এক বছর
এক বছর আগে রাজস্ব হার প্রকাশ করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এক বছর আগেই কর পরিকল্পনা প্রকাশ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) জারি করবে না এনবিআর। কারণ এতে বছরের মাঝামাঝিতে এসে রাজস্ব হারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’
ইআরএফ ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিশ দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমরা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছি। এখন লোকজন হয়তো বলা শুরু করবে যে আমরা তো খুব ঝামেলায় আছি।
তিনি আরও জানান, আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না। আমরা চিন্তা করেছি, বিদ্যমান কর অব্যাহতিও কমাব, উঠিয়ে দেব এবং যারা কম হারে দেয়, তাদের বাড়িয়ে দেব। নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ।
আরও পড়ুন: বিস্কুটে ভ্যাট অর্ধেকে নামিয়ে আনল এনবিআর
আগামী বাজেট কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে আবদুর রহমান খান বলেন, প্রকৃত অর্থে আগামী বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী। কিছুদিন ধরে এনবিআর যে কাজগুলো করেছে, এর মাধ্যমে বিষয়টি আপনারা টেরও পেয়েছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এ বছর দুবার সয়াবিন তেলের শুল্ক কমানো হয়েছে; দুবার চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। এ ছাড়া খেজুর, ডাল, ডিম, চাল, পেঁয়াজ প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছি। তার সুফলও পাওয়া গেছে।
‘এতে (শুল্কছাড়ের ফলে) আমরা কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তবে আমরা সেগুলো চিন্তা করিনি। আমরা জনস্বার্থ চিন্তা করেছি,’ বলেন তিনি।
৪ দিন আগে
সিলেটে এক বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭৫ প্রাণ
বিদায়ী বছরে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ২০২৪ সালে এই বিভাগে মোট ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৫ জন নিহত হয়েছেন; সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৭০৯ জন।
নিহতদের মধ্যে ২৮৭ জন পুরুষ, ৫৮ জন নারী ও ৩০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় গত বছর সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে মোটরসাইকলের চালক ও আরোহীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার এসব তথ্য তুলে ধরেন নিসচা সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে সিলেট জেলায় ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৭ জন নিহত ও ৩১৪ জন আহত হয়েছেন; সুনামগঞ্জ জেলায় ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ১০৮ জন আহত হয়েছেন; মৌলভীবাজার জেলায় ৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত ও ২১৫ জন আহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মিলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৭ জন, সিএনজিচালক ও যাত্রী ৮৫জন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৬১ জন, পথচারী ৬৯ জন এবং বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে সিলেট-তামাবিল সড়কে ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন, দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন এবং গোয়াইনঘাট সড়কে ৭টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সিলেট বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩-এ সিলেটে মোট ২৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬১ জন নিহত ও ৪৬৪ জন আহত হয়েছিলেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় ৫টি দৈনিক পত্রিকা, ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা এবং নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতি বছরের মতো এবারও সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে নিসচা।
৭২ দিন আগে