অভিবাসীবাহী মার্কিন উড়োজাহাজ
মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
অভিবাসীবাহী মার্কিন উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে প্রবেশে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিরস্ত করতে চাচ্ছে তার প্রশাসন। পাশাপাশি লাখ লাখ কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এরআগে অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আর দক্ষিণ আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার কলোম্বিয়া। দেশটির পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। জবাবে কলোম্বিয়ার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক এক্স পোস্টে বলেন, মার্কিন আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, ফ্লাইট অবতরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে মার্কিন নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন গুস্তাভো পেট্রো।
কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, দেশটির যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে, সেগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি জরুরি রাজস্ব, ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারে কলোম্বিয়া।
ট্রাম্প বলেন, সীমান্তে কলোম্বিয়ার নাগরিক ও কার্গোতে তল্লাশি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হবে। এটা কেবল শুরু।
৬৮ দিন আগে