কার্যদিবস
সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচকের বড় পতন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় নাজেহাল অবস্থা বিনিয়োগকারীদের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ পয়েন্ট, যা চলতি মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস-৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০-ও কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
আজ লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৭০টি কোম্পানির। ৪৮টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। সবচেয়ে বেহাল দশা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। তালিকাভুক্ত ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৯টির, ৬৯টিরই দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৭টি কোম্পানির দর পরিবর্তন না হওয়ার বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫টি কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
ব্লক মার্কেটে ৩০টি কোম্পানির মোট ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। সারা দিনে মোট ৪১৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক দর
ঢাকার পুঁজিবাজারে করুণ দশা ব্যাংক খাতের শেয়ারে। তালিকাভুক্ত ২৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টির শেয়ারের দরবৃদ্ধি এবং আর পাঁচটির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ১৬টি ব্যাংকের। এক দিনের লেনদেনে এই খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
একইভাবে পতনের ছোঁয়া লেগেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও। এই খাতে মাত্র একটি কোম্পানির দাম বেড়েছে, অপরিবর্তিত আছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং দাম কমেছে ১৮টি কোম্পানির।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইনস্যুরেন্স খাতেও পতনের ধারা বজায় আছে। ১১টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ৩টি কোম্পানির সবগুলোরই দাম কমেছে। টেক্সটাইল খাতে ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টি কোম্পানির। ওষুধশিল্প খাতে ২৪টি কোম্পানির দাম কমেছে, বেড়েছে ৭টির এবং আইটি খাতে ৮টি কোম্পানির দর কমার বিপরীতে দর বেড়েছে মাত্র একটি কোম্পানির।
সামগ্রিকভাবে পাট, প্রকৌশল, খাদ্য ও সিমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধি হলেও এসব খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। বিশেষ করে সিমেন্ট খাতে পতনের দিনেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৪৭ শতাংশ, কিন্তু তালিকাভুক্ত ৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪টি কোম্পানিরই।
মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষে যারা
ঢাকার পুঁজিবাজারে ৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১২৫ টাকা, যা দিন শেষে শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩১.৬০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। দিনের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১২৪ টাকা, যা লেনদেন শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩৪.৩০ টাকা।
এছাড়া ৮.৭৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাইডেলবার্গ মেটারিয়ালস। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ১০ এপ্রিল কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ারপ্রতি দাম ছিল ২৭৩.৬০ টাকা, যা একদিনের ব্যবধানে বেড়ে ২৯৭.৫০ টাকা হয়েছে।
ওষুধ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের দাম এক দিনে ৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ৮৫০.৯০ টাকা প্রতিটি শেয়ারের দাম দিন শেষে বেড়ে হয়েছে ৯১৪.১০ টাকা।
শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় পঞ্চমে থাকা মুন্নু অ্যাগ্রোর দাম বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে ৩২০ টাকার শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪২.১০ টাকা।
পতনে শীর্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান
ডিএসইতে পতনে শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে ৯.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে প্রথমে উঠে এসেছে আল-হ্বাজ টেক্সটাইল মিলস। ১৪১.৪০ টাকার লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম দিন শেষে কমে হয়েছে ১২৮.৬০ টাকা।
ব্যাংক খাতের মধ্যে ৯.৫৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে প্রাইম ব্যাংক। এছাড়া সিরামিক খাতে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের দাম কমেছে ৮.১৪ শতাংশ।
আর্থিক খাতে ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের দাম কমেছে ৭.৫০ শতাংশ এবং ৫.৯১ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের পঞ্চমে আছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
পতন চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৫৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১৯টি কোম্পানি। এছাড়া ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসইতে। সারা দিনে সিএসইতে মোট ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও শীর্ষে আছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। এক দিনে সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ১১.১৬ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৪.২০ টাকা, যা সারা দিনের লেনদেন শেষে কমে ২১.৫০ টাকায় নেমেছে।
২২ দিন আগে
কোনোভাবেই পতন থামছে না পুঁজিবাজারে
ঈদের ছুটির পর নতুন উদ্যোমে লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঘটেছে ঠিক বিপরীত। টানা তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ১৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীত দর কমেছে ১৯৪ কোম্পানির, অপরিবর্তিত আছে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে বি এবং জেড ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দরবৃদ্ধির তালিকায় এগিয়ে আছে এ ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরিভুক্ত ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০ কোম্পানির, কমেছে ৯৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে গতদিন মুখ থুবড়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে উঠে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড। ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে ২৭ কোম্পানির ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচক কমলেও টানা তিনদিনই লেনদেন বেড়েছে ডিএসইতে। সারাদিনে মোট ৪৮৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৬৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: উত্থানে শুরু হলেও পতনে শেষ পুঁজিবাজারের লেনদেন
৯.৯৩ শতাংশ দাম বেড়ে দিনের শীর্ষ কোম্পানিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। ১১৯.৩০ টাকায় লেনদেন শুরু করে দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১৩০.৬০ টাকা। অন্যদিকে ৭.৯৪ শতাংশ দাম হারিয়ে ঢাকার বাজারে তলানিতে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স। ২৫.২০ টাকা শেয়ারপ্রতি লেনদেন শুরু করে দিন শেষে দর নেমেছে ২৩.২০ টাকায়।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও পতন হয়েছে সূচকের। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৮ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে দর নেমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৩৮ কোম্পানির মধ্যে ৯২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১২ কোম্পানি। ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
পতনের ধারায় লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এইচ.আর. টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
২৭ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকায় সূচকের পতন, চট্টগ্রামে উত্থান
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকার বাজারে সূচকের পতন হলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে। একইভাবে ঢাকায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও, দাম বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস ১ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩, কমেছে ১৯০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১২ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ৪০ কোম্পানির ১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরা ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৪৪৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
অন্যদিকে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড।
চট্টগ্রামে উত্থান
ডিএসইতে পতন হলেও সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্টে।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। মোট ১৮১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
রোববার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক এবং ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
৫০ দিন আগে
বড় পতনের পর অবশেষে উত্থান পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের গত এক মাসের সর্বোচ্চ পতনের পর দ্বিতীয় দিনে এসে অবশেষে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৫ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ও বেড়েছে খানিকটা। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩৩৮ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৪, কমেছে ১৩৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও দর কমেছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। জেড ক্যাটাগরির ৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসেই পতনে পর্যুদস্ত পুঁজিবাজার
ঢাকার ব্লক মার্কেটে ১৬ কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ৫ কোম্পানির।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তুং হাই নাইটিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থানের ছোঁয়া
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১, কমেছে ৯৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। সিএসইতে মোট ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে যা গতদিনের চেয়ে ৪০ কোটি টাকা কম।
৫৬ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এবং রমজানের প্রথম দিনে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন হয়েছে, পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও।
রমজানের প্রথমদিনে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চললেও রোজায় লেনদনের সময় কমিয়ে দুপুর দেড়টায় নিয়ে আসা হয়।
প্রথম দিনের পরিবর্তিত সময়সূচিতে রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ১০ পয়েন্ট। এর বাইরে শরিয়াভিত্তিক এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচকও ছিল নেতিবাচকের ঘরে।
রোজার প্রথম দিন সূচক কমা অনেকটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, হঠাৎ করে নতুন সময়সূচিতে বাজারের খাপ খেতে সময় লাগে। এতে করে রমজানের প্রথম দিন সূচক কমার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ডিএসইতে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৪৮৭ কোটি টাকার লেনদেন কমে নেমে আসে ৪২১ কোটি টাকায়।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও, দাম বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১, কমেছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বদলায়নি বেশিরভাগের। দাম কমেছে ১৪ এবং বেড়েছে ৫ ফান্ড কোম্পানির শেয়ারের।
রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ৪২ কোম্পানি তাদের ৭২ লাখ শেয়ার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে একদিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬, কমেছে ৯৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।
সিএসইতে সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আজিজ পাইপস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
৬৪ দিন আগে
রেকর্ড লেনদেন পুঁজিবাজারে, সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। চলতি বছর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়িয়েছে ৬০০ কোটি টাকা, যা গত সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৬০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের ৬ তারিখে সর্বশেষ ৬৫০ টাকার পর ডিএসইতে এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন।
লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই'র সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৬, কমেছে ১৫৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও, দাম কমেছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৩ কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থান, ফের লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩, কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ৯১ লাখ শেয়ার ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৭ লাখ শেয়ার সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ডিএসই'র মতো সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সিএসই'র সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৩৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৮২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৩১ কোটি টাকা।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আরামইট সিমেন্ট লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো চট্টগ্রামেও তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
৬৯ দিন আগে
পতন দিয়ে শুরু সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস
পতন দিয়ে শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারের এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস। সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক এবং লেনদেন। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ১ পয়েন্ট করে কমেছে।
ঢাকার পাশাপাশি সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৪০, বেড়েছে ৯২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩ কোম্পানির দাম।
সিএসইতে মোট ১৭৭ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দরপতন হয়েছে ৮২ এবং দরবৃদ্ধি হয়েছে ৬৭ কোম্পানিতে। দাম অপরিবর্তি ছিল ২৮ কোম্পানির।
সারাদিনের শেয়ার কেনা-বেচায় দুই বাজারেই কমেছে মোট লেনদেন। ডিএসইতে দিনের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭৪ কোটি টাকা, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৪২৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় ৪ কোটির টাকা কম।
আরও পড়ুন: পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে রবিবারের শীর্ষ শেয়ার ইসলামি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পিএলসি।
এদিকে ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে আলোচিত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এতদিন দাম বাড়লেও রবিবার এ কোম্পানিটির দাম কমেছে সাত দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিএসইতে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম কমে তলানিতে আছে কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি।
গত সপ্তাহে বড় পতনের মুখে পড়া এসএমই খাতের প্রথম কার্যদিবসে কেটেছে সূচকের উত্থান দিয়ে। ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৮৫ দিন আগে
উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দিনের শুরু থেকেই সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, যে ধারা বজায় ছিল দিনের শেষভাগ পর্যন্ত।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
সারাদিনের লেনদেন দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৭, কমেছে ১৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ কোম্পানি বিভিন্নহারে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ফেস ভ্যালুর ওপর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও ‘এ’ ক্যাটাগরির অধিকাংশ কোম্পানি ছিল দাম কমার তালিকায়। এই ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ১০২ কোম্পানির, বেড়েছে ৮৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৩, কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ৪৯, কমেছে ২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ১১ কোম্পানির, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩ কোম্পানির ৫১ লাখ শেয়ার ১৮ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড একাই শেয়ারপ্রতি ৯৬ দশমিক ৯০ টাকা সর্বোচ্চ দরে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৩৪ শেয়ার ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
রবিবার দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। এদিকে জিল বাংলা স্যুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে।
ডিএসইতে প্রধান সূচক বাড়লেও সূচক কমেছে এসএমই খাতে। একদিনের লেনদেনে ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে এসএমই ইনডেক্সে সূচক কমেছে দেড় শতাংশের বেশি। লেনদেন হওয়া ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২ এবং বেড়েছি ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি টাকা। দিন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট ৩৫৬ কোটি টাকার সূচক এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৮৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭, কমেছে ৭৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই'র মতোই সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে সিএসইতে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
৯২ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ২০০ কোম্পানির, কমেছে ৭৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৫০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতোই লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪, কমেছে ১৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
৯২ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে দেশের দুই পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের বড় পতন হয়েছে। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। চট্টগ্রামে লেনদেন বাড়লেও কমেছে ঢাকার বাজারে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনের প্রথম ঘণ্টা থেকেই দেশের দুই পুঁজিবাজার সমানতালে সূচক হারাতে থাকে। অবশেষে সূচকের পতনের ধারা অব্যাহত রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৪ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০৩ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৬১, বেড়েছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১০৩, বেড়েছে ৫৫ এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
গেল কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি টাকা। সিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে সবকটি সূচক
ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৫৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৪৭, বেড়েছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ৫৯, বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম কমেছে ৫২, বেড়েছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম কমেছে ২১, বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্লক মার্কেটে ১৫ কোম্পানির ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৪ শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিমেন্ট, সিরামিক, টেলিযোগাযোগ এবং পাটখাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়েনি। ব্যাংকখাতে ১৭ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত এবং কমেছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ওষুধশিল্প খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাতটিতে ৭ কোম্পানির দাম বাড়লেও, কমেছে ২৭ কোম্পানির দাম।
পতনের বাজারে তুলণামূলক ভালো অবস্থানে আছে প্রযুক্তি, আবাসন, টেক্সটাইল এবং পর্যটনখাত। আইটিখাতে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির মধ্যে দুটিরই দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে ৬ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়া আরেক কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু পতন দিয়ে
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে আছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে কেয়া কসমেটিকসের নাম। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। ডিএসইকে কোম্পানিটি জানিয়েছে পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় কারখানা বন্ধ করে দিলেও আপাতত কোম্পানিটির অন্যান্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ডিএসইর এসএমই খাতেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা। এসএমই খাতে একদিনে সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৩, বেড়েছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৯৯ দিন আগে