উপকারভোগী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তসহ ডাটাবেজ প্রস্তুত করে টিসিবিতে পাঠানোর জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানান উপদেষ্টা।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি নিম্ন আয়ের ফ্যামিলি কার্ডধারী উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় টিসিবি’র ডিলারদের মাধ্যমে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ভর্তুকিমূল্যে পরিবারপ্রতি ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মশুর ডাল ও ১ কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করতে উপকারভোগী বাছাইয়ের মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করে নিম্নআয়ের পরিবার বাছাই করে পরিবারপ্রতি একটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণেই সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ৫৭ লাখ ৩ হাজার ২৯টি কার্ড প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন/সিটি করপোরেশন/টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। টিসিবির স্মার্টকার্ড প্রস্তুতের সময় জেলা প্রশাসন/সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া উপকারভোগীর ডাটাবেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, অনেক তথ্যে ভুল, তথ্য বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং অনেক কার্ডধারী দীর্ঘদিন ধরে পণ্য উত্তোলন করছেন না।
‘দেশের প্রত্যেক সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক উপকারভোগীর সংখ্যা পূর্বেই নির্ধারণ করা রয়েছে।
১ কোটি উপকারভোগীর মধ্যে অবশিষ্ট প্রায় ৪৭ লাখ উপকারভোগী নির্বাচনে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য teb.gov.bd (স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড) পোর্টালে লগইন করা যেতে পারে। tcb.gov.bd স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড ড্যাশবোর্ড রিপোর্ট ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপ অনুসরণ করে পোর্টালে লগইন করে সব জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন ভিত্তিক উপকারভোগীর স্ট্যাটাসও দেখা যাবে। তাছাড়া প্রস্তুত করা স্মার্টকার্ডের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন/সংশোধন প্রয়োজন হলে উল্লিখিত পোর্টালে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করে তা করা যেতে পারে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকারি এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো সত্যিকার অর্থে সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য উপকারভোগী নির্বাচনের মাধ্যমে স্মার্টকার্ড দিয়ে সঠিক ব্যক্তিদের ভর্তুকিমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা।
এ প্রেক্ষাপটে দ্রুত স্মার্ট কার্ড প্রণয়নের স্বার্থে উপকারভোগী বাছাই নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে প্রকৃত প্রাপ্য পরিবার নির্বাচন করে অবশিষ্ট প্রায় ৪৭ লাখসহ যারা দীর্ঘদিন পণ্য গ্রহণ করেন না বা কার্ডধারী পরিবার এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়, তাদের স্থলে নতুন উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে ডাটাবেজ প্রস্তুত করে ৭ দিনের মধ্যে টিসিবিতে পাঠানোর জন্য চিঠিতে ডিসিদের অনুরোধ জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১২৮ দিন আগে