সরকারি প্রতিষ্ঠান
সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ ক্রয় নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ পিপিআর ২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ রিলেটেড। এদিকে নজর দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতির উপর ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে, কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে- যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি'।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলতে দুদকের অভিযান
দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন বলেন, 'দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ(আইইবি)'র সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজু।
২৯৯ দিন আগে
সরকারি প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ করা হয়েছে: অর্থসচিব
সরকারি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় স্বতন্ত্র অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জে `ইন্টারনাল অডিটিং জার্নি ইন পাবলিক সেক্টর’ বিষয়ক অংশীজনদের পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনা শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, সরকারের সব ব্যয় নির্বাহী প্রতিষ্ঠানও এর সাথে যুক্ত। তাই অর্থ মন্ত্রণালয় পাঁচটি ‘ব্যয়বহুল বিভাগ’, যেখানে কেনাকাটা বেশি হয়– প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভ্যন্তরীণ অডিটিং পাইলটিং হচ্ছে। এ উদ্যোগ সুদূরপ্রসারী হবে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু করার জন্য সরকার কাজ করেছে।
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হাকিম, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নন-ক্যাডার সহকারী সচিব হলেন ৫৯ কর্মকর্তা
সিরাজুন নূর চৌধুরী বলেন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল স্থাপন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ইন্টারনাল অডিটের (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা) গুরুত্ব অপরিসীম।
এ সময়ে সিস্টেম ডিজিটাইজড করার পাশাপাশি এই সিস্টেম ব্যবহারকারী, বিশেষকরে ভেন্ডরদের দক্ষতার বিষয়টিও ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল ইসলাম। আব্দুল হাকিম বলেন, ইন্টারনাল অডিট বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়ন খুবই জরুরি।
৩২৩ দিন আগে