টানা দুদিন
টানা দুদিন ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে টানা দুদিন ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবারও (৩০ ডিসেম্বর) এ সড়কে বাস চলাচল করেনি।
এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার থেকে পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দেয় সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার বিকালে এ কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও রাতে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে কেবল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চালচাল বন্ধ রেখেছেন।
কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনাল থেকে কোনো বাস জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। একইভাবে জকিগঞ্জ থেকেও সিলেটের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিলেট-জকিগঞ্জ ও সিলেট-বিয়ানীবাজারগামী যাত্রীদের।
টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা সেখানে বসে আছেন বাসের অপেক্ষায়। বাস ছাড়বে না জানার পরও তারা অপেক্ষা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সড়কের পাশে শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিল। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামে এক কিশোর দৌড়ে যায়। এ সময় দ্রুতগামী একটি গেটলক বাসের ধাক্কায় সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- এটি ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয় এ সময়। এর প্রতিবাদে সোমবার পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। মঙ্গলবারও সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলছে পরিবহন ধর্মঘট
জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নিয়ে বাস ভাঙচুর করা ও পোড়ানো সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।’
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি সিলেটের জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৩ দিন আগে