অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণ
নিষেধাজ্ঞার মুখে অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণে অনুমতি দিল কলোম্বিয়া
অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দিতে কলোম্বিয়া রাজি হয়েছে। এরআগে স্থানীয় সময় রোববার (২৬ জানুয়ারি) অভিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।
অভিবাসীদের গ্রহণ না করলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ওপর চড়া শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। এ সময়ে অভিবাসীবাহী দুটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
রোববার দিনের শেষভাগে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিভেট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছে কলোম্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে কলোম্বিয়া থেকে যেসব অবৈধ বিদেশি প্রবেশ করেছেন, তাদেরকে অবাধে ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি কোনো ধরনের বিলম্ব ও শর্ত ছাড়াই মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণেও অনুমতি দেবে তারা।’
সেক্ষেত্রে কলোম্বিয়ার পণ্যে শুল্কারোপে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেটা প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই আদেশে এখনো প্রেসিডেন্ট সই করেননি। যে কারণে এটি প্রস্তুত থাকবে, প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। আর যতক্ষণ না অভিবাসীবাহী প্রথম উড়োজাহাজটি কলোম্বিয়া থেকে ফেরত না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও পণ্যে শুল্ক তল্লাশির আদেশ বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
এ নিয়ে কলোম্বিয়ার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এরআগে অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
৯৭ দিন আগে
অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দেয়নি মেক্সিকো
অভিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি পরিবহন উড়োজাহাজ অবতরণে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তাদের বরাতে এনবিসি নিউজে এমন খবর উঠে এসেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালায় এমন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে মার্কিন সামরিক বিমান, প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ৮০ জনের মতো অভিবাসী ছিলেন। অনুমতি না মেলায় সি-১৭ পরিবহন উড়োজাহাজটি পরিকল্পনা অনুসারে মেক্সিকোয় অবতরণ করতে পারেনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি মেক্সিকো সরকার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এছাড়াও আরও কয়েক হাজার সেনা সীমান্তে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মেক্সিকোর মাদক চক্রকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে আমেরিকা উপসাগর করা হয়েছে। এছাড়াও মেক্সিকোর সব পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প, যা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হতে পার।
তবে পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম। এমনকি ফিরে আসা মেক্সিকোর নাগরিকদের পুনর্বাসনের বিষয়েও তার মনোভাব খোলামেলা।
কিন্তু এই বামপন্থি নেতা বলেন, ‘অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে তাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে তার সম্মতি নেই। মার্কিন অর্থনীতির জন্য মেক্সিকোর অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ।’
সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্থানান্তরিত করতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এরআগে লোকজনকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী পরিবহন উড়োজাহাজ ব্যবহার করতো, যেমনটা ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনাপ্রত্যাহারের সময় ঘটেছে।
কিন্তু স্মরণাতীতকালে এই প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে দেখা গেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়াগো, টেক্সাস ও এল পাসো থেকে পাঁচ হাজার অভিবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে সেনাবাহিনী।
গুয়েতেমালা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার ৮০ অভিবাসী বহনকারী তিনটি মার্কিন ফ্লাইট সেখানে অবতরণ করেছে।
৯৯ দিন আগে