জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার
দেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতিষ্ঠার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং শিগগিরই তারা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সকল পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত এই ছয়টি কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাবার পর আগামী মাসেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে বলে আমি আশা করছি।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের শেষে বা '২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, এই নতুন কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে সমস্ত সিদ্ধান্ত জরুরি, সে সমস্ত বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সেই ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।
ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য এই কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে‘
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা
৬ দিন আগে