পালমেইরাস
‘মেসিনিয়ো’ খেতাব চান না এস্তেভিয়াও
লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা যেকোনো ফুটবলারের জন্য দারুণ ব্যাপার হলেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম পালমেইরাস থেকে আগামী মৌসুমে চেলসিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্রাজিলীয় তরুণ উইলিয়ান এস্তেভিয়াও। নিজের নামে পরিচিতি হওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।
২০১৭ সালে ব্রাজিলীয় ক্লাব ক্রুজেইরোর একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পরই ‘মেসিনিয়ো’ বা ‘ছোট মেসি’ তকমা পান এস্তেভিয়াও। এরপর ২০২১ সালে পালমেইরাসের যুব একাডেমিতে যোগ দেন এবং চলতি বছরের শুরুতে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন তিনি।
লিওনেল মেসির ভক্ত হলেও মেসির সঙ্গে তুলনা নয়, বরং নিজের পরিচয়ে ফুটবল বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করতে চান এই তরুণ।
ইএসপিএন ব্রাজিলকে তিনি বলেন, “মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই আমাকে ‘মেসিনিয়ো’ নামে ডাকা হয়। তবে বলতে আপত্তি নেই যে, এই নামে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। এই তুলনা আমার পছন্দ নয়। আমার মতো যারা এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি সামলানো বেশ অস্বস্তিদায়ক।”
মেসির মতো বড় মাপের ফুটবলারের সঙ্গে তুলনা নিজের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে তা তিনি ভালো করেই জানেন।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘১৭ বছর বয়সেই আমার ওপর সমালোচনার পাহাড় চাপুক, তা চাই না। এই বয়সে সমালোচনা শোনার মতো সময় আমার নেই। আমি খুশি থাকতে চাই, (নিজের মতো করে) ফুটবল খেলতে চাই। ফুটবল থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করতে চাই। তাই ‘এস্তেভিয়াও’ হয়ে ওঠাই আমার জন্য ভালো।’
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুব অ্যকাডেমি থেকে পালমেইরাসের মূল দলে অভিষেক হয় ২০০৭ সালে জন্ম গ্রহণ করা এই তরুণের। তারপর থেকে ব্রাজিলীয় লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। এ পর্যন্ত লিগে ৩১ ম্যাচ খেলে ১৩ গোল ও ৯ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মোট ২২ গোলে অবদান রেখেছেন এস্তেভিয়াও। ব্রাজিলীয় সেরি-আয় গত মৌসুমে পালমেইরাসকে দ্বিতীয় স্থানে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এই তরুণের।
এরই স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্রাজিলীয় ব্যালন দ’র বা দেশটির বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার জিতেছেন এস্তেভিয়াও। মৌসুমসেরা ফুটবলার, ব্রেকথ্রু ফুটবলার ও বর্ষসেরা হিসেতে অনুষ্ঠানে তিনটি পুরস্কার জেতেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
নাম উইলিয়ান এস্তেভিয়াও। ডাক নামটি আর আর্ষণীয়, ‘মেসিনিয়ো’ অর্থাৎ ছোট মেসি। ১৭ বছরেই মেসির সঙ্গে তুলনা পাওয়া ব্রাজিলিয়ন তরুণ এস্তেভিয়াওকে পেতে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো টানাটানি শুরু করেছিল বলে শোনা গেছে আগেই। তবে সে প্রতিযোগিতায় ইংলিশ ক্লাব চেলসি জিতে গেছে।
ইতোমধ্যে এস্তেভিয়াওয়ের সঙ্গে চেলসির মৌখিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। এমনকি চেলসির দেওয়া ৬৫ মিলিয়ন ইউরো (৪০+২৫) ফিয়ের প্রস্তাবটিও মেসিনিয়োর বর্তমান ক্লাব পালমেইরাস গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক্স পোস্টে রোমানো আরও জানিয়েছেন, চেলসির লিখিত চুক্তিপত্রে সই করতে মুখিয়ে আছে এস্তেভিয়াও ও পালমেইরাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মেসি-বার্সা চুক্তির সেই বিখ্যাত টিস্যু বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
তবে এখনই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে যোগ দিতে পারছে না উইলিয়ান। বয়স ১৮ হওয়ার পর ২০২৫ সালে লন্ডনের ক্লাবটিতে যাবে সে। চেলসির সঙ্গে ২০৩২ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে এস্তেভিয়াও।
এস্তেভিয়াওয়ের ব্যাপারে দুই ক্লাব সম্মত হওয়ার দিন দশেক আগেই ব্যক্তিগতভাবে চেলসিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেয় সে। চুক্তিটি পাকাপাকি করতে গত কয়েকদিন ধরে ব্রাজিলে অবস্থান করছিলেন চেলসির কয়েকজন কর্মকর্তা।
সৃজনশীলতা, অসাধারণ ড্রিবলিং ও খেলার ধরনের জন্য দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিভা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এস্তেভিয়াও। ব্রাজিলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অংশ নেয় এই সেলেসাও যুবা। সেখানেও বল পায়ে আলো ছড়ায় সে।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে ‘ভিএআর’ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব
এর আগে ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবল প্রতিভাকে দলে টানতে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির মতো ইউরোপের বাঘা বাঘা দলগুলোর আগ্রহের কথা শোনা গিয়েছিল। এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল যে, বার্সেলোনার সঙ্গে মৌখিক চুক্তি সেরে ফেলেছে সে। তবে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি আর্থিক দুর্দশার কারণে সে গুঞ্জন থেমে যায়। পরে চেলসির সঙ্গে তার সম্পর্কের অগ্রগতির কথা চাউর হয়।
অবশেষে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজই হতে চলেছে তার ঠিকানা।
৭ মাস আগে