ডিপসিক
চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
মার্কিন শুল্কারোপ মোকাবিলাসহ অর্থনীতিকে আরও জোরদার করতে দেশের প্রযুক্তিখাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। বৈঠকে বেশ কয়েক বছর পর জনসমক্ষে দেখা গিয়েছে আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-কে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চীনের অন্যতম প্রধান কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও খ্যাতনামা ব্যবসায়ীদের সাথে শি বৈঠক করেন। এ সময়ে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি প্রযুক্তি খাতগুলোর বিকাশে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
অনেকদিন ধরেই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুর কারণ দেখিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা কার্যকর হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো-কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, খামারের সরঞ্জামাদি ও কিছু যানবাহন আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে বেইজিং।
পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপের ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্যিক বিরোধের জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শি জিন পিং। সে সময় তিনি কর ছাড়সহ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীদের।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উন্নতি ঘটেছে এ খাতে। যার সর্বশেষ সংযোজন ডিপসিক। মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এর মোবাইল অ্যাপটির ২৬ লাখ ডাউনলোড হয়। বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে এটি।এ কারণে বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগ দেশটির বেসরকারি প্রযুক্তি নির্মাতাদের নিয়ন্ত্রণের নীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন, আলীবাবার জ্যাক মাসহ ডিপসিক, হুয়াই, বিওয়াইডির মতো বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাতারা।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
এ বিষয়ে, হংকংয়ের গেভিকল ড্রাগোনোমিকস কোম্পানির উপ-গবেষণা পরিচালক ক্রিস্টোফার বেদ্দর বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে হলে চীনকে অবশ্যই বেসরকারি প্রযুক্তি খাতে মনোনিবেশ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই চীন সরকারের।’
চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চীনের অর্থনীতিতে বেসরকারি প্রযুক্তির অবদান দেশটির মোট রাজস্ব আয়ের অর্ধেক। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রায় ৬০ শতাংশ ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বেসরকারি খাতের অবদান ৭০ শতাংশ।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে , তা লাঘব করতে বেসরকারি খাতকে দেশের সরকার উৎসাহ দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের বেসরকারি প্রযুক্তিখাত এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে উল্লেখ করে ডিপসিকের নির্মাতা লিয়াং ওয়েনফেং বলেছেন, ‘চীনের ডিপসিক যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনেএআইয়ের জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য হচ্ছে।’
বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি অধ্যাপক শিয়াওয়ান ঝাং বলেছেন, ‘সোমবারের বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।
তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল সরকারের সমর্থনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করা। চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকে বিশেষত জ্যাক মা-এর উপস্থিতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এক সময়ের বিখ্যাত এই উদ্যোক্তা ২০২০ সালে তার ফিনটেক কোম্পানি অ্যান্ট গ্রুপের আইপিও বাতিল হওয়ার পর থেকে অনেকটা আড়ালে চলে যান। সে সময় চীনের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করায় সরকারের ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে তার উপস্থিতি চীনের ব্যবসাজগতে পরিবর্তনের দিকেই নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪২ দিন আগে
ডিপসিক: এআইয়ের দুনিয়ায় চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির লড়াকু প্রতিপক্ষ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আছে চ্যাটজিপিটি। এছাড়া গুগলের জেমিনি ও অ্যানথ্রপিক ক্লডের মত কয়েকটি নামও বেশ পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই ওপেন এআইয়ের এই সেবাটির সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে এবার এআই যুদ্ধে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের। কারিগরি বৈশিষ্ট্য ও বাজারে যুগান্তকারী প্রভাবের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন করেছে এই পরিষেবাটি। চলুন, চ্যাটজিপিটিসহ সমসাময়িক প্রতিযোগীদের মাঝে ডিপসিকের অবস্থানটি পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
ডিপসিক কি
এই উন্নত এআই মডেলটির নামকরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামেই। চীনের জেজিয়াং প্রদেশের রাজধানী শহর হ্যাংজোর একটি গবেষণাগারে চলে এর উন্নয়নের কাজ। ২০২৩ সালের মে থেকে কাজটি শুরু করেন প্রকৌশলী লিয়াং ওয়েনফেং। গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য বিশ্বব্যাপি সুপরিচিত মার্কিন প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া থেকে বিপুল সংখ্যক চিপ জমা করছিলেন ওয়েনফেং। বিশ্লেষকদের দাবি, সংগ্রহে থাকা এই চিপগুলো কাজে লাগিয়েই তিনি ডিপসিক বানিয়েছেন। চিপগুলো যথেষ্ট কম দামি হওয়ায় অনেক কম খরচেই মডেলটি চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি সেবায় রূপ লাভ করে।
ডিপসিকের মডেলটি ওপেন-সোর্সভিত্তিক। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হিসেবে ছাড়া হয় ডিপসিকের প্রথম সংস্করণ আর ১। ২৭ জানুয়ারি নাগাদ এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে বিনামূল্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ হিসেবে চ্যাটজিপিটিকে ছাড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয়, চীনসহ যুক্তরাজ্যের কয়েকটি দেশেও এই চ্যাটবট অ্যাপটি চ্যাটজিপিটির তুলনায় বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
তাই সিলিকন ভ্যালিসহ গোটা এআই দুনিয়াকে এটি নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে বলে দাবি করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। সমসাময়িক প্রতিষ্ঠিত এআই পরিষেবাগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ডিপসিককে এখন উদীয়মান এআই হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এতদিন ধরে চ্যাটজিপিটির একচেটিয়া কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলে ডিপসিক এআই প্রতিদ্বন্দিতার এক নতুন যুগের সূচনা ঘটিয়েছে।
সমসাময়িক এআই মডেলগুলোর সঙ্গে ডিপসিকের তুলনা
.
উন্নয়ন খরচ
ডিপসিকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও প্রধান কৃতিত্ব হচ্ছে এর বাজেট-বান্ধব প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া। ১০ হাজার এনভিডিআ জিপিইউয়ের ওপর আর ১ মডেলটির বিকাশ ঘটাতে প্রয়োজন হয়েছিলো মাত্র ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
এটি ওপেনএআই, মেটা (সাবেক ফেসবুক) ও গুগলের উন্নয়ন খরচ থেকে অনেক কম। সঙ্গত কারণেই এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক ব্যবহৃত এআই অ্যাপে পরিণত হয়। এতে করে রাতারাতি মোড় ঘুরে যায় এআই নির্ভর ইন্ডাস্ট্রির। এই ধাক্কার শিকার হয়েছে মেটা ও মাইক্রোসফ্টসহ অনেকগুলো এআই প্রতিষ্ঠানের। এই তালিকায় রয়েছে- স্বয়ং এনভিডিআও, যেখানে স্টকের দাম পড়ে গেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কীভাবে জানবেন ঢাকার যানজটের সর্বশেষ অবস্থা?
পারফর্মেন্সের দিক থেকে বিশ্বখ্যাতি থাকলেও চ্যাটজিপিটি ও জেমিনি প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যথেষ্ট বেশি। অন্যদিকে ডিপসিক কম খরচে প্রায় সমপরিমাণ সক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এটি বদলে দিচ্ছে যে পদ্ধতিতে এআইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তার ন্যায্যতার হিসাব।
পারদর্শিতা
কোনও প্রশ্ন করা হলে ডিপসিক আর ১ প্রথমে তার উত্তর তৈরি করার প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারির সঙ্গে শেয়ার করে। এখানে থাকে উত্তর প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় যুক্তি ও সামঞ্জস্যপূর্ণতা। এখানে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারি তার নির্দেশনা দিয়ে দেন। তারপর চূড়ান্ত নিদের্শনার ওপর নির্ভর উত্তরটি সরবরাহ করা হয়। এতে করে উত্তরের নির্ভুলতা ও প্রাসঙ্গিকতা বজায় থাকে। সহজ ভাষায় ডিপসিক কাজ দেখানোর পূর্বে সে কিভাবে কাজটি করবে তার একটা খসড়া নিয়োগকর্তাকে দেখিয়ে নেয়। অন্যদিকে, চ্যাটজিপিটি নিজে থেকেই পুরো কাজটি সম্পন্ন করে। সর্বশেষ হালনাগাদকৃত সংস্করণে এটি আরও পরিণত হয়েছে। তাছাড়া প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিগুলো আরও ভালো পারফর্মেন্স দেয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে শুরুর দিকে চ্যাটজিপিটির অবস্থার সঙ্গে তুলনা করলে ডিপসিক অনেকটা এগিয়ে থাকবে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
গ্রহণযোগ্যতা
প্রতি মুহুর্তে ডিপসিকের ক্রমবর্ধমান ডাউনলোড সংখ্যার ক্রমাগত গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে প্রকাশ করছে। মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এর মোবাইল অ্যাপটির ২৬ লাখ ডাউনলোড হয়। এখন পর্যন্ত এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপের তালিকার শীর্ষে ও বিশ্ব জুড়ে ১১১টি দেশে শীর্ষ ১০ অ্যাপে মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপি একটি বিশ্বস্ত নাম হয়ে ওঠায় প্রতি মাসেই চ্যাটজিপিটির ডাউনলোড সংখ্যা থাকে কয়েক মিলিয়ন
এর পেছনে অবশ্য মুক্তির সময় অভূতপূর্ব সেবা হওয়া ও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরিষেবাগুলোর সঙ্গে এর সমন্বয়ও দায়ী।
বিচার-বিবেচনা
তৈরিকৃত লিখিত কন্টেন্টের ধরণ কেমন হবে তা নিয়ে প্রতিটি এআই মডেলেরই কিছু স্বতন্ত্র বিবেচনা পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পক্ষপাতিত্বের কোনো অভিযোগ মেলেনি।
শুরু থেকেই এগুলো স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও বিতর্কিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণতা বজায় রেখেছে। এই নৈতিক অবস্থান বিশ্ব বাজারে তাদের বস্তুনিষ্ঠ কন্টেন্ট ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কিন্তু ডিপসিককে নিয়ে এই সূচনালগ্নেই একটি সমালোচনার অবতারণা ঘটেছে। আর তা হচ্ছে- চীনের ঐতিহাসিক তিয়েনানমেন স্কয়ার বিক্ষোভ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আর ১ তা এড়িয়ে যায়। এমন পক্ষপাতমূলক বৈশিষ্ট্য নিয়েই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ডিপসিক।
এরই রেশ ধরে নিকট ভবিষ্যতে এআই সেবা প্রদানে সীমিত অনুশীলনের আশঙ্কা থাকছে, যা উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহের অন্তরায়।
প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা
মুক্তির পরপরই ডিপসিকে বড় আকারের কিছু সাইবার আক্রমণ চীনের বাইরের ব্যবহারে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি অ্যাপটির ব্যবসার ক্ষেত্রে সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও নিয়মিত হালনাগাদকরণ এই বাধা অতিক্রমে কার্যকর হতে পারে। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চ্যাটজিপিটি ও জেমিনির পাশাপাশি অন্য এআই মডেলগুলোও নিজেদের আপগ্রেড করবে।
আরো পড়ুন: ভিডিও গেম খেলে অর্থ উপার্জনের উপায়
ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সাশ্রয়ী খরচে এআইয়ের উন্নয়ন সাধনের জন্য চীনের সঙ্গে সমন্বয় করতে সহমত পোষণ করেছে।
সর্বপরি, উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক উভয়ের জন্যই ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে এমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হওয়ার এক সুদূরপ্রসারি প্রভাব রয়েছে।
ইতিবাচক ও গঠনমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌলতে তৈরি হয় সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষাপট। এতে করে একদিকে যেমন ব্যবসাগুলোর প্রান্তিক লাভ বাড়ে, অপরদিকে তেমন সাধারণ মানুষের জীবনধারণ পদ্ধতিও উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
সারবস্তু
চ্যাটজিপিটির একচেটিয়া রাজত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবার এআই কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মঞ্চ তৈরি করলো ডিপসিক। উন্নয়ন খরচ সাশ্রয়ী হওয়ায় ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যারটি নিয়ে গবেষণার বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডাউনলোড করে নিজস্ব ডিভাইসে সংরক্ষণের সুবিধা। ফলে সহজলভ্যতা নন-টেক শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় বিরাট এক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি বাজার।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
৬০ দিন আগে