ইসি সানাউল্লাহ
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে আগের সময়টি ধরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটা তাদের আমরা বলেছি। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫–এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬–এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, একটি প্রশ্ন এসেছিল, দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সব কটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর সময় লেগে যায়।
‘পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়।
১১ দিন আগে
ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কখন হবে; সেটা সরকার নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও রোড ডিগ্রি কলেজ হলরুমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে স্বচ্ছ। আমরা নির্বাচন কমিশন যদি স্বচ্ছ পাত্র উপহার দিতে পারি, তবে সেই পাত্রে যে পানিই দেওয়া যাক না কেনো; তা স্বচ্ছ রং ধারণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের বাস্তবতা থেকে আমরা সতর্ক আছি। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন কাজ করছে।’
সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলমান। তাই জেলা উপজেলাসহ নির্বাচন পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকা হয়ে গেলে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হয়ে যাবে। ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হবে।’
আরও পড়ুন: স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছে ইসি: মাছউদ
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভুয়া ভোটার তালিকা, মৃত ভোটারদের উপস্থিতি, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি, দ্বৈত ভোটারদের উপস্থিতি, এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ যাতে না আসে; সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করবে কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে আগামীতে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নহীন নির্বাচন করার। এ ধরনের নির্বাচনের প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা। আগামীতে আর বাড়ি বাড়ি ভোটার করার কাজ না-ও হতে পারে। কারণ ডিজিটাল সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। এর পর থেকে ঘরে বসেও ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতা-কর্মচারীরা।
২৫ দিন আগে