মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের
মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
চীনা পণ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্কারোপ করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করেছে চীন। একই সঙ্গে গুগলসহ অন্যান্য বাণিজ্য ব্যবস্থার বিষয়ে তদন্তেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার চীন এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেস(এপি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
চীন বলেছে, তারা কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনের গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করবে। আগামী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই শুল্কহার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। ‘এটি কেবল নিজের সমস্যা সমাধানে অসহযোগিতাই নয়, বরং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
মঙ্গলবার চীনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন বলেছে, ‘অ্যান্টিট্রাস্ট ল’ লঙ্ঘনের সন্দেহে তারা গুগলের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। ঘোষণায় শুল্কের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে চীনের উপর ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই এই ঘোষণাটি এসেছে।
কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক মঙ্গলবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সীমান্ত সুরক্ষা এবং মাদক পাচার সম্পর্কে ট্রাম্পের উদ্বেগ নিরসনে দেশ দুটি কাজ করবে— এমন আশ্বাসে ট্রাম্প মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর শুল্কারোপের তার সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
চীন শুল্কারোপ ছাড়াও আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, বিসমাথ, মলিবডেনাম এবং ইন্ডিয়াম। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিতর্কিত খনিজ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো— উপাদানগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক বা জাতীয় সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, যেগুলোর নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি।
ডিসেম্বরে চীন উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যালিয়ামের মতো মূল উপাদানগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়াও অন্যান্য পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি আমেরিকান সংস্থাকে একটি অনির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো— কেলভিন ক্লেইন এবং টমি হিলফিগারের মালিকানার পিভিএইচ গ্রুপ এবং চীনে অফিসসহ একটি জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা ইলুমিনা। চীনের এই তালিকাভুক্তির ফলে তারা দেশটিতে আমদানি বা রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা এবং নতুন বিনিয়োগ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
৩০৪ দিন আগে