আখতার হোসেন
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রবিবার (২৩ মার্চ) ভোরে সিলেট জালালাবাদ থানার আউশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আখতার হোসেন ওই এলাকার আব্দুল মুনিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল হত্যার দায়ে মামলা, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিলেট জেলা শাখা নগরীর একটি কনভেনশন হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমান শান্ত নামের সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে এই ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় শান্ত বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আখতার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এনসিপির ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমান শান্ত নামের একজন মামলা দায়ের করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ ভোরে আখতার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই মামলার তিন নাম্বার আসামি। আক্তার ছাড়াও মামলায় আরও একাধিক এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২৫ দিন আগে
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে বলে আন্দোলন করিনি: আখতার
হাসিনা যাবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে—এ জন্য মানুষ আন্দোলন করেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আসাদ দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ আসাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
আখতার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের রাজনীতির রোডম্যাপ হবে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আর কোনোভাবে রাজনীতিতে প্রসঙ্গিক না করা।’
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সূক্ষ্ম পার্থক্য হচ্ছে, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে কোনো রাজনৈতিক দল স্বনামে সক্রিয় ছিলেন না। জনগণ ছাত্রদের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমেছেন এবং আন্দোলন করেছেন।’
জনগণের প্রত্যাশার প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘হাসিনা যাবে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসবে এজন্য মানুষ আন্দোলন করেনি। মানুষ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চেয়েছে, তাই পথে নেমেছে।’
‘বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে আগামীতে রাজনীতি করতে দেবে না।’
এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে বাহাত্তরের সংবিধান সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
বর্তমান সংবিধানে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদ বিলোপ সম্ভব নয় দাবি করে আখতার বলেন, ‘সাধারণ ছাত্ররা নতুন সংবিধানের রোডম্যাপ দিতে পারলেও রাজনৈতিক দলগুলো এখন পর্যন্ত এর কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি।’
‘বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা যাবে না। রাজনীতি হবে নয়া এক বন্দোবস্তর মাধ্যমে।’
নতুন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আখতার।
৮৭ দিন আগে