ডিএসইএক্স
পতন দিয়ে শেষ পুঁজিবাজারের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই বাজারেই সূচকের পতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও বেড়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবারের (২০ মার্চ) লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমলেও বাছাইকৃত ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট।
সারাদিনে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি টাকা, যা গতদিন ছিল ৪৮২ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯ কোম্পানির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরির অবস্থান ছিল একেবারেই নিরপেক্ষ। জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪, কমেছে ৩৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৩০ কোম্পানির ২৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার ১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খান ব্রাদার্স সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে মিডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি। অন্যদিকে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
চট্টগ্রামে সূচকে পতন, লেনদেনে উত্থান
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন। সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০, কমেছে ৭৯ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
২ দিন আগে
সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক বাড়লেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাংকখাত
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। প্রধান সূচক বাড়লেও ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি ব্যাংক খাতে।
বাংলাদেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের দাম কমেছে গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ আট শতাংশ কমেছে। এই খাতে শেয়ারের দাম কমায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারী এতদিন ব্যাংকখাতকে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করলেও গত কয়েক সপ্তাহের পতনে এই খাতের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে টানা দুই কার্যদিবস সূচকের পতন
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমেছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি পুরো সপ্তাহজুড়ে এসআলম সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ব্যাংকখাতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেরও বেহাল দশা। এই সপ্তাহে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। খাতভিত্তিক লেনদেনে কাগজ, আবাসন, ওষুধ, সিমেন্ট এবং প্রকৌশল শিল্প নিজেদের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে।
সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাজারে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। ডলারের হিসাবে এক সপ্তাহে বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৪ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
সাপ্তাহিক লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দামবৃদ্ধির তালিকায় আছে ২০১ কোম্পানি। এছাড়া দাম কমেছে ১৫০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির। সপ্তাহ ব্যবধানে মার্কেট রিটার্ন এসেছে দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৫৭ দিন আগে
শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। এছাড়া দামের পাশাপাশি বেড়েছে প্রধান সূচকও।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ১৯৬ কোম্পানির, কমেছে ৭৮ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৭৯ কোম্পানির।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭ পয়েন্ট, শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১ পয়েন্ট। তবে সূচক কমেছে ব্লুচিপ শেয়ারের। ডিএস-৩০ এর সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্স-ডিএস৩০তে সূচক কমল ৪.১৬ পয়েন্ট
প্রথম ঘন্টায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৯ শেয়ার ৩ কোটি ৮৫ লাখ হাতবদল হয়ে মোট ৮৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের পাশাপাশি দিনের শুরুতেই সি ও এ টেক্সটাইল কোম্পানিকে বি ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। এই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য কোনো ধরনের ঋণ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে।
প্রথম ঘণ্টায় সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। দাম বেড়েছে ৩৩ কোম্পানির, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: ডিএসইএক্সে সূচক বাড়ল ২৮.৪ পয়েন্ট
৬৫ দিন আগে