ওসি
থানায় বিচার প্রার্থীকে মারধর: এএসআইয়ের পর ওসিও প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক বাবা নির্যাতনের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুলিশ বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় ওই সদস্যকেই নিতে হবে।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় শিবালয় থানায় গিয়ে শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের হাতে এক বাবার নির্যাতনের ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়।
থানার ভেতরে বিচার প্রার্থীর নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকেও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করে মাদারীপুর জেলায় সংযুক্তি করা হয়। এছাড়া ওসি মো. শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অপু মোহন্তকে।
পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি থানায় ছিলেন না। শুনেছেন ওইদিন সন্ধ্যায় এএসআই আরিফ হোসেন থানার ভেতরে এক ব্যক্তিকে মারধর করেছেন। এই ঘটনায় তাকে সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারিপুর জেলায় বদলী করা হয়েছে। তিনি সোমবার রাতেই শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত ) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন।
অপর দিকে ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু মোহন্ত বলেন, শিবালয় থানায় পুলিশ সদস্যের হাতে একজন মারধরের ঘটনায় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় শিবালয় থানায় কন্যাশিশু ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ দিতে গিয়ে এএসআই আরিফ হোসেন ওই ব্যক্তিকে থানার ভেতরে পিটিয়ে আহত করেন।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর বাবা জানান, স্ত্রীসহ তিনি ঢাকায় থাকেন। তার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা থাকেন দাদীর কাছে। গত ২০ জুলাই রজ্জব খান নামে এক ব্যক্তি তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলে শিশুটির দাদী। পরে স্থানীয় সমাজপতিদের জানানো হলেও, প্রভাবশালী হওয়ায় কারণে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না। উল্টো তাকেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো।
এরপর গত ১৪ আগস্ট শিবালয় থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে মা ও শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান তিনি। এসময় থানার ওসি রুমে ছিলেন না। এএসআই আরিফ হোসেনের কাছে ঘটনা খুলে বলার পর তাকে থানার ভেতর মারধরে করা হয়। রাতে পুলিশ সুপারের কাছে বিচার দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবালয় সার্কেলে নূরজাহান লাবনীর নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়। ওই রাতেই অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
পড়ুন: বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
ফেনীতে ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার আদালতে ফেনী মডেল থানার ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার দুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালত-১ এর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের কাছে দায়ের করা মামলাটি তিনি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, ২ উপপরিদর্শক (এসআই) এমরান হোসেন ও নারায়ণ চন্দ্র দাস, ডিএসবি কর্মকর্তা হাবীবুর রহমান ও দুই সাক্ষী সাব্বির হোসেন ও মো. সৈকত।
লুৎফুন নাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় আদালত পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার চেয়ে ঊর্ধ্বতন পদমর্যদার কর্মকর্তা দিয়ে নালিশি ঘটনা তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অত্র আদালতে তদন্তের অগ্রগতি অবিহিত করার জন্য এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ও মামলার আইনজীবী ইউসুফ আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম (৪৮) ফেনী মডেল থানা পুলিশ গত ২২ জুলাই ঢাকার পল্টনের বিজয় নগর এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে তার ফেনী শহরস্থ রামপুরের বাসা থেকে রাত ১টার সময় ফেনী মডেল থানা পুলিশ, পুরাতন খবরের কাগজ দ্বারা মোড়ানো একটি কালো রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি এবং ২ টি লম্বা লোহার ছোরা উদ্ধার করে বলে জানান পুলিশ। পরবর্তীতে ফেনী মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
তবে এই অভিযোগটি অস্বীকার করে জাকির হোসেন জসিমের পরিবার। তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার ও বিএনপি।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর হামলা, ফেনীতে ছাত্রলীগ সভাপতি বহিস্কার
ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে জুনায়েদ (৮) ও রিহান (৮) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূর মানিকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের আবু কালামের ছেলে এবং রিহান একই বাড়ির মুমিন মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। উভয়ই নূরমানিকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
ওই বাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, শিশু দুটি বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায়। শিশু জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রিহানও ডুবে যায়।
তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শুনেছি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু দুটিকে পাঠানো হয়েছে। খবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
ওসমানীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
খুলনায় নারী নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
খুলনার কয়রা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের চারদিন পর শনিবার এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএসএম দোহা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমান।
ওসি বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল খালেক গাজী, আকফর হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভুক্তভোগীর বাবা এবং তাদের প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ১১ জুলাই হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে প্রতিবেশী ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী শামীমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করলে শামীমা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জরুরি হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শামীমা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
মাগুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরার শ্রীপুর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সোনাতুন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা (৪৮) সোনাতুন্দী গ্রামের নবাবের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাসলিমা দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ওইদিন দুপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকদেব রায় জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এবিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
কেরানীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু
কেরানীগঞ্জের বন্দ ডাকপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত যুবক বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত যুবক হলেন- সাগর (২২)।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার জানায়, সাগর মঙ্গলবার ভোর রাতে বাড়ির বাইরে গেলে কতিপয় যুবক তার পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নিহতের মা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অবিলম্বে হত্যাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ক্যাবল অপারেটর নিহত
যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
মানিকগঞ্জে বাসের ধাক্কায় কলেজছাত্রসহ নিহত ২
মানিকগঞ্জের তরা কালিগঙ্গা সেতুর ওপর সেলফি পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা এক কলেজছাত্রসহ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জুয়েল মিয়া এবং তার বন্ধু মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মো. আশিকুর রহমান। তাদের দুজনের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
আহত হাসিবুর রহমান অটুট (২৪) জুয়েল ও আশিকুরের বন্ধু।
দুর্ঘটনা এবং নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের সড়কে ঝরল দুই নারীর প্রাণ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে মানিকগঞ্জের তরা কালিগঙ্গা সেতুর ওপর পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুয়েল মিয়া ও আশিকুর রহমান।
আহত মুন্নুকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি সেলফি পরিবহন ভাঙচুর করেছে। এসময় পুলিশ লাঠি চার্জ করে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তেজিত এলাকাবাসী নিয়াজুরি এলাকায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পড়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দিরাইয়ে ত্রাণ বন্টনে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যানকে মারধর
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও তাঁর পেটোয়া বাহিনীকে পিটিয়ে খেতে ফেলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৮ জুলাই শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শ্যামারচর রোডে ইউনিয়নের ফাতেমানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
৮নং ওয়ার্ডের কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, মেম্বার সাইদ আহমদ খসরু আমাদের নামের লিস্ট চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। ত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা ঘটনার দিন ঠিক সময়ে ত্রাণ আনতে গেলে আমাদেরকে ত্রাণ না দিয়ে তাড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান। তখন আমরা মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বলেন, আমি তোমাদের নাম দিয়েছি তোমরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করো। বিক্ষুব্ধ জনতা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে পরিষদ থেকে দিরাই যাওয়ার পথে রাস্তায় আটকিয়ে তাদের নাম লিস্ট থেকে বাদ পড়ার কথা জানতে চান। এসময় চেয়ারম্যান রাগান্বিত হয়ে দু'চার জনের ওপর হাত তুললে বিক্ষুব্ধ জনতা মিলে চেয়ারম্যানকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার পাশে আমন খেতে ফেলে দেয়।
৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদ আহমদ খসরু জানান, আমরা কজন খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা আমার ওপরও হামলা চালায়। এতে আমার হাত ভেঙ্গে যায় তখন উভয় পক্ষে বেশ কজন গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
মহানন্দায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মহানন্দা নদীর খালঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু কাউছার (১২) শহরের হুজরাপুর এলাকার মেসবাউল হকের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, শিশু কাউসার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির কাছেই মহানন্দা নদীর খালঘাট এলাকায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু কাউসারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু
যশোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত বদিউজ্জামান ধানি (৪২) যশোর জেলা যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শংকরপুরের চোপদার পাড়ায় কিছু দুর্বৃত্ত ধানীকে নির্বিচারে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ